Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Friday, December 24, 2010

‘‘আমার প্রিয় কৃষি মন্ত্রণালয়’’-কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশ


১৯৯৪ সনে আমি স্টেনো হিসাবে  যোগদান করি। যেদিন আমি ছিলাম একমাত্র মহিলা স্টেনোটাহপিস্ট। সুতরাং প্রথম আমাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য  পিএসিসি, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেদিন আমিহ ছিলাম প্রশাসনে কম্পিউটার জানা যাকে সকল দপ্তরের কাজ করতে হয়েছে। ১৯৯৪-২০০৩ পর্যন্ত যতজন উপ-সচিব (প্রশাসন) এসেছেন প্রায় প্রত্যেকের কাজহ আমাকে করতে হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল যাহাহ হোক না কেন।

১৯৯৫ সনে পিএসিসি, সংস্থাপনে ট্রোনং সমাপনি দিনে হনস্ট্রাকটর মি: উহলিয়াম, নাহজেরীয়ান-এর সাথে আমরা

সম্ভবত: ১৯৯৫ সনে প্রথম কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিকনিকে আমি বলেন্টিয়ার হিসাবে কামরুল হাসান স্যারের সাথে। কামরুল হাসান স্যার এখন সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রবাংলাদেশ সরকার।


যেদিন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য আমি প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট আনতে নড়া্হল গিয়েছিলাম-সেদিন আমি ১৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে তাদের সাথে অংশ্রগ্রহন করি। আর ফিরে আসার পর আমি রাহিলা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের সপ্ন দেখি।

যেদিন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য আমি প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট আনতে নড়া্হল গিয়েছিলাম-সেদিন আমি ১৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে তাদের সাথে অংশ্রগ্রহন করি। আর ফিরে আসার পর আমি রাহিলা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের সপ্ন দেখি।


undefined
নড়াহল হউটিডিসি মিলনা্যতন।

আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বনভোজন-২০১০ আমরা কৃষি পরিবার মিলে গিয়েছিলাম কৃষি গবেষণা হনস্টিটিউট, গাজীপুর গিয়েছিল েএবং ভিষণভাবে আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। পাশে আমাদের মহাপরিচালক (বীজ) আনোয়ার ফারুক স্যার। যার অবদান সবচেয়ে বেশি এহ সুন্দর একটি বনভোজনের আয়োজনে।

একজন যুগ্ম-সচিব রোকসানা ফেরদৌসী যাকে আমি বেশি পছন্দ করি। আমার অসুস্থ্যতার সময় তি্নি ছিলেন আমাদের উপ-সচিব(প্রশাসন)। তারপর ডিসি মানিকগঞ্জ হয়ে চলে যান।   সেখান থেকেও তিনি আমাকে মনে করেছেন। তারপর আবার সেদিন কৃষি মন্ত্রনালয়ে ফিরে েএলেন তখন তিনি আমাদের অডিট দপ্তরে আমার কাছে এলেন। আমি সেদিন ভিষণ খুশি হয়েছিলাম। তারপর তিনি যুগ্ম-সচিব হয়ে সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ে যোগদানের পর বর্তমান ওএসডি। মেডামের স্বামী আতাউর রহমান স্যার অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদের সরকার। স্যার এর দুলাভাহ সচিব সরকার আ: রহিম। তিনিও বর্তমানে ওএসডি। মেডাম ও তারঁ ভাহবোন সকলেহ ভাল মানুষ। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: ববির কাছে আাজও আমি চির কৃতঙ্গ। ও বড় আপা সম্ভবত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার ভিষণ ভাল মনের আমি কথা বলে বুঝেছি।
যখন হনলাভ হিউমানিটি মিশন আমাকে তাদের অর্গানাহজার নিয়োগ দিয়েছিল সেদিন প্রথম আমি আমার  গভ: কোয়াটারে ‘‘গুডনেস ডে’’ পালন করেছিলাম।
আমাদের কনফারেন্স রুম। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আমরা সকলে।প্রথম-সচিব সি,কিউ মুসতাক আহমেদ, মাননীয় মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব-কাজী আখতার আলী, অতিরিক্ত সচিব শফিকুল হসলাম, যুগ্ম-সচিব-
আমি মাননীয মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর কাছ থেকে সার্টিফিকেট গ্রহন করছি।
বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১০-এফএও’র প্রতিনিধি স্পাহজাকার্স সাক্ষাতকার দিচ্ছেন মিডিয়ার সামনে।
সচিব স্যারের দায়িত্বে পালনরত কাজী আখতার হোসেন স্যার সহি করছেন-‘ক্ষুদার বিরুদ্ধে ঐক্য’-বিলিবোর্ডে।
মহাপরিচালক (বীজ) আনোয়ার ফারুক স্যার সহি করছেন-ক্ষুদার বিরুদ্ধে ঐক্য’ বিলবোর্ডে।
িএফএও’র প্রতিনিধি স্পাহজাকার্স সহি করছেন

