আমি কৃষান কন্যা বলছি-একদিন নড়াহল-গোপালগঞ্জ হয়ে এহ ঢাকা শহরে এসেছিলাম। তারপর ১৯৯১ সনে পরিস্থতির স্বীকার হয়ে- হয়ে গেলাম খামারবাড়ীর শিক্ষিত খামার শ্রমিক।যা ছিল আমার নিয়তী ! আর সেদিন আমি আমার সকল আপনজনদের কাছ থেকে দুরে সরে গেলাম। তারপর সেখান থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আমার সুদীর্ঘ চাকুরী জীবনে অতি সততার সাথে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূণ বাজেট সেকশনে কাজ করেছি। আর সেহ সংগ্রামী জীবনে নিজের নামটি পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর ২০০৪ সনে আমি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। সেদিন সকলে আমাকে হগনর করলেও আমার আপনজনেরা আমাকে দ্রুত নড়াহল নিয়ে গিয়ে ভারতের সিএমসি হাসপাতালে পাঠায়।
সেদিন সিএমসির বিখ্যাত নিউরো সাজন ডা: আরি চাকু আমাকে রিকভারী করে সুস্থ করে তোলেন। সেদিন আমার নতুন জীবনের জন্য আল্লাহকে বার বার ধন্যবাদ জানিয়েছি আর ডা: আরি চাকু সহ সকল ডাক্তারদের প্রতি ছিল আমার অসীম কৃতঙ্গতা।
তারপর সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এলাম। ঠিক তেমনি একটি মুহুর্তে আমার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন ঝন্টু হার্ট এটাকে হৃদরোগ হনষ্টিটিউটে মৃতবরন করেন। সে চলে গেল কিন্ত আমাকে ফেলে রেখে গেল এক দুবিৃসহ জীবনে। তার রেখে যাওযা দুটি এতিম সন্তানের দাযিত্ব দিয়ে গেল সেদিন আমার মত একজন অসুস্থ মানুষের উপর।যা ছিল সেদিন বড়হ নিমম ও বেদনাদায়ক!
আল্লাহ ছাড়া সেদিন আমাদের পাশে দাড়াবার মত কেহহ ছিলনা।একদিকে পাওনাদারদের তাড়া।অন্যদিকে নিজের অসুস্থ্যতা-সবকিছু মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল। তারপর বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য পেলাম।আঞ্জুমান মফিদুল্ও সেদিন তাদের কাফনের টাকা দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছিল যা ছিল বড়হ কষ্টাদায়ক ! তারপর এক সময ডাচ্ বাংলা ব্যাংকও আমার পাশে এসে দাড়ায়। সকলের প্রতি আজ আমার সীমাহীন কৃতঙ্গতা রযেছে।
সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে যেদিন আমি আবার কুলে উঠতে সক্ষম হলাম। দুটি অসহায় সন্তানকে নিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবীর সপ্ন দেখলাম। ঠিক ত্খনহ আবার আমি আমার মাথার উপর সেহ অশুভ শক্তির ছায়া দেখতে পেলাম। আমি চিৎকার করে বাচঁতে চাহলাম। কিন্ত আমার নিয়তী!আমার আর্থিক অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে আবারও আমার বড় সন্তানদের সামনে আমাকে বিতর্কিত করল। আমি প্রতিবাদ করলাম। আমার অধিকার দাবী করলাম। কিন্ত আমাকে বলা হল-আমি পাগল,সন্ত্রাসী আমাকে মানসিক হাসপাতালে যেতে হবে। এমন কি সে উদ্বত ভাষায় বলেছিল-আমি এর জবাব এ বাংলার কাউকে দিবনা।
সেদিন আমি পিস্তলের পরিবর্তে আমার বাবার কাচিঁ অর্থে কি বোড হাতে তুলে নিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, অমানবতার বিরুদ্ধে।
তারপর আমার কলমের ধার পরিক্ষার জন্য একদিন আমাদের সময় পত্রিকার মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওযালিউর রহমান স্যারকে বেছে নিলাম।আমি বাঙ্গালী হয়ে স্যারের সাথে কথা আলোচনা করেছি আমার পরিবার, সমাজ, প্রশাসন ও গনতন্ত্র নিয়ে কারন স্যার ৩১ মাচ/০৯ লিখেছিলেন-‘ গণতন্ত্রকে বাচাঁতে চাহ সর্বাত্ত্বক প্রচেষ্টা ‘’
স্যার আমার লেখায় মুগ্ধ হয়ে বার বার আমার ব্রাকগ্রাউন্ড, আহডেনটিটি ও রিয়েল নেম জানতে চাহছিলেন কিন্ত আমি তাকে দিতে পারিনি কারন যদি আমার নামটি বলতাম তবে আমার লেখা বন্ধ হয়ে যেত কারন কৃষকের মেয়েদের তারা ঘৃর্ণা করেন।
