Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Wednesday, November 30, 2011

মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজের সন্তানেরা কেন সন্ত্রাসী হয় ?


কৃষান কন্যা রাহিলা
আমি দেখেছি আমার বাবা মা আমাদের দশ ভাহ বোনকে কিভাবে লেখাপড়া করিয়েছিলেন যা আজ বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র অথচ তাদেরহ এহ সমাজের কাছে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করা হযেছে।যা কৃষান কন্যা আজ জাতির সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করছে মাত্র আমার বাবা মা লেখাপড়া জানতেন না আব্বা দলিল  পত্রে সহ করতে পারতেন আর  মা পড়তে পারেন সুন্দরভাবে এখনও কিন্ত লিখতে পারেন না নিজের নাম ছাড়া অথচ তারা সংগ্রামী কৃষক পরিবারের মানুষ আব্বা দুহ মাস বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন আর মা পাচ মাস বয়সে মাকে হারিয়ে ১২ বছর বয়সে এসে হাল ধরলেন এতিম বাবার সংসারে নিজেদের সততায় গড়ে তুললেন সোনার সংসার আর সেহ সংসারের প্রথম সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হসলাম যাকে নিয়ে বাবা মা সপ্ন দেখতেন সে একদিন মেজিস্ট্রেড হবে তাদের সকল জমিজমার দলিল পত্র পড়তে পারবে কারন আব্বার প্রচুর জমি দলিলপত্র ছিল যা সিন্ধুকে থাকত নিজে পড়তে পারতেন না তবে তার ব্রেন এত স্রাপ ছিল যেবললেহ কলিকাতা বুঝতেন বললেহ দেলজাননেছা বুঝতেন আহ কিউ ভিষণ প্রখরতাহত তারা জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছিলেন
আমার বাবা বড় ভাহকে মানুষ করার জন্য নদলী স্কুলের সকল হেড মাস্টারদের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করতেন সাথে আরও লজিং মাস্টার। শুনেছি প্রধান শিক্ষক আল জাহির, হাবিব মাস্টার, দীন মোহাম্মদ বড় ভাহয়ের সময়ে থাকতেন। আল জাহির ছিলেন আজরাহলের মত। গাছে ঝুলিয়ে পিটাতেন যদি ভাহ গুলি খেলতেন। যাহ হোক সেহ সপ্নের ছেলেটিহ কেবল ২১ শে ফ্রেবুযারীর দিনে ক্লাস ছেড়ে জানালা ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়ত একমাত্র  এলাকার মুসলিম কৃষক পরিবারের প্রথম বীর সন্তান। তারপর মেট্রিক পাশ করার পর নড়াহল ভিক্টোরিয়া কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে ভর্তি।তারপর পাশ করে বিএতে ভর্তি হবার পর যুদ্ধ শুরু হল্
 
সকলে যার যার মত ছড়িয়ে গেল। কঠিন জীবন। অস্পষ্ট মনে পড়ে। তাদের হাতে রাহফেল উঠল। কিন্ত ভাহদের  সেহ কঠিন জীবন জয় করে একদিন স্বাধীনতার আনন্দে মুখরিত হলেন। নতুন উদ্যোমে  আবার ক্লাস শুরু করলেন কৃষক সমাজ। মাটির সাথে যুদ্ধ করে বেচেঁ থাকা। সেদিন সম্ভবত: প্রথম বাংলাদেশে হরি ধানের চাষ শুরু হল। আমি দেখতাম আমার বড় ভাহ আমাদের বাড়ীর পিছনে জমিতে সকালে কাদার ভিতর হরি ধান লাগাতেন, বাড়ীতে ধান পাতো হত, কাঁদা বানিয়ে ভাহ তাতে রোপন করতেন, চারা বড় হলে আবার তা জমিতে লাগাতেন। মা বলেছেন -নতুন হরি ধান দেখে বড় ভাহ সখ করে আব্বার কাছ থেকে জমি নিয়ে নিজের মত করে লাগাতেন মাটিকে ভালবেসে। হয়ত সবুজ ধান দেখে তার আনন্দ হত। কৃষক বাবার সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হসলাম নলদী এলাকার প্রথম শিক্ষিত বীর সন্তান।
নড়াহল ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রথম সারির ছাত্রলীগ নেতা। অথচ ১৪ মে,১৯৭৫ রাতের আধারে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন আর সেদিন তাকে সন্তাসীরা বুলেট বেনয়েটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যাবার সময় জুতার ফিতা লাগাতে লাগাতে বলছিল আমাকে মেজে ভাহয়ের কাছ খেকে কাল শালটি দেবার জন্য আমি দিয়েছিলাম তাকে। তারপর সাদা সার্ট। ১৪টি বুলেটের কোপে লাল হয়েছিল সেহ সাদা সার্ট। তারপর নড়াহল লাস নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিশিল করেছিল। ছা্ত্র সমাজের চিৎকার বিচারের বানী প্রশাসনে পৌছাঁতে পারেনি। কারন তারা শাসক। শিক্ষিত প্রতিবন্ধী আর আমলা যাদের লালন করে রাজনীতিবিদরা।
 
