Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Friday, November 18, 2011

কোথায় আমাদের মুল্যবোধ ?

Krishan Konna Rahila
ফেসবুক বন্ধু মি: আমরুল হক গতকাল আমার ওয়াল ও কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনে লিখেছিলেন-  Amrul Haq : -''Topic: Amader MulloyBodh, Tomorrow Friday one of our friend Mr. Nurul Halim has a program at Sohorawardy Uddayan; Bsides Sabir Hat, You may come and can read your writing/poem, or can give your speech from 10 AM to 6 PM.

তারপর আমি সারাদিন খুজেঁছি আমাদের মুল্যবোধ। সারাজীবন আমি গোপালগঞ্জের জন্য আত্মত্যাগ করেছি কিন্ত কিছুই পাইনি। আর আ্জ আমি গোপালগঞ্জের দুইটি এতিম সন্তান লালন পালন করছি। সুতরাং আজ প্রথমেই আমি তাদের সাথে মুল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই আজ আমার ফেসবুকের বন্ধুদের সাথে সময় দিতে পারিনি।

এখন আমার প্রশ্ন এই বাংলার কাছে কোথায় আমাদের মুল্যবোধ ? কোথায় আমাদের নৈতিকতাবোধ ? কোথায় আমাদের মানবতাবোধ ? কোথায় আমাদের সত্যিকার গণতন্ত্র ? কোথায় স্বাধীনতার চেতনা ? কোথায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা ? কিছুই নেই আজ এই বাংলায়।  কেন আমরা গলা ফাটিয়ে আলোচনা করছি ? কে শুনবে আমাদের কথা ? কে দিবে আমাদের মুল্যবোধ ?

তখন আমার ফেসবুক বন্ধু ও ভাই জায়েদ নাসির লিখেছিলেন-

Jaweed Nasir : SORRY TO SAY WE ARE LIVING IN AN ENVY TIME & PLACE.NOW THE TIME IS COME THAT PEOPLES DEDICATE VALUE TO RAHILA KHANAM’S EXCELLENTLY PATRIOTIC REALIZATION & WORK.

Jaweed Nasir HONOURABLE C.E.O OF KRISHAN KONNA RAHILA HAS THE UNBEATABLE TALENT OF THE IDEAL WRITING WITH THE AIM OF AWAKEN HER PEOPLE TO BE CREATIVE. SHE EVER DISPLAYS HER BRAVEST APPEARANCE AGAINST DISHONESTY.

আমি আমার জীবনে দেখেছি ধনী-গরীবের ব্যবধান। আমার বিবাহের পর আমার স্বামী সাখাওয়াত বলত-আমরা হলাম নবাবের বংশধর আর তুমি হলে কৃষকের মেয়ে অর্থাৎ সে হল কাশিয়ানীর তৎকালীন বিখ্যাত ব্যবসায়ী সফিউদ্দিন মিনার পোতা আর আমি হলাম সামান্য একজন কৃষকের মেয়ে। আর সেখানেই আমি দেখেছি জমিদার ও কৃষকের পার্থক্য।
তারপর আমি সারাজীবন তাদের নিয়মকে মেনে তাদের জন্য আত্মত্যাগ করে গেছি তারপরও আমি তাদের কাছ থেকে কোন সম্মান পাইনি। অন্যদিকে; আমার সমস্ত চাকুরী জীবনে আমি সততার সাথে বাংলাদেশ সচিবালয় রুলসকে সম্মান জানিয়েছি।অথচ অবশেষে কি পেলাম ?  তাইত আজ আমি চেষ্টা করছি বাংলায় জমিদার-কৃষক আর মন্ত্রী, সচিব- পিয়নের  পার্থক্য হ্রাস করার জন্য। আমার কাছে সকলেই সমান। আমরা সকলেই মানুষ।

