Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Saturday, December 31, 2011

''দেশ গঠনে বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে আমাদের ভাবনা''

কৃষান কন্যা রাহিলা
বর্তমান আমাদের দেশে চলছে সংসদীয় গণতন্ত্র। আর সংসদীয় গণতন্ত্রের অর্থ হলো সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সমন্বয়ে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করা। কিন্ত আমাদের দুর্ভাগ্য ছোটবেলা হতেহ আমরা দেখে আসছি সংসদে সত্যিকার গণতন্ত্রের চর্চা হয়না, পরিবর্তে চলে অগণতান্ত্রিক সব কর্মকান্ড।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদই হচ্ছে জনগনের আশা ভরসার প্রানকেন্দ্র। আর গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কাস্টোডিয়ান হচ্ছে সংসদ। কিন্ত আজকাল আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় কাস্টোডিয়ান হল মালিক। রক্ষক মানে মালিক নয়। আর জাতীয় সংসদ বলতে কেবল আমাদের সুন্দর জাতিয় সংসদ বিল্ডিংটি নয়। সংসদ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, সিপকার, সংসদ উপনেতাসহ সকল সংসদ সদস্য। আর গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতিতে জনগণহ ক্ষমতার মালিক। তাহ জনগনের সকল অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব হল সংসদের।

কিন্ত আমাদের দুর্ভাগ্য তা হচ্ছে না। কিন্ত কেন ? এসবের মুলে আছে মানুষের অতিরিক্ত ক্ষমতার লোভ, শোষন, আগ্রাসন মনের পরিচায়ক। আর এহ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা আজ কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে তা আমি আজ এই পৃথিবী নামক গ্রহের ভিতর বসে অনুভব করছি আর ভাবছি-কিভাবে সত্যিকার গণতন্ত্র বাংলায় প্রতিষ্টা করা সম্ভব !!

বাংলাদেশ ১৯৭১ সনে যে চিন্তা চেতনায় স্বাধীন হয়েছিল সেই লক্ষ্যে আজও পৌছাতে পারেনি। তার কারন একই অগনতান্ত্রিক মনোভাব। যার কারনে সৃষ্টি হযেছিল ১৯৭৫ , সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৮২, সৃষ্টি হল ১৯৯১ এমনি করেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সঠিকভাবে, দীর্ঘ পরিকল্পনা মাফিক তাকে লালন করে কাজ করার সময় দেয়া হয়নি। কেবল আসা আর যাওয়ার মাঝেই সব শেষ হয়ে গেছে ফলে বার বার গণতন্ত্রের মৃতু হয়েছে। ৪০ বছর পরেও দেশ উন্নতির মুখ দেখতে পারেনি। তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত আজ। যা আমাদের কাম্য ছিলনা ।

আজ আমি এই লেটেস্ট মিডিয়া ওয়েব সাইটে এসে জেনেছি আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপট । স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শাসন করেছিল ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত মাত্র চার বছর। তারপর এসেছিল জাতীযতাবাদী দল। আর তারা বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করেছিল। তাইত আজ আমি এই নেটে বসে দেখতে পাই বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরীরা ছড়িয়ে আছে আর তাদের সংখ্যাই বেশি। আর গণতন্ত্রের চর্চা তাদের ভিতরই বেশি হচ্ছে তার কারন কি ? বড় কারন হল আওযামীলীগ সরকার ১৯৭২ সনে নামে মাত্র গণতান্ত্রিক ছিল কিন্ত তারা ছিল শাসকগোষ্টি সম্পন্ন। তাইত গণতন্ত্রের নামে বিএনপির সৃষ্টি আর সেটাই ছিল দীর্ঘস্থায়ী। ফলে তাদের রুট ছড়িয়ে গিয়েছিল বেশিমাত্রায়।

তারপর ১৯৮১ সনে শেখ হাসিনাকে বাংলায় এনে আবার আওযামীলীগ গণতন্ত্রের চর্চা করলেও সহজে ক্ষমতায় আসতে পারেনি।  ১৯৯৬ সনে যখনই এসেছে আর তখনই তারা গণতন্ত্রের নামে অগনতান্ত্রিক রীতি নীতি চালু করেছে, ফলে দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারেনি্। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সকলের প্রচেষ্টা। কিন্ত সেই প্রচেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর আবারও ২০০৯ বিপুল সংখ্যা গরিষ্ট ভোটে নির্বাচিত হয়েও তারা পারেনি জনগনের জন্য নিজ স্বার্থকে বিসজর্ন দিতে অথবা গণতন্ত্রের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে। বিরোধী দল প্রথম থেকেই সংসদে অনুপস্থিত। তার কারন কি ? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দল থাকবে বেশি স্ট্রং আর তারাই সরকারী দলের সকল কর্মকান্ড পর্যালোচনা করবে কিন্ত তা তারা করেননি আর সরকারী দলের উচিত ছিল তাদেরকে সংসদের নেবার সকল পরিকল্পনা গ্রহন করা।  সেখানেও তারা অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের স্বার্থে , জনগনের স্বার্থে অনেক সময় আত্মত্যাগ করা উচিত যা তাদের সম্মান বৃদ্ধি বই কমতনা। কিন্ত করেননি। ফলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধুতির বিলুপ্ত হয়ে  একনায়কতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে যা বাংলার জনগনের কাম্য ছিলনা তারপরও হয়েছে যা আমাদের নিয়তী।

প্রতিটি সরকার গঠনের সাথে সাথে তাদের ইশতেহার জারী করা হয়। ঠিক তেমনি করা হয়েছিল সরকার গঠনের পর। এমনি কিছু--দারিদ্র দুরীকরণ, দেশের অবকাঠামো নির্মান, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি। কিন্ত সরকারের ৫ বছরের তিন বছর যাবার পরও দেশে উন্নয়ন সম্ভব হয়নি্। আমি কৃষান কন্যা কেবল বাস্তব দেখে কথা বলি। আর আজ দেশের ভিতর সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে অগুরুত্বপুর্ন ইশতেহার যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে দেশের ভিতর যে নোংরা খেলা শুরু হয়েছে তাতে সরকারের সামগ্রিক কর্মকান্ড ম্লান হয়ে গেছে। আমাদের সাধারন জনগনের যেখানে হাজারও সমস্যা যেখানে এটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওযার কথা ছিলনা। তারপরও চলছে, তাতে দেশের ভিতর অস্থিতিশীলতার সৃস্টি হয়েছে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ১৫,১৭ ও ১৯ এ জনগনের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা দিতে সরকার দায়বদ্ধ হলেও তা থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য জনগণ বেশি মাত্রায় স্টেজ হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সত্যিকার গণতন্ত্রের চেতনায় নুতন প্রজন্ম আজ আবার জেগে উঠেছে। কারন পৃথিবী আজ অনেক দুরে এগিয়ে গিযেছে। সত্যিকার শিক্ষিত সমাজ আজ স্টেজ, শোষন, আগ্রাসন, ধনী-গরীবের ব্যবধান, পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা পছন্দ করেনা। তারা সত্যিকার গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চায়।

আজ সরকারের তিন বছর শেষ এখন দুই বছর উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। আর তার জন্য বড় প্রয়োজন বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়া। আর তার জন্য সরকারী দলকেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আগ্রাসীমুলক, হিংস্বাত্ত্বকমুলক কথাবার্তা পরিহার করে স্বাভাবিক গতিতে বিচারকার্য পরিচালনা করা উচিত হবে বলে মনে হয়। কারন ৪০ বছর পরে এই বিচার পরিচালনা করার সততা আজ নেই। তারপরও আত্মতৃপ্তি বলে একটি কথা আছে। ৪০ বছর যখন আমরা এ বিচার ছাড়া বেচেঁ থাকতে পেরেছি তখন হিংস্বাত্ত্বকভাবে ৪-৫ জনের বিচারের নামে দেশের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কোন যোক্তিকতা আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এটা সেই ১৯৭১ এর মানবতার দায়ে দায়বদ্ধ থাকার চেয়ে বেশি মাত্রায় অমানবতামুলক আচরনের দায়ে বর্তমান সরকার দায়বদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস। কারন তারা তাদের লক্ষ্য আজও অর্জন করতে পারেনি।

আজ আমি কোন দলের সার্পোট করছিনা কেবল বর্তমানে ওয়েব সাইট দেখেই বলছি-আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে যারা কাজ করছেন তারাই বেশি মাত্রায় মানবতাবাদী আর দেশপ্রেমিক তার কারন তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরী আর সরকারী দলের যুব সমাজ বেশি মাত্রায় উগ্রবাদী তার বড় কারন সরকারী দলের নেতাদের উস্কানীমুলক কথাবাতা তাদেরও উগ্রবাদী ও অমানবতাবাদীতে পরিনত করছে। তাই আমি সকল যুব সমাজকে আহবান করছি-সকল হিংস্বা-দন্দ্ব ভুলে সকল আগ্রাসী মনোভাব ত্যাগ করে সত্যিকার গণতন্ত্রকে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন কেবল একটি শক্তিশালি, সম্মৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য। কারন শিক্ষিত যুব সমাজই পারে সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করে  দেশপ্রেমে উজ্জিবিত হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে।

আমি সব সময় ভেবেছি হয়ত তৃতীয় শক্তি দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে। কিন্ত আমি দেখেছি এদেশে ৪০ বছরেও কোন বুদ্ধিজীবী, ভাল সুশীল সমাজের সৃষ্টি হয়নি যারা ন্যয় ও সত্যের পথে কথা বলতে পারে। সকলেই আজ যার যার মত করে এক একটি মতে বিশ্বাসী হয়ে গেছে। যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়্ । তবে সকলের আদর্শই সঠিক ও কল্যানকর যদি তা অনুসরন করা হয়। তাইত আজ কোন ব্যক্তির পুজা নয় , নেতাদের আদর্শের পুজা করতে হবে আর  হতে হবে তাদের মত সদেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী আর সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত, আর তখনই আমরা আশা করব আমাদের সপ্নের সোনার বাংলাদেশ। আর সেই লক্ষ অর্জনে কাজ করবে আমাদের নতুন প্রজন্মরা ঐক্যবদ্ধ হযে। লক্ষ্য আমাদের একটিহ আর সেটা হল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র যেখানে বিদেশী শক্তির কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। (অব্যাহত)

No comments:

Post a Comment