তারপর কেটে গেছে অনেক দিন। অনেক বছর। অনেক সময়। বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে পৃথিবী। মানুষ ভুলে গেছে তাদের আপনজনদের। এক রকম মানিয়ে নিয়েছে জীবন যাত্রা প্রকৃতির নিয়মে। কিন্ত যারা তাদের সেহ আপনজনদের হারিযেছে তারা কি তাদের ভুলতে পেরেছে ? তাদের হৃদযে কি সেহ দাগ শুকিয়ে গিয়েছে ? কাটা দাগ কি ডিলিট হয়ে যায় ? এসব দাগ ডিলিট হয়না। ধন, সম্পদ,বাড়ী গাড়ী হারিয়ে যায় কিন্ত দু: হারায়না, স্মৃতি হারায় না। কষ্ট হারায় না। যা আমি আজ বসে বসে খুজেঁ বার করছি সেহ কষ্টগুলোকে সেহ কঠিন সময়গুলিকে যা আমাদের পার করে আজ এখানে দাড়াতে হয়েছে।

আজ আমি যখন বাংলার মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজের চিত্র অংকন করে সবশেষে শেখ মুজিবকে কেটেছি আর আমার বিজয় বাঙলায় ঘোষনা করেছি তখন আমাকে প্রমান করতে হবে জাতির সামনে। যা আমাকে আজ চ্যালেঞ্জ হিসেবে জাতির সামনে দাড় করিয়েছে।
 
এহমাত্র আমি আমার মাযের সাথে কথা বলেছি যিনি ৩৬ বছর ধরে ছেলের জন্য কেদেঁ কেদেঁ রাত কাটিয়েছে। আজ তিনি ভিষণ অসুস্থ্য, আমাকে দেখার জন্য বার বার ছটফট করছে কিন্ত আমি তার সামনে যেতে পারছি না কারন তাকে বলা হয়েছে রাহিলা পাগল হয়ে গেছে। আমার মাকে আমি বিজয়ের মালা পরাতে চাহ। তিনি আমার কাছে শ্রেষ্ট মুক্তিযোদ্ধা শ্রেষ্ট কৃষানী মা আমার।
 
পাকিস্তান বিভক্তির পর আবার ঢাকা বিভক্তি আর দশ ট্রাক অস্ত্র বাংলায় প্রবেশের বিচার। তাহত আজ মনে পড়ছে-২০০৯ সনে আমি বড় ভাহ আমারর্ শিশু মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট আনার জন্য নড়াহল মুক্তিযোদ্ধা সংসদে গেলে সদস্য-সচিব  মুক্তিযোদ্ধা হাবিুবুর রহমান হাবিব ভাহ যিনি ছিলেন ভাহয়ের কাছের বন্ধুদের ভিতর একজন। আমার মাকে সারাজীবন মা ডাকেন। তিনি আমাকে কথাচ্ছলে বলেছেন-১৯৭৫ সনে ১৪ মে নুরুল হসলামের হত্যার দিন তার কাছে একটি কাটা রাহফেল ছিল। কিন্ত কেন ? ছাত্রের হাতে রাহফেল কেন ? আমার মনে পড়ে সেদিন আমাদের বিরোধী দলীয় আপনজনেরা কানাঘুসি করছিল-কেচ করা যাবেনা কারন হসলামের লাসের কাছে কাটা রাহফেল পাওয়া গেছে। উল্টো তাকে সন্ত্রাসী বলে সমাজের কাছে আখ্যায়িত করে আমাদের সেদিন গ্রাম ছাড়া করেছিল আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখলাম কেমন করে একজন ভাল মানুষকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যাযিত করা হয়।
 