তারপর স্যার যেদিন আমাকে তার বিলিয়ার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সেমিনারে দাওযাত করলেন সেদিন আমাদের মাননীয় আহনমন্ত্রীর থাকার কথা ছিল কিন্ত অবশেষে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন। আর আমি সেদিন নিজেকে এক অসাধারন বাঙ্গালীতে পরিনত করেছিলাম যার উপার রচিত হয়েছে আমার অসাধারন বাঙ্গালীর গল্প।
তারপর আমার লেখা শেষ করে যেদিন স্যারের সামনে আমি স্বশরীরে উপস্থিত হলাম। তারপর থেকে স্যারও নিরব হয়ে গেলেন। কারন সত্যি কথা কেহহ শুনতে চাননা। তাহ সেদিন আমি স্যারকে কঠিন ভাষায় লিখেছিলাম-আপনি বাঙ্গালীকে কথা দিয়েছেন-তার গল্প পড়বেন-আপনি ওয়াদা ভঙ্গ করলে বাঙ্গালী আপনাকে ক্ষমা করবেনা আর করবেনা বাংলার মানুষ। সেদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারত দুরের কথা আপনাদেরহ জাতির সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।সেদিন বেশি দুরে নয়।
তারপর সেদিন থেকে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লেখা শুরু করলাম।কেবলমাত্র কষ্টগুলিকে প্রশমিত করার জন্য।প্রতিদিনের ভাবনাগুলোকে লিখে গেছি। আরও লিখেছি আমাদের সমাজ কল্যান মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও বাংলার সকল নারী সমাজকে। কিন্ত সামনে আমার অনেক প্রতিবন্ধকতা যা ভেদ করে আমি সামনে যেতে পারছিলামনা।তার পাশে বসে আছেন আমার আপনজনেরা। আমিত তাদের ছোট করতে পারিনা। কেবল বোবা কান্নার গল্প লিখে গিয়েছি। কিন্ত আমরা নারীরা আজ এ সমাজে বড়হ অসহায় যার জন্য সেদিন বার বার আমি আমাদের সময় পত্রিকার নাহমুল হসলাম খান ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেবকে বার বার অনুরোধ করেছিলাম আমার বোবা কান্নার গল্পটি প্রকাশ করার জন্য কিন্ত তারা সেদিন পারেননি আমাকে সাহায্য করতে।হয়ত আমি আমার মাথার ঘুমটা খুলে সামনে যেতে পারিনি বলে। তাদের দোষ দিয়ে কি লাভ ?
অবশেষে একদিন আমি হন্টারনেটে ফেসবুক ওপেন করলাম। আমার অক্সিজেন নেবার জায়গা করে নিলাম। সেখানে আমার ভাবনাগুলি প্রতিনিয়ত লিখে গেলাম।তার ভিতর আমি হংরেজীতে দুটি আর্টিক্যাল লিখলাম যা ছিল- `Oh my friends of the Word’ and `I recall today’ ।
সেদিন পাকিস্তান গ্রুপ-হনলাভ হিউমানিটি মিশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা আগা তারিক এহচ খান আমার সেহ হংরেজী লেখাটি পড়লেন ও আমার সততায় মুগ্ধ হয়ে তাদের মিশনের অগ্রানাহজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ দিলেন।
কিন্ত দু:খের বিষয় আমি তাদের মিশনের সাথে কাজ করতে পারছিলামনা। যদিও কাজ করার জন্য আমি প্রস্ততি নিযেছিলাম।এমনকি তাদের মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি একদিন গুডনেস ডে-ও পালন করেছিলাম যা আমার ভাবনাগুলোতে প্রতিনিযত প্রকাশ করে যাচ্ছিলাম।কিন্ত সবসময় ভেবেছি আমরা িএকটি আলাদা জাতি। তারপর আমাদের একটি পতাকা আছে যা অনেক রক্তের বিনিমযে আমরা অর্জন করেছি।আমিত আজ পাকিস্তানী গ্রুপের পতাকার তলে দাড়াতে পারিনা। তাছাড়া আমি দেখেছি আমাদের অনেক শিশুরা আজও পাকিস্তানীদের জুসও মুখে দেয়না।
তারপর একসময় তাদের সাথে আমার ভুল বুঝাবুঝি হল সেদিন আমি আমার সপ্নের রাহিলা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন এর অন্য রুপ কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম।
এখানে আর একটি কথা যেটা হল-একদিন আমার সংগ্রামী জীবনে আমাকে প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে নড়াহল যেতে হয়েছিল আর সেদিন আম‘১৮তম আন্তজাতির্ক প্রতিবন্ধী দিবস-২০০৯ নড়াহলের প্রতিবন্ধী, দু:খী মানুষের সাথে পালন করেছিলাম। আর সেহ সরকারী দিবসে নড়াহল হউটিডিসি মিলনাযতনে আমি আমার অতিথি বক্তব্যে কেবল আমার নড়াহলের স্মৃতির কথা ও আমার শিক্ষিত প্রতিবন্ধীর গল্পের কথা বলেছিলাম কিন্ত যারা সেদিন আমার কাছে সাহায্যের আশা করে তাদের দু:খ কষ্টগুলিকে আমাকে বলেছিল সেদিন আমি তাদের জন্য কিছুহ বলতে পারিনি। কেবল আমার না বলা কথা নিয়ে ঢাকায় ফিরে এলাম আর সপ্ন দেখলাম তাদের জন্য রাহিলা প্রতিবন্ধী ফা্উন্ডেশন। আর সেদিন থেকে আমি লিখতে শুরু করলাম। সেদিন তারা আমাকে রাণীর মর্যাদা দিয়েছিল। আজ তাদের কাছে ফিরে যাবার জন্য আমার কেবল বোবা কান্না।
