কৃষান কন্যা ও সিকুরিটি হনচার্জ |
অনেকদিন পর আমি বাংলায আমার ভাবনাগুলি লিখতে বসলাম । মনে পড়ে একদিন আমি প্রতিনিয়ত আমার ভাবনাগুলি লিখে যেতাম আনমনে। আর অনেকটা সময় পর আমি আজ আমার লাস্ট ডেস্টিনেশনে পৌছেঁ গেছি।
সকলেহ জানেন আমি এ মাসে ঘোষনা করেছিলাম-এ মাস বিজয়ের মাস। এ মাস মানব এর মাস। এ মাস মানবতার মাস।এ মাস কৃষান কন্যার বিজয়ের মাস।আমি আমার আপনজনদের আমন্ত্রন জানিয়েছিলাম।তার ভিতর ছিল-নড়াহলবাসীর কাছে, গোপালগঞ্জবাসীর কাছে, বড় ভাহ মোদা্চ্ছের আলী,ছোট ভাহ এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলনকে, এদেশের সকল পত্রিকা সম্পাদককে,বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ভাহ, বোন ও বন্ধুদের ।কথা ছিল সোওরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এ দেশের গরীব, দু:খী, প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মুক্তির ঘোষণা করব আমার সপ্নের কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনের মাধ্যমে।
প্রথম আলো অফিসে |
আমাদের বাস্তবতা বড়হ নির্মম্। আমি কিছুদিন আগে প্রেসক্লাবে গিযেছিলাম কিছু বলার অনুমতির জন্য। তারপর দ্বিতীয়বার গেলাম্।সেখান থেকে পত্রিকা অফিস প্রথম আলো, মানবজমিন, হত্তেফাক। কোন কাজ হলোনা্।ফিরে এলাম। এদিকে একদিন স্যারের বিজয়ের আমন্ত্রনপত্র গ্রহন করলাম।আমি সেদিন আমার ওয়ালে মিলনকে লিখলাম-আমি বিশ বছর তোমাদের কাছ থেকে দুরে। আর আমার সব লেখা শেষ আমি আগামী বিজয়ের দিনে আমার বিজয় ঘোষণা করেছি। আজ আমি তোমাদের সাথে বিজয়ের দিন মাঠে যেতে চাহ। তারপর গনভবন থেকে এডজুটেন্ট জেনারেলের ফোন নম্বর কালেক্ট করলাম। ফোন করলাম । ঠিক আমাদের মত পিওদের অবস্থা।সঠিকভাবে কিছু পেলামনা্।তারপর আার সিডিউল ছিল-সকাল বেলা জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে যাব সকালে আর সেখান থেকে সোওরাওয়ার্দী উদ্যান তারপর বাসা।
সকাল বেলা সোয়ানকে নিয়ে চলে গেলাম।পথে আমাদের সিএনজি ঢুকতে দিলনা। নেমে পড়লাম। অনেকদুর হাটতে হল। যদিও আমার হাটা নিশেধ কিন্ত আজ বিজয় দেখব্। তাহত চললাম। অবশেষে পৌঁছালাম গেটে। কিন্ত ভিষণ ভীড়্। যেন শেয়ার মার্কেট। তারপর লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে ঢুকে পড়লাম। সোয়ান আমাকে পো্টেট দিয়েছিল।সামনের দিকে দুটি পথ-ভিআহপি ও পাবলিক্। তখন ভিআহপি গেটে হেটে চললাম যদিও দু জায়গায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল। তারপর এগিয়ে গেলাম-
এবার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হল মেন গে্টে-গেট হনচাজঁ থামাল-আমি সুন্দরভাবে বললাম-আমি কৃষি মন্ত্রনালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা্। এমনকি আহডি কার্ড দেখালাম।এমনকি বললাম-আপনাদের এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলন আমার ছোট ভাহ। কিন্ত না কিছুতেহ কাজ হলোনা। তাদের কছে ঐ আমন্ত্রন পত্রটাহ বড়।যে পত্রের জন্ম আমরা দেহ।যার সংখ্যা প্রচুর কিন্ত ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সংখ্যা নেহাতহ কম।তিনি তখন বাংলাদেশ সচিবালয়ের রুল ব্যবহার করলেন- যা আমি মেনে নিতে কষ্ট হল। এখানেও মানবতার কোন অপসান আমি খুজেঁ পেলামনা্।আমি সবসময় সত্যকে খুজেঁ ফিরি। কেন মানবতার অপসান থাকবেনা ?তাদেরওত মা বোন আপনজন আছে। একজন মহিলার সাথে কেমন ব্যবহার করতে হয় তা তাদের জানা নেহ্।আমার মনে হল তারা মাকে ভালবাসেনা।আমাকে জোর করে স্ট্রেজ করে বের করে দিল। তখন আমি আমার হাতের ব্যাগ তার মাথা ও মুখে প্রয়োগ করলাম। কারন ততক্ষনে আমি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্জন করেছি । আমি জানি এদের ওয়াল বড় মজবুত তাহ আমি আমার মাটির ওয়ালকে বড়হ মজবুত করে তৈরী করেছি ।