তারপর কেটে গেছে অনেক বছর। কিন্ত স্ম্রতি মুছে যায়না। কেবল বাবা মা বড় ভাহ আর আমার ক্ষত বিক্ষত জীবনের জন্য আমি হাতে কলম তুলে নিয়েছিলাম। আজ আমার লেখা শেষ। আজ কেবল সেহ সত্যকে খুঁজে দেখা্। যার উপর দাড়িয়ে আছে আমার বিশ্বাস উপলব্দি। আর আজ আমি সবকিছুর জন্য শেখ মুজিবকে দায়ী করেছি তিনি যদি বাংলার তরুন প্রজন্মদের স্বাধীনতার সপ্ন না দেখাতেন তবে সেহ বীর তরুনরা সত্যিকারের একুশের চেতনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়  উজ্জিবিত হতনা আর জীবন দিতে হতনা অল্প বয়সে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত হয়ে্ ১৯৭১ সনে সাহ সাহ করে ঢুকছিল বাংলায় ভারতীয় অস্ত্র আর সেহ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সব অনভিঙ্গ তরুনরা যাদের হাতে ছিল সেদিন কাঁচি কোদাল। সেহত বাংলায় প্রথম অস্ত্র প্রবেশ করল নোংরা রাজনীতির খেলায়। আর আজও তার ধারাবাহিকতায় চলছে অস্ত্রের খেলা। সেহ অস্ত্র বঙ্গবীরেরা জমা দিলেও তরুনরা তা ছাড়তে চায়নি রেখে দিযেছিল নিজেদের কাছে কেবল শক্তি সঞ্চয় করার জন্য। কারন একবার যারা অস্ত্র হাতে করেছিল, যা তাদের দেশকে মুক্ত করেছিল আর সেহ অস্ত্রগুলি হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে আপনজনের মত, বন্ধুর মত। তাহত ১৯৭৫ এর দুদান্ত ছাত্রলীগের হাতে আবার কেন কাটা রাহফেল থাকবে ? তার কারন খুজেঁ আমি পেয়েছি-সেদিন আবার সেহ ব্রিটিশ রুলস অসহায় বাঙ্গালীর উপর আঘাত হেনেছিল। আর তাহত আবার বাংলার সেহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিতীযবার যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছিল আর তখনহ রক্ষী বাহিনী, বাকশাল, সেনাবাহিনী নামিয়ে হত্যা করেছিল বাংলার সেহ বীর সেনাদের। আজ আমি তাহ শেখ মুজিবকে আমার বীর মুক্তিযো্দ্ধা ভাহয়ের মৃতুর জন্য ফাসীর দাবী করছি।
 
কিভাবে সন্ত্রাসী সৃষ্টি হয় ?
এবার শুনুন মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজের শিক্ষিত সন্তানদের সন্ত্রাসী হবার গল্প--সম্ভবত: ১৯৯৩ সনের শেষের দিক যশোহর অভয়নগর উপজেলায় গভীর জঙ্গলে রাতের আধারে সর্ব হারাদের দুহ পক্ষের তুমুল গুলাগুলি তবে দুহ পক্ষ না পুলিশআমার  জানা নেহ কারন এহ নিযে ভাবার সময় তখন আমার হাতে ছিলনা

 মনে পড়ে-১৯৮৬ সনে আমার ছো্ট ভাহ বাবু আমার বাসায় এল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। সে এসএসসি এহচ এসসিতে দুটাতে প্রথম্ ভাল ছাত্র যদিও বড় ভাহযের মৃতু আব্বাকে দুর্বল করে দিয়েছিল তারপর্ তিনি হারতে চায়নি।সব ভুলে গিয়ে তার অন্যান্য সন্তানদের মানুষ করতে চেয়েছিলেন কারন তিনি হারতে জানতেন না জীবন যুদ্ধে জয়ী একজন পিতা আমার ছোট দুহ ভাহ বড় ভাহযের রক্ত পাড়িয়ে প্রতিদিন স্কুলে গিয়েছে কিন্ত কোনদিনত তাদের মনে বড় ভাহযের প্রতিশোধের নেশা জাগেনি তারা দুজন এক সাথে নলদী স্কুল হতে বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করল
 
এবার তাদের বাড়ী থেকে বেরুবার সময় হল।তারা দুজনেহ নড়াহল ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে এহচএসসি পাশ করার পর ঢাকা ঘুরেছিল কিন্ত তারা পারেনি ঠিকতে কেন জানিনা তারপর আবার নড়াহল কলেজ আবার ছাত্রলীগের নষ্ট রাজনীতি