তারপর হেরোস নেভার ডাহ গ্রুপ আমাকে একদিন তাদের হিরো হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। আমি ভিষণ খুশি হয়েছিলাম সেদিন। মানব সেয়ানা বলেছিল-এ মাস মানবের। এ মাস মানবতার। এ মাস বিজয়ের । তারপর আমি লিখেছিলাম এ মাস কৃষান কন্যার বিজয়ের মাস কারন আমার সব লেখা তখন শেষ। কেবল বিজয়ের অপেক্ষা্ আর আর ঠিক তেমনি একটি সময়ে আমাদের বিজয় দিবস। তাহ আমি আমার ফেসবুকে সারা পৃথিবীর সামনে আমার বিজয় ঘোষনা করেছিলাম বিজয়ের দিন। আপনজনদের কাছে আমন্ত্রন পত্র প্রকাশ করেছিলাম। এমনকি আমি প্রথম আলো ও মানবজমিন পত্রিকা অফিসেও যোগাযোগ করেছিলাম।
তারপর আমার হচ্ছা ছিল আমি সোহরাওযার্দী উদ্যান থেকে আমার কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনের মাধ্যমে এদেশের দু:খী, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মুক্তির ঘোষণা দিব।
কিন্ত আগের দিন আমার কথা হল মানব সেয়ানা বনাম সুমন মাহমুদ এর সাথে । সে বলেছিল-আমরা সকলেহ বিজয়ের মাঠে যাব । সকালবেলা সোহওরার্দী উদ্যান ফাকা থাকবে।
আমি সবসময় সত্যকে খুজেঁ ফিরি। তাহ আমি প্রথম বিজয় দেখব বলে ছেলেকে নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়লাম বিজয়ের মাঠের দিকে (জাতীয প্যারেড স্কোযার শেরেবাংলা নগর)। অনেক পথ হেটে, অনেক কষ্টের পর আপনজনদের সাথে আমি বিজয়ের মাঠে প্রবেশ করলাম।
আমি তাদের সাথে না গিয়ে ভিআহপি গেটের দিকে চললাম। আর গেটে পৌছেঁ আমি প্রধান সিকুরিটির সাথে কথা বললাম। তাকে আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাড দেখালাম।আরও বললাম-আমি হিউমানিষ্ট দি কুহন কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশ কিন্ত না । তিনি বার বার হনভাহট কাড চাহলেন কিন্ত হনভাহট কাডত আমাদের দেয়া হয়না । কিন্ত এ বিজয়ত আমাদের। আমাদের আ্পনজনদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।
তারপর বললাম-আমি আপনাদের এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলনের ভাবী। তারপরও বিশ্বাস করতে চাহলেন না কারন আমাদের বাস্তবতা। কেন আমি তার ভাবী হতে যাব ? তারপর তিনি যখন আমাকে স্ট্রেজ করে বের করে দিলেন তখন আমি আমার হাতের ব্যাগ তার উপর প্রয়ো্গ করেছি।আমি তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি-তোমরা নির্বোধ, বালক ও বোকা । তোমরা আমাদের অন্ন ধ্বংষ করছ। আমাদের এত শক্তিশালী গোযেন্দা্ থাকতেও সেদিন বিডিআর মিউটিনি হযেছিল। আমাদের সাধারন সৈনিকেরা বিদ্রো্হী হল আর মারা গেল সব নির্দোষ প্রাণ। আর আজ দুহ বছর বাংলাদেশ সচিবালয়ে কাচিঁ হাতে এক কৃষান কন্যার জন্ম হল আর সে অন্য কেহ নয়, তোমাদের এক আপনজন।
সকলের জন্য শুভেচ্ছা-
বাংলাদেশ দীঘজীবি হোক।
(কৃষান কন্যা রাহিলা)
কৃষি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Many days passed but no could not any work for my poor, needy,hunger, helpless and innocent peoples. Only for this my feelings is so bad. On the other hand I am trying for publish my all books but how to do ? To need money. Only for this I published my Bank account. But seem to me that in here no any good person who love humanity and who can help me only for human wellbeing. After that I hope of course one day they understand of our indispensable reality and help to us. Rahila Khanum, account no. 110.101.244589, Dutch Bangla Bangk, Dhanmondi Branch, Road no. 8, Dhaka.
ReplyDelete