কৃষান কন্যা রাহিলা |
মনে পড়ছে-এইত সেদিন যুগ্ম-সচিব রোকসানা ফেরদৌসী দ্বিতীয়বার কৃষি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে পদায়ন হলেন বাজেটে। তিনি এসেই আমাকে বললেন,'চিন্তা করোনা আমি তোমাকে দেখে রাখব' যা তার দৃষ্টি ও চিন্তা চেতনা হতে কারন আমাদের উপ-সচিব (প্রশাসন) থাকাকালীন সময়ে আমি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলাম। তিনি বার বার আমাকে বলতেন-'রাহিলা আপনি ডাক্তারের কাছে যান। আপনার জন্য না হলেও অন্তত আপনার দুটি ছেলের জন্য।' আর যেদিন আমি ভারত থেকে ফিরে এলাম ততক্ষনে তিনি মানিকগঞ্জের ডিসি হয়ে চলে গেছেন। সেখান থেকেও তিনি আমার সংবাদ রেখেছিলেন যার জন্য আমি তার প্রতি চির কৃতঙ্গ।
তিনি ডিসেম্বর/০৮ কক্সবাজার তারঁ অডিট সভায় আমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন কেবলমাত্র আমাকে দেখাবার জন্য। তিনি বলতেন-কবে ছেলেদের সাথে যাবেন কিন্ত এ সময়টিত আর ফিরে পাবেন না। আমরা কক্সবাজার রেস্ট হাউজে দুদিন থেকে সব সময়ই প্রায় সি বীচে খেয়েছি যা ছিল ভিষন আনন্দময়। এমনকি ঈদের সময় আমাকে শাড়ী গিফট করলেন। তারপর ২০০৯ পদোন্নতি পেয়ে সংস্থাপনে যোগদান করার পর হতে ওএসডি। মেডামের দুলাভাই সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সচিব আবদুর রশিদ সরকার একসময় আমাদের অতি:সচিব (পিপিসি)ছিলেন।
মেডামের বড় আপা (সচিব আ: রশিদ সরকারের স্ত্রী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ভিষণ ভাল মানুষ। ফোনে কথা হয়েছে অনেক সময়। বিশেষ করে মেডামের বাবা তাদের ছোট রেখে মারা যান তারপর ভাইবোনগুলি মানুষ হয়েছে এবং সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে শিখেছেন। আবদুর রশিদ, সচিব, পাট মন্ত্রনালের থাকাকালীন সময়ে ২০০৯ সনে সরকার গঠনের সাথে সাথে তিনি সাসপেন্ড হন। কারন তিনি নির্বাচন কমিশনে থেকে বিতকির্ত হয়েছিলেন। কিন্ত ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভাল মানুষ যা তার পরিবার দেখলেই অনুধাবন করা যাবে। আর সম্ভবত: সেই কারনেই যুগ্ন-সচিব রোকসানা ফৈরদোসীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। তাইত আমি মনের দু:খে মেডামকে বলেছিলাম-আপনাকেত কোন ডেক্স দেয়া হয়নি। কিন্ত আমাকে ডেক্স দিলেও কোন কাজ নেই। কারন আমার ডেক্সে তিনমাস কর্মকর্তাই ছিলনা। তাই কাজও ছিলনা।
আর যখন দেখলাম-উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী গোপালগঞ্জে ডিসি, এসপিদের সভায় বলেছিলেন-যাদের এতদিনে অসম্মান করা হয়েছিল আর আজ আমরা তাদের সম্মানিত করছি। আর তার পরই আমি দেখতে পেলাম সবে মাত্র কৃষি মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (প্র:) বদলী হয়ে মুন্সীগঞ্জে গেলেন আবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের একই ডেক্স (প্রশাসন)। এমনকি একদিন দেখলাম ইকবাল উদ্দিন স্যার আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ে এবং আমাদের ডেক্সে এসে রুম দেখছেন বসার মত ভাল পরিবেশ কিনা, আমার বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে স্যারকে অবস্যই কোন ভাল ডেক্স হতে সরানো হয়েছে কারন মানুষ নিচু থেকে উচুতে যেতে চায় কিন্ত উচু থেকে নীচুতে গেলে খারাপ লাগার কথা। স্যার ভিষণ ভাল, বুদ্ধিমান আমি স্যারের সাথে ভাইদের বিষয় নিয়ে আলাপ করেছিলাম তিনি আমাকে বললেন, ওটা কোন বিষয়ই নয়্। অথচ ২০০৯ সরকার গঠনের পর স্যার উপ-সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব তারপর অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বেগম সাহারা খাতুনের সাথে। যদিও এটা তার প্রাপ্য। তারপরও অনার ডিসঅনার খেলায় তারা বন্দী।
মনে পড়ে-সাবেক রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল আলম একসময় বিসিএস মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধা । বাংলাকে তিনি এত ভালবেসেছিলেন যে সারা জীবন পররাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার হয়েও কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনেক সময় কাটিয়েছেন। তারপর জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৃথিবীকে দেখার অভিপ্রায়ে পোষ্টিং নিলেন সুইডেন। চাকুরী জীবন শেষ। আশা ফুরায়নি। খুব সম্ভব মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দুই বছরের কন্টাক্ট বেসিসে নিয়ো্গ পেলেন। কিন্ত ভাগ্য খারাপ। হঠাৎ সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। আর সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা বলে তাকে ঢাকা ফিরে আসতে হল্। এই হল অনার ডিসঅনার।