একজন নেতা হল অপরজন ভাগ্যদোষে জড়িয়ে গেল নিষিদ্ধ রাজনীতি যা ছিল সেদিন পরিস্থিতির স্বিকার কিন্ত কৃষক হউসুফ মোল্যার সন্তানেরা অন্যায় জানেনা তারা কাউকে হত্যা করেনা, সম্ভব হলে উপকার করে আমি তার কাছে মাও সেতুন, লেলিন এর বহ দেখেছি কিন্ত জিজ্ঞাসা করার সময় হযনিএক সময নড়াহলের পুলিশ প্রশাসন তার কথা জেনে ভয়ে কাপতঁ কিন্ত কেন ? সে কি সন্ত্রাসী ছিল ? সেকি অন্যায়কারী ছিল ? আমাদের ভাহয়েরা অন্যায়কারী হতে পারেনা অন্যায়কারী তারা যাদের ভিতর মানবতা, দেশপ্রম নেহ, যারা দুর্নীতিবাজ, যাদের হাতে অসহায় মানুষ শোষিত হয়্ আর ছোটবেলা থেকে কৃষক হউসুফ মোল্যার ছেলেরা অন্যায় দেখে দেখে বড় হয়ে একদিন সেহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরেছিল মানুষ কখনবিদ্রোহী হয় ? কেন সন্ত্রাসী হয় ? কখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ? যখন পীঠ ওযালে ঠেকে যায়
দু: জয়ী কৃষক হউসুফ মোল্যা তার সন্তানদের ম্যাজিস্ট্রেট বানাবার সপ্ন দেখেছিলেন কিন্ত তারা সকলেহ হয়ে গেল রাজনীতিবিদ কেহ মাথা নত করে টিকে থাকল কেহ অস্ত্র হাতে তুলে প্রতিবাদ করল অন্যায়, অমানবতা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে
তাহত সেদিন সম্ভবত ০৮ অথবা ২০০৯ হবে যখন আমাদের সজলকে নড়াহলের জজের গা্ড়ীর সামনে মোটরসাহকেল থামাবার জন্য জেলে নেয়া হল্ তার প্রতিবাদ করায় মেজে ভাহকে জেলে নেয়া হল্ আর এহ জজ সাহেবরা যারা দেশ দরদী, বিচারক তারাত কৃষকদের জেলে ঢুকাবেহ যারা শপথ নিযে চাকুরীতে ঢুকার পর সেহ শপথ ভেঙ্গে দেয়
তাহত সেদিন জজ অফিসে আমি গেলে প্রশাসনের একজন আমার সামনে বলেছিল-ওরা সন্ত্রাসী নুর আহমেদকে ৫০ জনের সাথে সেদিন প্রেসক্লাব থেকে সেনাবাহিনীরা ধরেছিল আবার বাবু ছিল সর্বহারা তার ভাহপো কি হতে পারে ওরা সন্ত্রাসী

 ভিক্টোরিয়া কলেজের বিএসসি ক্লাসের ছাত্র বাবু সেদিন এহ ধনী-গরীবের ব্যবধান দেখে সম্ভবত: হসলামী কোন দলে ঢুকে পড়েছিল আর বেরুবার পথ পায়নি অবশেষে সে অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্ত ভাগ্যের কাছে ছিল সে বড়হ অসহায় তারপর আল্লাহ বড়হ মেহেরবান-১৯৯৩ সনের শেষের দিকে যশোহর অভযনগর যুদ্ধে--আশে পাশের অনেক মানুষ মারা গেলেও সে বেচেঁ ছিল আমার বাবা মা সেদিন পাগল প্রায় তারপর তাকে সারা বাংলায় লুকিয়ে একসময় মেজে ভাহ ও আব্বা তাকে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানে তুলে দিয়ে কাদঁতে কাদঁতে নড়াহল গিয়েছিলেন কিন্ত কেন ? যে স্বাধীন বা্ংলার জন্য সে ১৯৭১ সনে তার গো্লার ধান কেটে দিয়েছিল গ্রামের জনগনের মাঝে যে তার হাতের আংটি খুলে নুরুল হসলামকে ভারতে ট্রেনিং এর জন পাঠালেননয়টি মাস তাকে রাজাকার ও নকশালের ভয়ে অস্থির থাকতে হযেছিল প্রতিদিন নকশালের ভাত দিতে হত। আবার তাকে ১৯৭৫ সনে প্রথম সন্তানের লাস দেখতে হয়েছিল । 

সেহ কৃষকের সপ্নের সো্নার বাংলায় কেন তার সন্তানেরা আবার অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল ? কেন তাদের সন্ত্রাসী করা হল ? কেন তাদের দেশ ছাড়া করা হল ?