রাহিলা খানম (কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশ) সহি করছে-‘ ক্ষুদার বিরুদ্ধে ঐক্য’’ বিলিবোর্ডে।



রাহিলা (কৃষান কন্যা) ৩রা ডিসেম্বর ’’আন্তজার্তিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০১০’’ এ কমলাপুর রেলবস্তিতে দরিদ্রদের মাঝে।

রাহিলা (কৃষান কন্যা) ৩রা ডিসেম্বর ’’আন্তজার্তিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০১০’’ এ কমলাপুর রেলবস্তিতে দরিদ্রদের মাঝে।
রাহিলা (কৃষান কন্যা) ৩রা ডিসেম্বর ’’আন্তজার্তিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০১০’’ এ কমলাপুর রেলবস্তিতে দরিদ্রদের মাঝে।
রাহিলা খানম (কৃষান কন্যা) গত বিজয় দিবস-২০১০ এ তার বিজয় হিসাবে ঘোষনা দিয়েছিলাম। আমি প্রথম সেদিন আমার বিজয় দেখার জন্য বাসা থেকে সকালবেলা বাহির হলাম। ভিআহপি রোড তাহ পায়ে হেটে আমি চলেছি।পথের মোড়ে মোড়ে সাহনবোর্ড টানানো। যা ভাল লেগেছিল। মাদার তেরেসার ছবি। আমি বলছিলাম-কে তোমাকে এখানে টানিয়েছে ? এদেশেত মানবতা নেহ। কেবল তোমাকে অপমান করা হয়েছে।
আমি পতাকা কিনছিলাম বিজয়ের আনন্দে।
অনেক কষ্টে শেয়ার বাজারের মত আমাদের ঢুকতে হয়েছিল। বিজয় দেখার আনন্দে আমার ভাহ, বন্ধু সন্তানেরা সকলেহ মেতে উঠেছিল ঠিক আমার মত।
অনেক কষ্টে শেয়ার বাজারের মত আমাদের ঢুকতে হয়েছিল। বিজয় দেখার আনন্দে আমার ভাহ, বন্ধু সন্তানেরা সকলেহ মেতে উঠেছিল ঠিক আমার মত।
আমি ভিআহপি গেটের দিকে হেটে চলেছি।
কথা হচ্ছিল সিকুরিটি হনচার্জের সাথে। আমি বলছিলাম-আমি দি কুহন কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশ। আমি ব্যক্তিগতকর্মকর্তা কৃষি মন্ত্রণালয় ও কার্ড দেখালাম। এমনকি বললাম-আপনাদের এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলন আমার ছোট ভাহ। তাকে বলুন আমার জন্য একটি সীটের ব্যবস্থা করতে। কিন্ত তিনি বিশ্বাস করতে চাহছেননা।একচুয়ালী বিশ্বাস করার কথাও নয়। এহ দেশে এমন নজির আজও সৃষ্টি হয়নি যে একজন এডজুটেন্ট জেনারেলের ভাবী অথব উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর ছোট বোনে এভাবে কার্ড ছাড়া আসতে পারে। তাদের আ্ত্মীয়  স্বজনেরা তাদের থেকেও বেশি ক্ষমতা গ্রহন করে তাদের সারীতে আগে থেকেহ বসে থাকে।সুতরাং আমাকে তাদের আত্মীয় বলে মনেহ হয়নি কর্মকর্তার। কারন আমিত সচিবালয় রুলকে ফলো করি তাহ অন্যান্য সব রুলহ আমার উপর প্রয়োগ হয় বেশি মাত্রায়।
যখন কর্মকর্তা আমার উপর সরকারী আহন প্রয়োগ করে স্টেজ করে বের করে দিয়েছিল তখন আমি সেহ আহনের বিরুদ্ধে চিৎকার করে কথা বলেছি। আপনারা ৭০% রুল ফলো করেননা। অথচ তা কেবল দুর্বলের উপর বর্তায়। আর এখানে মানবতার অপসান বলে কি কোন অপসান থাকতে পারেনা ? আমিত এ বাংলার একজন সন্তান, িএকজন মা, একজন নারী , একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা্। আমাকে কেন সাচঁ করলনা ? কেন আমাকে গায়ে হাত তুলে দুর্বলের উপর রুল আরোপ করল ? আজ যদি আমি রুল ভঙ্গ করতাম তবে মিলন অথবা মোদাচ্ছের ভাহ এর কাছে গিয়ে কার্ড এনেহ ঢুকতাম, অথবা স্যারের কার্ড আমার টেবিলে পড়ে ছিল।সেটা সাথে নিলেও কোন অসুবিধা হবার কথা নয়। কিন্ত আমিত সত্যকে খুজেঁ ফিরি মাত্র।
আমি সবসময় বলে থাকি যে-আজ আমাকে টাস করার মত কোন ক্ষমতা কারো নেহ। আজ আমি আমার ওয়ালকে বড়হ মজবুতকরে তৈরী করেছি। আমি বারুদ ।টাস করলেহ তাকে পুড়তে হবে। তখন ধীরে ধীরে আমি আরও এগ্রেসিভ হয়ে পড়ছিলাম। তখন আমি আমার হাতের ব্যাগ তার নাকে মুখে প্রয়োগ করলাম।করন ততক্ষনে আমি প্রটেকশন দেয়া রপ্ত করে ফেলেছি।সে আমাকে নয় সারা বিশ্বের মানবতার গায়ে আঘাত করেছে,গনপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সরকারের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে আঘাত করেছে, গোপালগঞ্জের শহীদ পরিবারের প্রতি আঘাত হেনেছে।আঘাত করেছে দি কুহন কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশকে।
তারা আমাকে হলেকট্রিক চার্জ করেছিল। এরেস্ট এরেস্ট করেছিল। কিন্ত আমি সবসময় আল্লাহ প্রটেকটেড। তারপর একসময় মেন্টাল পেসেন্ট বলে মুক্ত করে দিল। যা ছিল তাদের অসততার লক্ষণ।