আবার পান্না আপার (পান্না মহিউদ্দিন) কাছে জেনেছিলাম সাবেক পররাষ্ট সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ যখন আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন সেদিন তার মাথার উপর টানানো ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। কারন তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তারপর সেদিন সম্ভবত এমপি জিয়াউল হকের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি দেশে এসে মহিউদ্দিন সাহেবকে সাসপেন্ড করেন্। তারপর আবার দেখেছি আওয়ামীলীগ এসে তাকে সম্মানীত করেছিলেন। এই হল অনার আর ডিসঅনার।
তারপর সাবেক রাষ্ট্রদুত ওয়ালিউর রহমান স্যারও সেদিন আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা আর এহ কারনে বেগম খালেদা জিয়া তাকে বাংলাদেশে ডেকে এনে শাস্তি দিয়েছিলেন আর পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সনে শেখ হাসিনা তাকে তার ইনভয় নিযোগ করেছিলেন।
আরও দেখেছি-মোদাচ্ছের ভাই সেদিন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন তারপর সেখান হতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিযোগ পেলেন। কিন্ত সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সেখানে আরও একজন মহাপরিচালক নিযোগ করা হল। যা সেদিন তিনি মেনে নিতে পারেননি তাইত তখন চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে তিনি বিদেশ চলে গেলেন। আবার দেখলাম বিএনপি সরকারের শেষ মুহুর্তে তিনি দেশে এসে ভিষণ চাপের ভিতর দিযে একসময় এসে সম্মানীত হলেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হবার সুবাদে। আর তিনি হলেন গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবের আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি তার জন্মস্থান চাপ্তার জন্য যতটুকু করেছেন তার চেয়ে বেশি করেছেন টুঙ্গীপাড়ার জন্য । ঠিক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের মত ঢাকা মেডিকেলে তার মাথার উপরও ১৯৯৪ সনে শেখ মুজিবের ছবি শোভা পেয়েছিল।আর এই হল বাংলার অনার আর ডিসঅনারের খেলা।
এখন আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা ও কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন আছেন বর্তমানে ঠিক সেই অনার আর ডিসঅনারের তালিকায়। সাখাওয়াত হোসেনকে একটু দলীয় মনে হলেও শামসুল হক সাহেব খুবই ভাল মনে হয। অথচ কয়েকদিন পরেই তাদের যে কুশপুত্তলিকা দাহ হবে বাংলায় সেদিন বেশি দুরে নয় ঠিক সাবেক ইসি(সচিব) আবদুর রশিদ সরকার সারের মত।
আসলে এখানে আমাদের সরকারী কর্মকর্তারা বড়ই অসহায়। সেই ১৯৭১ সনে বাংলার সকল পেশার লোক স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল কেবলমাত্র একটি স্বাধীন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। কিন্ত আমাদের নিয়তী বড়ই নির্মম। আমরা স্বাধীন হবার সাথে সাথে আবার পরাধীন হয়ে গেলাম। কোনদিনও আমাদের মু্ক্তি এলনা্। তারা ঠিকই বাংলার জন্য সপ্ন দেখেছিলেন, মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্ত আজও শেখ মুজিবের ভাল আদর্শগুলি কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে তা আমার জানা নেই। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশ কতটুকু আছে তাও জানিনা। তবে তাদের সকলের রাজনীতিই ছিল বাংলা ও বাংলার জনগনের জন্য। কিন্ত সেই জনগণ আজ তাদের এই অনার আর ডিসাঅনারের ভারে ন্যুব্জ।
আর সরকারের এই অনার আর ডিসঅনারের জন্য সরকারী অফিসগুলোতে অপ্রকাশ্য শত্রুর সৃষ্টি হয়েছে। আর প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে অপ্রকাশ্য শত্রুরাই বেশি ভয়ংকর। যারা গভ: রুটসকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করছে। তাইত আজ আমি এই বাংলায় কেবল দেশ ও জাতির স্বার্থে এই অনার আর ডিসঅনারের খেলা বন্ধ করার জন্য আহবান করছি। (অব্যাহত)
_কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৪ নভেম্বর,২০১১, বিকাল ৪-৫২ মি:
তিনি ডিসেম্বর/০৮ কক্সবাজার তারঁ অডিট সভায় আমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন কেবলমাত্র আমাকে দেখাবার জন্য। তিনি বলতেন-কবে ছেলেদের সাথে যাবেন কিন্ত এ সময়টিত আর ফিরে পাবেন না। আমরা কক্সবাজার রেস্ট হাউজে দুদিন থেকে সব সময়ই প্রায় সি বীচে খেয়েছি যা ছিল ভিষন আনন্দময়। এমনকি ঈদের সময় আমাকে শাড়ী গিফট করলেন। তারপর ২০০৯ পদোন্নতি পেয়ে সংস্থাপনে যোগদান করার পর হতে ওএসডি। মেডামের দুলাভাই সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সচিব আবদুর রশিদ সরকার একসময় আমাদের অতি:সচিব (পিপিসি)ছিলেন।
মেডামের বড় আপা (সচিব আ: রশিদ সরকারের স্ত্রী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ভিষণ ভাল মানুষ। ফোনে কথা হয়েছে অনেক সময়। বিশেষ করে মেডামের বাবা তাদের ছোট রেখে মারা যান তারপর ভাইবোনগুলি মানুষ হয়েছে এবং সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে শিখেছেন। আবদুর রশিদ, সচিব, পাট মন্ত্রনালের থাকাকালীন সময়ে ২০০৯ সনে সরকার গঠনের সাথে সাথে তিনি সাসপেন্ড হন। কারন তিনি নির্বাচন কমিশনে থেকে বিতকির্ত হয়েছিলেন। কিন্ত ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভাল মানুষ যা তার পরিবার দেখলেই অনুধাবন করা যাবে। আর সম্ভবত: সেই কারনেই যুগ্ন-সচিব রোকসানা ফৈরদোসীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। তাইত আমি মনের দু:খে মেডামকে বলেছিলাম-আপনাকেত কোন ডেক্স দেয়া হয়নি। কিন্ত আমাকে ডেক্স দিলেও কোন কাজ নেই। কারন আমার ডেক্সে তিনমাস কর্মকর্তাই ছিলনা। তাই কাজও ছিলনা।
আর যখন দেখলাম-উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী গোপালগঞ্জে ডিসি, এসপিদের সভায় বলেছিলেন-যাদের এতদিনে অসম্মান করা হয়েছিল আর আজ আমরা তাদের সম্মানিত করছি। আর তার পরই আমি দেখতে পেলাম সবে মাত্র কৃষি মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (প্র:) বদলী হয়ে মুন্সীগঞ্জে গেলেন আবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের একই ডেক্স (প্রশাসন)। এমনকি একদিন দেখলাম ইকবাল উদ্দিন স্যার আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ে এবং আমাদের ডেক্সে এসে রুম দেখছেন বসার মত ভাল পরিবেশ কিনা, আমার বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে স্যারকে অবস্যই কোন ভাল ডেক্স হতে সরানো হয়েছে কারন মানুষ নিচু থেকে উচুতে যেতে চায় কিন্ত উচু থেকে নীচুতে গেলে খারাপ লাগার কথা। স্যার ভিষণ ভাল, বুদ্ধিমান আমি স্যারের সাথে ভাইদের বিষয় নিয়ে আলাপ করেছিলাম তিনি আমাকে বললেন, ওটা কোন বিষয়ই নয়্। অথচ ২০০৯ সরকার গঠনের পর স্যার উপ-সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব তারপর অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বেগম সাহারা খাতুনের সাথে। যদিও এটা তার প্রাপ্য। তারপরও অনার ডিসঅনার খেলায় তারা বন্দী।
মনে পড়ে-সাবেক রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল আলম একসময় বিসিএস মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধা । বাংলাকে তিনি এত ভালবেসেছিলেন যে সারা জীবন পররাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার হয়েও কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনেক সময় কাটিয়েছেন। তারপর জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৃথিবীকে দেখার অভিপ্রায়ে পোষ্টিং নিলেন সুইডেন। চাকুরী জীবন শেষ। আশা ফুরায়নি। খুব সম্ভব মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দুই বছরের কন্টাক্ট বেসিসে নিয়ো্গ পেলেন। কিন্ত ভাগ্য খারাপ। হঠাৎ সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। আর সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা বলে তাকে ঢাকা ফিরে আসতে হল্। এই হল অনার ডিসঅনার।