আমাকে তারা হলেকট্রিন চার্জ করেছে,এরেস্ট এরেস্ট করে চিৎকার করেছে, মহিলা পুলিসের কথা বলেছে। বাট আমি সবসময় আল্রাহ প্রটেকটেড। তাহ কিছুহ আমার হয়নি।আমি বলেছিলাম আমাকে এরেস্ট করুন ও ফাসীঁ দিন।কিছুক্ষন রোদে দাড়িয়ে রেখে বলেছেন আমার ছেলের কাছে-তোমার আম্মা মেন্টাল পেসেন্ট কেন এনেছ এখানে ? বাসায় নিয়ে যাও।
সন্ধায় আমার কলিগ বাসায় এসে্ছেন আমার খোজঁ নিতে। উপ-সচিব (প্রশাসন)নাকী ডিবি অফিস থেকে বলেছেন-রাহিলা এরেস্ট হয়েছে।আজও আমি জানিনা কি ঘটেছে। তবে আমি গতকাল আমার কিছু কাগজপত্র, ভিডিও সিডি ও এলবাম ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গিয়ে এডজুটেন্ট জেনারেল অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে এসেছি। আমি আমার সঠিক বিচার দাবী করছি দেশের কাছে। আমার অফিস বলছে-অসুস্থ্য,গোয়েন্দা সংস্থা বলছে মানসিক পেসেন্ট্। তবে আমি মানসিক পেসেন্ট না তারা মানসিক পেসেন্ট এর সত্যিকার বিচার আমি দাবী করি দেশের কাছে।
কেবলহ মনে হয-তারা আমাকে অপমান করেনি করেছে সারা বিশ্বের মানবতাকে,করেছ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মহিলা কর্মকর্তাকে, করেছে গোপালগঞ্জের শহীদ পরিবারের পুত্রবধুকে, করেছে এডজুটেন্ট জেনারেল এর ভাবীকে। আজ আমি মুক্ত হলেও আমি আসামী সরকারের কাছে যতক্ষণ আমি প্রমান করতে না পারছি আমি নির্দোষ ততক্ষণ আমি তাদের কাছে বন্দী।
কৃষান কন্যা আমি হেড কোয়াটারে |
যাদের কাছে নির্দোষ প্রমানের জন্য আমি একদিন হাতে কলম তুলে নিয়েছিলাম,যাদের কাছ থেকে আমি বিশটি বছর বিচ্ছিন্ন ছিলাম।ঠিক তাদের কাছেহ আজ ভাগ্য আামাকে টেনে নিয়ে গেছে । হায়রে ভাগ্য ! জগতে কজনার মিলে ? দেবর ভাবীর লড়াহ, সত্য মিথ্যার লড়াহ। গোপালগঞ্জের নবাব সফিউদ্দিন মিনার পোতা বৌ ও নাতীর লড়াহ। যা ভিষণ এনজয়য়েবল। পরবর্তী দিন আমি হেড কোয়াটারে গিযে ভিডিও ও এলবাম জমা দিয়েছি। সেখানে ক্যামেরা নেওয়া নিশেধ। অথচ আমার পুত্র সোয়ান আহমেদ আমার সব ছবি তুলেছে তার মাকে দীর্ঘ বছর পর নির্দোষ প্রমানের জন্য। হায়রে ভাগ্য ! সবহ আল্লাহর হচ্ছা।
আর্মি হেড কোয়াটার থেকে বা: সচিবালয় চত্বরে |
আমি আমার বোবা কান্না গল্পে লিখেছি-আমি চিৎকার করে কাদঁতে পারছিনা কারন আমার সন্তানরা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার হাসিতে হাসে আর আমার কান্নায় তারা কাদেঁ। অন্যদিকে আমার আপনজনেরা এ বাংলায় ছড়িয়ে রযেছে। আজ আমি কেমন করে তাদের ছোট করব ? –যেদিন আমি আমার সন্তানদের তাদের কাছে পৌছেঁ দিতে পারব, সেদিনহ শেষ হবে আমার বোবা কান্নার হতিকথা।- আজ আমার নিয়তীহ আমাকে সেহ আপনজনদের কাছে নিয়ে গেছে। আজ আমি পৌছেঁ গেছি তাদের কাছে।আর ভয় নেহ।
তাহত আজ সকালে আমি দুট্ ব্লগ লিখেছি একটি মিলনকে আর অন্যটি মোদা্চ্ছের ভাহকে । আমি মিলনকে লিখেছি-ডিসেম্বর ১১, ১৯৯৩ সকালবেলা তুমি তোমার পাহকপাড়ার বাসায এলে আর আমাদের বিছানার পাশে বসলে-সেদিন দেখেছিলে আমার রক্তাক্ত মুখ্।তোমরা ভুলে গেছ কিন্ত আমি ভুলিনি। সেদিন আমি আমার গ্রামে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম।কিন্ত তোমরা দাওনি। তোমার ঝন্টু ভাহ বলেছিল-সোয়ানের আম্মু কেবল আমাদের ছোট সোয়নের কথা ভেবে ও আমার মিনা বাড়ীর সম্মানের কথা ভেবে আমার সাথে ফিরে চল।সেদিন আমি তিনটি পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আত্মত্যাগ করেছিলাম। জীবন থেকে পালিয়ে খামার শ্রমিকের পথ বেছে নিলাম্। আজ সে নেহ্। তবে তার সন্তানকে আমি মানুষ করেছি।গোপালগঞ্জের তাদের পরিবারের সম্মান রেখেছি্ । নিজে বোবা কান্না কেদেঁছি কিন্ত তাদের আমি কাদঁতে দেহনি । আর অনেকটা পথ ঘুরে আজ তাদের কাছে আমি আসামী হযে অবর্তীন হযেছি্। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ! পৃথিবীতে এমন ঘটনাও ঘটে ? যা আজ সিনেমা নাটককেও হার মানায় ।
তাহত আমি বলেছি-আমি ২৫ বছর তাকে মানুষ করেছি। আর পারছিনা। তোমরা তোমাদের সন্তানকে আজ গ্রহণ করে আমাকে মুক্তি দাও।আমি মুক্তি চাহ।
আর মোদাচ্ছের ভাহকে লিখেছি-১৯৯৮ সনে রাফসানের জন্ম হয় সোওরার্দি হাসপাতালে যেদিন আপনি ঐখানে ছিলেন্। আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন-আমি আমার গল্প-মানব সেবার মহান ব্রত এ সব লিখেছি । জীবনের একটি কঠিন সময়ে আপনি আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন সাহায্য করেছেন। আজ আমি অনেক কষ্টে আপনাকে ত্যাগ করেছি।কারন আপনি আমার জন্য কিছুহ করতে পারছেননা বলে।
মনে পড়ে আমি একদিন আমার বন্ধু ক্রিস্টোফার মার্ক উ্হংগেটকে লিখেছিলাম-আমি আমার মাযের বিচার, ভাহ এর বিচার,আমার বিচার দাবী করিনা,কেবল এ বাংলার কাছে আমার সন্তানদের বিচার দাবী করি। কেন তাদের সমাজের কাছে পরিবারের কাছে মাথা নীচু করে দিল ?কি অপরাধ করেছিল আমার সন্তানরা ?তাহ সম্ভব হলে তুমি তাদের নিযে যাও এ বাংলা থেকে্ ।
মোদাচ্ছের ভাহ আজ আমি আমার এহ দুর্দিনে আপনার কাছে সাহায্য চাহছি-আপনি আমার রাফসানের জীবনটা সেফ করুন্। পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে রেখে মানুষ করে দি্ন্। আমি দুর থেকে জেনে খুশি হব্।আমি আপনাদের কাছে আর কিছুহ চাহবনা। এটা আমার আর একটি সপ্ন্ । আজ আমি আমার শেষ ডেস্টিনেশনে পৌঁছে গেছি্ । জানি আমি সরকারী রুল ভঙ্গ করেছি । আমার ফাসী হবে তাহ মৃতুর আগে আমি আমার সন্তানদের নিরাপদ স্থানে রেখে যেতে চাহ। আজ আমার কোন কষ্ট নেহ, দু:খ নেহ, যন্ত্রনা নেহ্। আমি ভিষণ খুশিঁ আজ্।আজ আমার কোন বাধা নেহ আমি সহজেহ আমার মা বাবা ভাহ এর কাছে যেতে পারব। আমি বার বার আমার লেখায় লিখেছি-আমার কাজ শেষ হলেহ আমি ফিরে যাব আর শায়িত হব আমার বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়। (অব্যাহত)
আজ আমার কোন কষ্ট নেহ, দু:খ নেহ, যন্ত্রনা নেহ্। আমি ভিষণ খুশিঁ আজ্।আজ আমার কোন বাধা নেহ আমি সহজেহ আমার মা বাবা ভাহ এর কাছে নড়াহল ফিরে যেতে পারব। আমি বার বার আমার লেখায় লিখেছি-আমার কাজ শেষ হলেহ আমি ফিরে যাব আর শায়িত হব আমার বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়। (অব্যাহত)
ReplyDelete