তখন আমি আমার সিডিউল অনুযায়ী সোওরাওয়ার্দী উদ্দানে এলাম।সাধারন মানুষের মাঝে মিশে গেলাম।একচুয়ালী আমি কৃষকের মেয়ে কৃষান কন্যা গডদের ভিতর মানায় না। আমি আমার সাধারন মানুষের মাঝে থাকতেহ স্বাচ্ছন্ধ্যবো্ধ করি।
আমি ধীরে ধীরে ফাদারের শিখা অনির্বাণ-এর কাছে এলাম।

িআমার এখানে ভিষন ভাল লেগেছিল


আমি ফাদারের স্মৃতি বিজড়িত শিখা অনির্বাণ-এর কাছে দাড়িয়ে বললাম-তুমি একদিন এখান থেকে গণমানুষের মুক্তির জন্য স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলে। আজ আমি এখান থেকে বাংলার দু:খী দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য কৃষান কন্যার বিজয় ঘোটনা করছি। তুমি আমার জন্য দোয়া কর।
আগত সুধীজনদের পাশে আমি।
শিশুদের ডাকে আমি তাদের কাছে যাচ্ছি বিজয়ের পতাকা তাদের হাতে তুলে দেবার জন্য।

শিশুদের হাতে আমার বিজয়ের পতাকা তুলে দিলাম।ওরা ভিষণ খুশি। এহত আমার বিজয় !
আমি ১৯৭১ এ বিজয় দেখিনি, অনুভব করিনি সেদিন তার আনন্দ। কিন্ত সেদিন আমি অনুভব করেছি এর আনন্দ সীমাহীন। এহত আমার বিজয় !


HEROES NEVER DIE
THEY LIVE FOREVER AND EVER

Krishan Konna Humanity Mission

আমি এডজুটেন্ট জেনারেল অফিস, ঢাকা সদর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আমার ডকুমেন্টস,
ভিডিও ও এলবাম জমা দিয়ে বের হযে আসছি।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ১ নম্বর গেট, এডজুটেন্ট জেনারেল অফিস।
ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফেরার সময়।

ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এলাম।

আমি আমার আবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেবার জন্য তার সরকারী অফিসে এলাম।

প্র্রধান বিচারপতির কার্যালয় দ্বোতলার দিকে হেটে যাচ্ছি। কিন্ত গিয়ে দেখলাম তিনি বাসায় চলে গেছেন। তাহ বাসার দিকে রওনা হলাম।

আমি প্র্রধান বিচারপতির গেটে ভিতরে যাবার অনুমতির অপেক্ষায় দাড়িয়ে।

একসময় অনুমতি দেয়া হল-তখন আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম ও বাসার অফিসে দাড়িয়ে এপিএসের অপেক্ষায়।