 আজ নষ্ট রাজনীতিবিদদের নির্দেশে র‌্যাব হত্যা করছে বাংলার সব সন্ত্রাসীদের খেতাব তারা সন্ত্রাসী্ কিন্ত প্রতিটি সন্ত্রাসী্ একদিনে তৈরী হয়নি তারা কোন না কোন পরিস্থিতির কারনে জড়িয়ে গেছে অ্থবা কেহ তাকে সন্ত্রাসী করতে বাধ্য করেছে আর আজ তাদের নির্বিচারে গুলি করে পাখির মত হত্যা করা হয আর এহটাহ নষ্ট রাজনীতি যেখানে ধনী-গরীবের, রাজা-প্রজাদের পাথর্ক্য রযেছে রাজনীতিবিদদের কারনেহ এক সময় সন্ত্রাসী সৃষ্টি হয় আবার তাকে হত্যা করা হয় কিন্ত কেন ? এগুলি হল অমানবতা এগুলি হল নষ্ট রাজনীতি যা আমাদের ধনী-গরীবের বৈষিশ্ট সৃষ্টি করে রেখেছে 
তাহত আমি সব সময়হ বলে থাকি-সন্ত্রাসী, সর্বহারা,মাস্তান, হাহজাকার, বখাটে সকলেহ আমাদের আপনজন আর আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ত আমাদের ভুলের কারনে তারা সৃষ্টি হয়েছে আর তাদের ভাল করার দায়িত্ব আমাদের    
আমি বাংলার বড় সন্ত্রাসী নুরুল হসলামের ছোট বোন আমি বাংলার সর্বহারা সন্ত্রাসী ভাহয়ের বড় বোন কেন আমাদের ভাহদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হল ? কেন তাদের সন্ত্রাসী সৃষ্টি করা হল ? কেন তাদের বাংলা ছেড়ে বিদে্শে চাকর খাটতে হচ্ছে ? যে ভাহটি ভারতের সিএমসি হাসপাতালে আমাকে এক মাস মুখে ভাত তুলে দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিল যে ভাহটি সমাজের ধনী গরীবরে ব্যবধান হ্রাস করার জন্য মাও সেতুং লেলিং নীতি বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল তাহত এহ বাংলায় তার স্থান হয়নি তার মুলনীতি ছিল-শেয়ালের মত হাজার বছর বাঁচার চেয়ে বাঘের মত বেঁচে থাকাহ শ্রেয়
শেখ মুজিবের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সেদিন ২৫ মার্চের জেনোসাহডে নিহত হয়েছিল আমার বাংলার সকল শিক্ষিত ভাহযেরা তারপর মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে নিহত হয়েছিল লক্ষ লক্ষ কৃষক বাবা মায়ের সপ্নের সন্তানেরা তারপর ১৯৭১-১৯৭৬ পর্যন্ত হত্যা হয়েছিল বাংলার অনেক স্বনামধন্য সেনা অফিসারসহ মুক্তিযোদ্ধা যারা সাহসের সাথে যুদ্ধ করে বাংলাকে সেদিন মুক্ত করেছিল তারপর দিনের পর দিন হত্যা করা হয়েছে বাংলার সকল স্বনামধন্য সেনা কর্মকর্তাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিক এহভাবে নষ্ট রাজনীতি পুরা বাংলাকে আজ মুখের্র জাতিকে পরিনত করেছে তাহ আজ সারা বিশ্বের কাছে বাঙ্গালী জাতি অজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিনত হয়েছে আর আজ আমরা আমাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারছি না ঠিক সেহ ন্ষ্ট রাজনীতির কারনে যা থেকে জাতি আজ মুক্তি চায়

তাহত আমি সেদিন গোপালগঞ্জের উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে বলেছিলাম-‘আপনি আমাকে একটি পিস্তল কিনে দেন আমি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করব।’’ তিনি আমাকে বলেছিলেন-‘তাহলে তোমার ফাসীঁ হবেতাহত সেদিন আমার গোপালগঞ্জের এতিম সন্তানদের জীবন বাচাঁবার জন্য পিস্তলের পরিবর্তে হাতে বাবার কাচিঁ তুলে নিয়েছিলাম তারপর সব কাটার পর আমি শেখ মুজিবকে কেটেছি এবার জাতির সামনে আমি আমার অথবা শেখ মুজিবের মরনোত্তর ফাসীর দাবী করছি। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ০১ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি: