Krishan konna Rahila |
সরকারী ব্যাংক হল সরকারের মুল চালিকা শক্তি৷ সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রুপালী ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এতদিন তারা অস্বচ্ছল থাকলেও তাদের হাতে ছিল বিপুল অর্থ যা দিয়ে তারা দৈনন্দিন ব্যয় মিটিয়েও মুদ্রাবাজারে নিয়োগ করে লাভবান হতে পারত৷ কিন্ত এখন তাদের সেই পরিস্থিতি নেই৷ উল্টা তাদের আজ মুদ্রাবাজার হতে ঋণ গ্রহন করে চলতে হচ্ছে৷ বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোপূর্বে অর্থ মন্ত্রনালয়কে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি৷ কিন্ত কেন ? আর আজ উপায় না দেখে মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়েছে যখন বিষয়টি নিজেদের আয়ত্বের বাহিরে চলে গেছে৷ আজ দেশে প্রতিটা সেক্টরেই এটাই ঘটছে৷ যা আমাদের লোক চক্ষুর অন্তরালেই থেকে যাচ্ছে। কিন্ত আমাদের আজ এই বাস্তবতাকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হচ্ছে৷
সরকার আসে, সরকার যায় ৷ আর সাথে সাথে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের দলীয় লোকদের নিয়োগ করা হয়৷ কারন তারা সরকারের প্রতি সব সময় কৃতঙ্গ থাকে মনে মনে৷ কথা বলার মত সত্ সাহস থাকে না৷ এরা শপথ নিযে চাকুরীতে এলেও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তারা তাদের শপথের কথা ভুলে যায়৷ আর চলতে থাকে দেশে দুর্নীতি৷ এদের মাধ্যমে তারা তাদের সকল মনোবাসনা পুর্ণ করে৷ যতৰণ পর্যন্ত ঝুড়ির তলা ফুটা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে একই নিয়মে তারপর এক সময় তা আর সামলাতে পারে না৷ তখনই কেবল প্রকাশ পায় আমাদের মিডিয়াগুলোতে৷ যা সত্যিই দু:খজনক ও ঘৃর্ণাযোগ্য৷
আমি একটি ভাত টিপে দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারি৷ আমাদের জনপ্রতিনিধি নিয়োগ হয় টাকার মাধ্যমে৷ তারা প্রথমে টাকা নিয়োগ করেন৷ তারপর দেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে তারা প্রাধিকারের ভিত্তিতে তা তুলে নেবার চেষ্টা করে পরবর্তী সময়ের জন্য৷ আর জনগনের কথা ভুলে দলীয় সুযোগ সুবিধা চলতে থাকে৷ আমি গত টার্মে লিখেছিলাম বেসরকারী ব্যাংকের অনুমতি প্রসঙ্গে৷ যেখানে মালেশিয়াতে বেসরকারী ব্যা্ংকের পরিমান বাংলাদেশের অর্ধেক সম্ভবত:৷ খুব সম্ভব ২৫-২৬টি আর আমাদের দেশে প্রায় ৫০ টির মত৷ সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই৷ তারপর অর্থ মন্ত্রী ইতিহাস পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরও অতিরিক্ত বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করেছিলেন৷ কার্যকারিতা জানা নেই৷
আজ আমাদের এই রাষ্টায়ত্ব ব্যাংক সোনালী, অগ্রনী, জনতা ও রুপালী ব্যাংকের আর্থিক সংকটের কারন এই সব বেসরকারী ব্যাংক৷ তারা জনগণকে অধিক হারে মুনাথা দেয় ফলে সরকারী ব্যাংকগুলির প্রতি জনগনের আগ্রহ হারিয়ে যায় আর তারা তাদের টাকা সব তুলে নিয়ে বেসরকারী ব্যাংকে জমা রাখে৷ আর এইভাবে ধ্বংষ হয়ে যায় সরকারী ব্যাংকগুলি৷
আজ আমরা বাংলার মানুষ বড়ই অসহায়৷ এই দেশে ব্যবসায়ীর অভাব নেই৷ অর্থের অভাব নেই৷ এরা একটির পর একটি ব্যাংক তৈরী করছে, অপরদিকে আমাদের সরকারী ব্যাংকগুলি ধ্বংষ হয়ে যাচ্ছে৷ বাংলার জনগণ আজ তাদের মৌলিক চাহিদা মিটাতেই হিমসিম খাচ্ছে৷ যেখানে আমাদের বিপুল বেকার জনগোষ্টির কর্ম সংস্থানের জন্য অধিক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত, অথচ যেখানে তৈরী হচ্ছে অধিক হারে ব্যাংক টাকা রাখার স্থান৷ বাংলার বেশিরভাগ মানুষ আজ ভাত, কাপড় কিনতে পয়সা পাচ্ছেনা , অথবা কেহ কেহ টাকা রাখারও জায়গা পায়না৷ এটাই বাস্তব৷ আর ধনী-গরীবের বৈষ্যম্য এখানেই রয়ে গেছে৷
বাংলাদেশ ব্যাংক হল দেশের কেন্দ্র ব্যাংক যে ব্যাংক দেশের সকল ব্যাংকের কেন্দ্রবিন্দু৷ যে ব্যাংক সকল ব্যাংককে নিয়ন্ত্রন করে৷ নতুন সরকার গঠনের পর সেই বিরাট দায়িত্ব দেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ড. মো: আতিয়ুর রহমানকে৷ যাকে দেখা গেছে সত্ এবং সহজ সরল৷ বাংলাদেশ ব্যাংকটির মত গুরুত্বপূর্ণ পদটি তার জন্য উপযুক্ত ছিলনা৷ কারন বাংলার মানুষ ভিষণ চালাক৷ এখানে প্রয়োজন ছিল বিজ্ঞ আর শক্তিশালী কর্মকর্তার যিনি দেশের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ সেনসেটিভ সেক্টরটিকে শক্ত হাতে পরিচালনা করতে পারেন৷ কিন্ত তা হয়নি তার কারন আমাদের নষ্ট রাজনীতি৷ আমরা এমন সব জায়গায় এমন মানুষকে সেট করি যাদের দ্বারা আমরা দেশের চেয়ে দলীয়ভাবে লাভবান হতে পারি, ঠিক এমনি ঘটে৷ ড: আতিয়র রহমানও ঠিক তেমনি একজন৷ অর্থ মন্ত্রী আবদুল আল মুহিত এর মত বিচক্ষণ আমলারা তাকে দশবার কেনা বেচা করতে পারেন৷ আর ঠিক আজ ঘটেছেও তাই৷ তার কারন তিনি ইতোপূবে অর্থ মন্ত্রনালয়কে সতর্ক করলেও মন্ত্রনালয় তার কথার কোন কর্ণপাত করেনি৷ আর করার কথাও নয় কারন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব মতামত থাকলেও রাজনৈতিক কারনে তা তারা পারেনা৷ তারা হয়ে পড়ে অসহায়৷ আর প্রতিটি মানুষের লোভ তার জন্মগত স্বভাব যা ছিন্ন করে বেরুতে পারে না৷ দেশ ও জনগনের ক্ষতি হচ্ছে মনে করেও তারা সেখান থেকে সরে দাড়ায় না কারন তারা জানে সরে যাবার সাথে সাথে তাদের সীট ফিল আপ হয়ে যাবে কারন গুরুত্বপূর্ণ সীট কখনও খালী থাকে না৷ উল্লেখ্য, কেবল খালী আছে গ্রামীন ব্যাংকের এমডির পদটি৷ কারন এই পদটির বিষয়ে বিশ্ব বাসীর নজরে তাই অর্থমন্ত্রীকে একটু ভাবতে হচ্ছে৷
যাহ হোক আমি প্রথমে দেখেছিলাম ডা: আতিয়র রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেই কৃষকদের মাঝে মনে হয় ১০ টাকার--আমি বিষয়টি ভাল করে জানিনা৷ তবে তা কৃষকদের কতটুকু উপকারে এসেছে আমার জানা নেই৷ তবে আজ যদি তিনি দরিদ্র কৃষক সমাজের জন্য সহজলভ্যে কৃষি উপকরন উদ্ভাবন, বিতরন, নুতন প্রযুক্তির ব্যবহার, খামার যান্ত্রিকীকরন, কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কাজে সহায়তা করে নতুন নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতেন, নতুন সব বেসরকারী ব্যাংক তৈরীর অনুমতি না দিয়ে আর সেটাই হত তার বুদ্ধিমত্ত্বা আর দেশপ্রেমিকের পরিচয় কিন্ত তিনি তা না করে অন্যায়ভাবে কেবল রাষ্টীয় ব্যাংকগুলির টাকা সরকারকে ঋন দিয়ে অন্যায় করেছেন , জনগনের ক্ষতি করেছেন৷ সরকারকে তোষামোদ করেছেন৷ আর এই অবস্থা থেকে আজ আমরা কিভাবে মুক্তি পাব অথবা আমাদের সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে তা আমার জানা নেই৷ তবে বেসরকারী ব্যাংকগুলি হল রক্ত চোষা-এরা জনগণকে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাদের ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটাচ্ছে৷ ফলে পুজিবাদী সমাজ গড়ে উঠছে ৷ যারা দরিদ্র জনগনকে স্টেজ করে৷ গাছ কেটে গোড়ায় জল ঢালছে৷ তাই আজ এই বেসরকারী ব্যাংগগুলিকে হ্রাস করে অন্যান্য কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলে বেকার সমস্যার সমাধান করাই অধিক জরুরী৷ আর তাতে আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলিও রৰা পাবে৷ নয়ত আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলি ধীরে ধীরে ধ্বংষ হয়ে যাবে৷ আজ সকলকে এক কথাটি ভাবতে হবে৷ আজ আমাদেও প্রচুর কর্মকর্তা/কর্মচারী এসব ব্যাংকের সাথে জড়িত আছে৷ (অব্যাহত)
-কৃষান কন্যা রাহিলা
নভেম্বর ১৪,২০১১ খ্রি:, সকাল ১১-৩২ মি: ৷
সরকার আসে, সরকার যায় ৷ আর সাথে সাথে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের দলীয় লোকদের নিয়োগ করা হয়৷ কারন তারা সরকারের প্রতি সব সময় কৃতঙ্গ থাকে মনে মনে৷ কথা বলার মত সত্ সাহস থাকে না৷ এরা শপথ নিযে চাকুরীতে এলেও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তারা তাদের শপথের কথা ভুলে যায়৷ আর চলতে থাকে দেশে দুর্নীতি৷ এদের মাধ্যমে তারা তাদের সকল মনোবাসনা পুর্ণ করে৷ যতৰণ পর্যন্ত ঝুড়ির তলা ফুটা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে একই নিয়মে তারপর এক সময় তা আর সামলাতে পারে না৷ তখনই কেবল প্রকাশ পায় আমাদের মিডিয়াগুলোতে৷ যা সত্যিই দু:খজনক ও ঘৃর্ণাযোগ্য৷
ReplyDelete