আমার কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন কোন ধনাট্য বা কর্মাশিয়াল ফাউন্ডেশন নয়। এর বড় লক্ষ্য বাংলার মানুষকে মানবতা, মুল্যবোধ, নৈতিকতাবোধ, স্বদেশপ্রেম শিখানো এবং গণতন্ত্রকে আধুনিকরণ কেবলমাত্র অসহায় জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য। সমাজে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ দুর করার জন্য। কারন বাংলাদেশ আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। এখানে আমরা জন্ম নিয়েছি ও বেড়ে উঠেছি। আমরা প্রতিনিয়ত এর আলো-বাতাস, খাদ্য, পানি গ্রহন করছি তাই আমাদের মাতৃভূমির উপর আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

সে আগ্রাসী রুলসের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ সারাজীবন যুদ্ধ করেছিল আর অবশেষে  ১৯৭১ সনে অনেক রক্ত, অনেক ধ্বংষ, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন  করেছিল অথচ আজ যখন দেখছি বাংলার দিকে তাকিয়ে-কেবল সেই আগ্রাসী রুলস-জমিদার-কৃষক, ধনী-গরীব আর সেহ একটি মাত্র কারনে মানুষের অতিরিক্ত লোভ লালসা যা আজ আমাদের জন জীবনকে অস্থিতিশিল করে তুলেছে, মানুষ তাদের নৈতিকতা বোধ, মুল্যবোধ, দেশত্ববোধ, মানবতাবোধ,স্বদেশপ্রেম হারিয়ে ফেলেছে আর যে ভিত্তির উপর বাংলার সংবিধান রচিত সেহ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তা, ধর্ম নিরপেক্ষতা সবই বিলিন হয়ে গেছে। তাইত আমি আজ বাংলার নতুন প্রজন্মদের আহবান করছি-সকল নাগ পাস জিঞ্জির ছিন্ন করে নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রত্যেকেই সত্যিকার দেশপ্রেমিক, মানবতাবাদি, নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন, একনজ সৎ মানুষ  হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুন। আজ বাংলায় সৎ মানুষের বড়ই অভাব। আমি চাই সত্যিকার সৎ, দেশপ্রেমিক, মানবতাবাদী মানুষগুলি জেগে উঠুক, বেরিয়ে আসুক। চারিদিকে কেবল দানবের থাবা যারা ক্ষমতার লোভে কেবল বাংলার মানুষগুলিকে হত্যা করছে, মায়ের বুক খালি করছে, স্ত্রীকে বিধবা করছে, সন্তানদের পিতৃহারা করছে। আজ আপনারা যদি বেরিযে না আসুন তবে সারাজীবন জাতির কাছেই নয়, নিজের কাছেও অনুতপ্ত হবেন। আমরা এহ পৃথিবীতে কেবলই একটি সময়ের জন্য। আজ মা মাটি ও দেশকে বাচাতে হবে।

আমাদের নুতন প্রজন্মরা  ১৯৫২-১৯৭১ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাস মোটামুটি জানলেও ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত সকল ইতিহাস রয়ে গেছে তাদের অন্তরালে। কিন্ত কেন ? আমরাত কেবল বলছি-আমাদের নতুন প্রজন্মরা আজ বাংলার ইতিহাস জানেনা। অথচ কখনও বলিনা যে আমাদের আপনজনেরা যে দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছে সেই দেশটি আজ বিভক্ত কেন ? আর এখানেই জটিলতা আর ভুল রয়ে গেছে আর তার জন্য সাফার করছে বাংলার অসহায় জনগণ।

আমি দেখেছি- ১৯৭২ এর পর দেশ আবার অশুভ শক্তিতে ছেয়ে গেল। চারিদিকে কেবল চুরি, ডাকাতি, হত্যা বিশেষ করে সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেল। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মিশিল, মিটিং বেশিমাত্রায় চলছিল। কারন আমরা গ্রামে থেকে জানতে পারতাম-আজ নড়াইল কলেজে মিশিলে গুলি হয়েছে অথবা দুই গ্রুপে গন্ডগোল হয়েছে। আর হোস্টেলে থাকা বড় ভাইয়ের জন্য বাড়ীতে বেশী মাত্রায় চিন্তিত থাকত সকলেই।