আবার পান্না আপার (পান্না মহিউদ্দিন) কাছে জেনেছিলাম সাবেক পররাষ্ট সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ যখন আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন সেদিন তার মাথার উপর টানানো ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। কারন তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তারপর সেদিন সম্ভবত এমপি জিয়াউল হকের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি দেশে এসে মহিউদ্দিন সাহেবকে সাসপেন্ড করেন্। তারপর আবার দেখেছি আওয়ামীলীগ এসে তাকে সম্মানীত করেছিলেন। এই হল অনার আর ডিসঅনার।
তারপর সাবেক রাষ্ট্রদুত ওয়ালিউর রহমান স্যারও সেদিন আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা আর এহ কারনে বেগম খালেদা জিয়া তাকে বাংলাদেশে ডেকে এনে শাস্তি দিয়েছিলেন আর পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সনে শেখ হাসিনা তাকে তার ইনভয় নিযোগ করেছিলেন।
আরও দেখেছি-মোদাচ্ছের ভাই সেদিন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন তারপর সেখান হতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিযোগ পেলেন। কিন্ত সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সেখানে আরও একজন মহাপরিচালক নিযোগ করা হল। যা সেদিন তিনি মেনে নিতে পারেননি তাইত তখন চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে তিনি বিদেশ চলে গেলেন। আবার দেখলাম বিএনপি সরকারের শেষ মুহুর্তে তিনি দেশে এসে ভিষণ চাপের ভিতর দিযে একসময় এসে সম্মানীত হলেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হবার সুবাদে। আর তিনি হলেন গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবের আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি তার জন্মস্থান চাপ্তার জন্য যতটুকু করেছেন তার চেয়ে বেশি করেছেন টুঙ্গীপাড়ার জন্য । ঠিক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের মত ঢাকা মেডিকেলে তার মাথার উপরও ১৯৯৪ সনে শেখ মুজিবের ছবি শোভা পেয়েছিল।আর এই হল বাংলার অনার আর ডিসঅনারের খেলা।
এখন আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা ও কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন আছেন বর্তমানে ঠিক সেই অনার আর ডিসঅনারের তালিকায়। সাখাওয়াত হোসেনকে একটু দলীয় মনে হলেও শামসুল হক সাহেব খুবই ভাল মনে হয। অথচ কয়েকদিন পরেই তাদের যে কুশপুত্তলিকা দাহ হবে বাংলায় সেদিন বেশি দুরে নয় ঠিক সাবেক ইসি(সচিব) আবদুর রশিদ সরকার সারের মত।
আসলে এখানে আমাদের সরকারী কর্মকর্তারা বড়ই অসহায়। সেই ১৯৭১ সনে বাংলার সকল পেশার লোক স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল কেবলমাত্র একটি স্বাধীন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। কিন্ত আমাদের নিয়তী বড়ই নির্মম। আমরা স্বাধীন হবার সাথে সাথে আবার পরাধীন হয়ে গেলাম। কোনদিনও আমাদের মু্ক্তি এলনা্। তারা ঠিকই বাংলার জন্য সপ্ন দেখেছিলেন, মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্ত আজও শেখ মুজিবের ভাল আদর্শগুলি কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে তা আমার জানা নেই। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশ কতটুকু আছে তাও জানিনা। তবে তাদের সকলের রাজনীতিই ছিল বাংলা ও বাংলার জনগনের জন্য। কিন্ত সেই জনগণ আজ তাদের এই অনার আর ডিসাঅনারের ভারে ন্যুব্জ।
আর সরকারের এই অনার আর ডিসঅনারের জন্য সরকারী অফিসগুলোতে অপ্রকাশ্য শত্রুর সৃষ্টি হয়েছে। আর প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে অপ্রকাশ্য শত্রুরাই বেশি ভয়ংকর। যারা গভ: রুটসকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করছে। তাইত আজ আমি এই বাংলায় কেবল দেশ ও জাতির স্বার্থে এই অনার আর ডিসঅনারের খেলা বন্ধ করার জন্য আহবান করছি। (অব্যাহত)
_কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৪ নভেম্বর,২০১১, বিকাল ৪-৫২ মি:
এখন আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা ও কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন আছেন বর্তমানে ঠিক সেই অনার আর ডিসঅনারের তালিকায়। সাখাওয়াত হোসেনকে একটু দলীয় মনে হলেও শামসুল হক সাহেব খুবই ভাল মনে হয। অথচ কয়েকদিন পরেই তাদের যে কুশপুত্তলিকা দাহ হবে বাংলায় সেদিন বেশি দুরে নয় ঠিক সাবেক ইসি(সচিব) আবদুর রশিদ সরকার সারের মত।
ReplyDelete