Krishan Konna Rahila |
সন্তান তার মাকে বলছে-''তুমি আমাদের মৃতুর জন্য দায়ী। তুমি তিনটি জীবন হত্যা করেছ। ''
মা বলছে-‘হ্যা আমিই দায়ী’। আমার বাবা সেদিন তোমার বাবার কাছে আমাকে আমানত হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্ত সেই আমানতটিকে তোমার বাবা যত্ন করে ধরে রাখতে পারেনি। তারপরও তোমার বাবা সেদিন আমাকে অনুরোধ করেছিল-'জীবনে আমি তোমার কাছে কিছুই চাইব না, কেবল তুমি আমার ছোট সন্তানের কথা ভেবে, আর আমার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এই কথাটি মেনে নাও। যা ছিল সেদিন আমার কাছে বড়ই কঠিন। তারপরও কেবল তোমার কথা আর তোমাদের পরিবারের কথা ভেবে আমি তার অপরাধকে নিজের মাথায় নিয়ে জীবন থেকে পালিয়ে গেলাম। তারপর সংগ্রামী জীবনের এক পর্যায়ে রোড এক্সিডেন্টে একটি পা হারিয়ে বোবা হয়ে গেলাম। তারপর একদিন তোমার বাবাও তোমাদের দায়িত্ব আমার মত অসহায় মানুষের উপর দিয়ে চিরদিনের মত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।
সেদিন হয়ে গেলাম বড় অসহায়। চেয়ে চেয়ে দেখলাম- তোমার চাচারা সকল সম্পত্তি নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে গোপনে রেজিষ্ট্রি করে নিল। কোনদিন খোজ নেবারও প্রয়োজন মনে করেনি। অথচ ইসলাম ধর্মে এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা বড় অপরাধ। তারপরও ঘটেছিল।
আরও দেখলাম-আমার বাবার প্রচুর সম্পত্তি ছিল । অথচ অনিচ্ছাসত্বেও তার জীবিতকালীন সময়ে ও মৃতুর পরে ভাইদের প্রয়োজন মত বিক্রি করেছে কিন্ত বোনেরা আজও পারেনি এক টুকরা বিক্রি করতে। একেই বলে বাংলার নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজ ও না্রীর অধিকার।
তারপর অসুস্থ্য বলে কাছের বন্ধুটিও মান সম্মান ও শান্তি রক্ষার্থে ত্যাগ করল। মানবতা, অধিকার বলে কিছুই রইল না পৃথিবীতে। একসময় চাকুরীস্থলেও শুরু হল অবহেলা আর অনাদর। তার বড় কারন মাথা নত করতে পারিনি বলে। অবশেষে চাকুরীটাও চলে গেল।'' এখন সন্তান গুলি অসহায়।
আসলে এর জন্য কে দায়ী ? আমরা পৃথিবীতে নারী হয়ে জন্মেছিলাম তাই ? সন্তানের জন্য কেবল আমরা মায়েরাই দায়ী ? আর যদি কার পিতামাতা না থাকে ? সমাজে যাদের বাবা মা থাকে না তাদের দায়িত্ব কে নিবে ? SOS পল্লী অথবা এতিমখানা।
তাকে বিশ বছর আগেও সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল আর অদ্যাবধি তাকে নিতে হবে ? সে কি কারো স্ত্রী ছিল না ? কারো সন্তান ছিল না ? কেন নারী পুরুষে আজ এত ব্যবধান ? কেন পৃথিবীতে মানবতা, অধিকার থাকবে না ? ঠিক সমাজের এই সব কাহিনী দেখে আমি কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করেছি কেবল বাংলায় সেই সব অসহায় শিশুর জন্য। যারা বড়ই ভাগ্য বিডম্বিত, অসহায়। আমি আজ সেই সব অসহায় শিশুদের দায়িত্ব নেবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। জানিনা কখন আমি আমার লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারব। (অব্যাহত)
-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৫ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:. বিকাল ৫-৩৬ মি:
মা বলছে-‘হ্যা আমিই দায়ী’। আমার বাবা সেদিন তোমার বাবার কাছে আমাকে আমানত হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্ত সেই আমানতটিকে তোমার বাবা যত্ন করে ধরে রাখতে পারেনি। তারপরও তোমার বাবা সেদিন আমাকে অনুরোধ করেছিল-'জীবনে আমি তোমার কাছে কিছুই চাইব না, কেবল তুমি আমার ছোট সন্তানের কথা ভেবে, আর আমার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এই কথাটি মেনে নাও। যা ছিল সেদিন আমার কাছে বড়ই কঠিন। তারপরও কেবল তোমার কথা আর তোমাদের পরিবারের কথা ভেবে আমি তার অপরাধকে নিজের মাথায় নিয়ে জীবন থেকে পালিয়ে গেলাম। তারপর সংগ্রামী জীবনের এক পর্যায়ে রোড এক্সিডেন্টে একটি পা হারিয়ে বোবা হয়ে গেলাম। তারপর একদিন তোমার বাবাও তোমাদের দায়িত্ব আমার মত অসহায় মানুষের উপর দিয়ে চিরদিনের মত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।
সেদিন হয়ে গেলাম বড় অসহায়। চেয়ে চেয়ে দেখলাম- তোমার চাচারা সকল সম্পত্তি নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে গোপনে রেজিষ্ট্রি করে নিল। কোনদিন খোজ নেবারও প্রয়োজন মনে করেনি। অথচ ইসলাম ধর্মে এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা বড় অপরাধ। তারপরও ঘটেছিল।
আরও দেখলাম-আমার বাবার প্রচুর সম্পত্তি ছিল । অথচ অনিচ্ছাসত্বেও তার জীবিতকালীন সময়ে ও মৃতুর পরে ভাইদের প্রয়োজন মত বিক্রি করেছে কিন্ত বোনেরা আজও পারেনি এক টুকরা বিক্রি করতে। একেই বলে বাংলার নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজ ও না্রীর অধিকার।
তারপর অসুস্থ্য বলে কাছের বন্ধুটিও মান সম্মান ও শান্তি রক্ষার্থে ত্যাগ করল। মানবতা, অধিকার বলে কিছুই রইল না পৃথিবীতে। একসময় চাকুরীস্থলেও শুরু হল অবহেলা আর অনাদর। তার বড় কারন মাথা নত করতে পারিনি বলে। অবশেষে চাকুরীটাও চলে গেল।'' এখন সন্তান গুলি অসহায়।
আসলে এর জন্য কে দায়ী ? আমরা পৃথিবীতে নারী হয়ে জন্মেছিলাম তাই ? সন্তানের জন্য কেবল আমরা মায়েরাই দায়ী ? আর যদি কার পিতামাতা না থাকে ? সমাজে যাদের বাবা মা থাকে না তাদের দায়িত্ব কে নিবে ? SOS পল্লী অথবা এতিমখানা।
তাকে বিশ বছর আগেও সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল আর অদ্যাবধি তাকে নিতে হবে ? সে কি কারো স্ত্রী ছিল না ? কারো সন্তান ছিল না ? কেন নারী পুরুষে আজ এত ব্যবধান ? কেন পৃথিবীতে মানবতা, অধিকার থাকবে না ? ঠিক সমাজের এই সব কাহিনী দেখে আমি কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করেছি কেবল বাংলায় সেই সব অসহায় শিশুর জন্য। যারা বড়ই ভাগ্য বিডম্বিত, অসহায়। আমি আজ সেই সব অসহায় শিশুদের দায়িত্ব নেবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। জানিনা কখন আমি আমার লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারব। (অব্যাহত)
-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৫ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:. বিকাল ৫-৩৬ মি:
No comments:
Post a Comment