ঠিক এমনি একটি দিনে বড় ভাই নুরুল ইসলামকে নদীর ওপর পারে চন্ডিবরপুর গ্রামে দাওযাত করল হিন্দু বাড়ীতে কারন আমাদের এলাকায় বড় ভাইয়ের জন্য দুষ্ট লোকগুলি সুবিধা করতে পারছিলনা। তিনি ছিলেন গরীবের বন্ধু।তারপর বিয়ে বাড়ী গিয়ে কিছু লোক দেখে তাদের সন্দেহ হয় ও দ্রুত বাড়ীতে ফিরে আসার জন্য খেয়াঘাট পার হবার পর জেলেপাড়ার কাছে এলেই নদীর তীরে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্ত সেদিন প্রশাসন ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। তাইত সেদিন আমরা তার কেচটি পযর্ন্ত করতে পারিনি। এমনকি সেদিন আবার মেজে ভাইকেও হত্যার হুমকি দেয় আর তখন সে আমাকে নিয়ে নড়াইল মামার কাছে চলে আসে। 

মা বলেছিলেন সেদিন -শেখ মুজিব নাকী নির্দেশ দিয়েছিলেন-দুশ্কৃতিকারীদের, সন্ত্রাসীদের কচা (এক ধরনের গাছ) দিয়ে পিটিয়ে  মে্রে ফেলার জন্য। আর তার পরেই বড় ভাই নিমর্মভাবে নিহত হয়েছিলেন। আরও সেদিন আমি দেখেছি সেনাবাহিনী গ্রামে গিয়ে কিছু লোককে ধরে গাছে ছুলিয়ে পায়ে আঘাত করছে, তার আগে নাকী নাকে গরম পানি ঢেলেছিল।

এই দেশের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন জীবন দিয়েছিল,সম্পদ দিয়েছিল, সম্মান দিয়েছিল। অথচ কি পেল তারা এই দেশের কাছে ? কিসের জন্য তাদের এই আত্মত্যাগ ছিল ? আজও বাংলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত আত্মত্যাগ করে চলেছে কিন্ত আমরা কোথাও আমাদের মুল্যবোধ খুজে পাইনা। কোথায় আমাদের মুল্যবোধ ? কোথায় আমাদের নৈতিকতাবোধ ?  আজ যদি মুল্যবোধ থাকত তবে রাহিলাকে সারাজীবন সংগ্রাম করতে হতনা্। রাহিলাকে প্রতিবন্ধীর সারিতে দাড়াতে হতনা। রাহিলাকে কৃষি মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হতনা। সর্বপরি, এই বাংলায় কৃষান কন্যার সৃষ্টি হতনা। (অব্যাহত)
কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৮ নভেম্বর/২০১১ খ্রি:, রাত ৩-২৭ মি:




1 comment:

  1. এই দেশের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন জীবন দিয়েছিল,সম্পদ দিয়েছিল, সম্মান দিয়েছিল। অথচ কি পেল তারা এই দেশের কাছে ? কিসের জন্য তাদের এই আত্মত্যাগ ছিল ? আজও বাংলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত আত্মত্যাগ করে চলেছে কিন্ত আমরা কোথাও আমাদের মুল্যবোধ খুজে পাইনা। কোথায় আমাদের মুল্যবোধ ? কোথায় আমাদের নৈতিকতাবোধ ? আজ যদি মুল্যবোধ থাকত তবে রাহিলাকে সারাজীবন সংগ্রাম করতে হতনা্। রাহিলাকে প্রতিবন্ধীর সারিতে দাড়াতে হতনা। রাহিলাকে কৃষি মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হতনা। সর্বপরি, এই বাংলায় কৃষান কন্যার সৃষ্টি হতনা।

    ReplyDelete