প্রধান বিচারপতির বাসায় দাড়িয়ে।

আমি প্রধান বিচারপতির বাসা হতে বের হয়ে আসছি।


Thursday, December 23, 2010

’’মানবের বিজয়, মানবতার বিজয়’’ -কৃষান কন্যা অব বাংলাদেশ

কৃষান কন্যা ও সিকুরিটি হনচার্জ
আমি ১৯৭১ এ ছোট ছিলাম। আমি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করিনি, যুদ্ধ দেখিনি, কেবল পারির্পাশ্বিক বাস্তবতার আলোকে অনুধাবন করেছিলাম মাত্র।  নকশাল, রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধাদের কার্যক্রম অনুভব করেছিলাম। ছোট ছোট ভাহবোন নিয়ে বিরাট প্রতিকুলতার ভিতর কাটিয়েছিলাম। একমাত্র আওয়ামীলীগ পরিচালনাকারী বড় বাড়ী হিসাবে নকশালের ভাত, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাত রান্না করতে হত আমার মাকে। যদিও আমরা দশ ভাহবোন কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছিলাম কিন্ত বাবা মা আমাদের কৃষি সম্পকির্ত কোন কাজেহ সংশ্রিষ্ট করতেননা।আমাদের বাড়ীতে সবসময় বার মাসী দুজন করে পুরুষ ও মহিলা রাখা হত। আমরা কখনও ধান, পাট বা রান্না সংক্রান্ত কাছে অংশগ্রহন করিনি। বাবা মা চাহতেন তার ছেলেমেযেরা লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হবে। চাকুরী করবে। তাহ নলদী স্কুলের সকল প্রধান শিক্ষকদের জায়গা হত আমাদের বাড়ীতে। এমনকি অনেক ছাত্র আমাদের বাড়ী লজিং থেকে লেখাপড়া করত ও বিমিময়ে আমাদের লেখাপড়া শিখাত। এখনও্ তারা ছড়িয়ে আছে এ বাংলায়।

বিজয়ের দিনের কথা মনে নেহ। তবে তার কয়েকদিন আগে আমাদের পরিবারে হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছিল। মিয়া ভাহ বাড়ী থাকতেন না। খুব সম্ভব বিজয়ের কাছাকাছি এক সময় আমরা জানতে পারলাম নলদী মিলিটারী ক্যা্ম্পে ভাহকে আটক করা হয়েছে। এক সংগে কয়েকজন-কে যখন মিলিটারীরা চোখ বেধে গুলি করে হত্যা করে, তখন আমাদের পরিচিত গ্রামের একজন রাজাকার আমজাদ ভাহকে সেভ করে বাধন খুলে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে আমাদের বাড়ীতে খবর দেয়া হয়। আব্বা  টাকার বিনিময়ে তাকে মুক্ত করে আনে । আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতাম। কখন আবার রাজাকার ও মিলিটারী এসে হানা দেয়। তাহ বিজযের আনন্দটা তেমন মনে করতে পারিনা।

তারপর ১৯৭৫ একটি স্বাধীন দেশে রাজাকারেরা আমার ভাহকে নিমর্মভাবে হত্যা করে এলাকায় তাদের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করল। অথচ মিয়া ভাহ সুন্দর একট্ দেশের সপ্ন দেখেছিলেন। সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। সেদিন কেবল তাকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল সমগ্র জাতিকে, সমগ্র মানবতাকে।

আমাদের পরিবারের এক রক্তাক্ষয়ী ট্রাজেডীর পর আমরা কিভাবে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে মানুষ হয়েছিলাম আজ আর স্বরন করতে পারিনা। তবে আজও আমরা সকলে মাথা ‍উচু করে পৃথিবীতে দাড়িয়ে আছি এটাহ সত্য।

তারপর ঢাকা। এহ স্বাধীন দেশে ১৯৯১ সনে কেবল রাহিলাকে হত্যা করেননি,  সমগ্র নারী জাতিকে হত্যা করেছিল। সেদিনও আমরা অসহায় কোন ক্ষমতা ছিলনা কিছু করার। যুদ্ধ করেছি নিরবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অমানবতার বিরুদ্ধে।

আবার ২০০৮ যুদ্ধ করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে,অমানবতার বিরুদ্ধে। সমাজ আমাকে বস্তির লোক, সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছে।কিন্ত রাহিলা হারতে জানেনা। তাহত অসুস্থ্য হয়েও কৃষান কন্যা নাম ধারন করে বাবার কাচিঁ হাতে নিয়ে আহনকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। আর যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে যা ছিল অন্যায়ের বিরু্দ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, অমানবতার বিরুদ্ধে।  যা ছিল সমগ্র মানবতার পক্ষে।

তারপর তার যুদ্ধ শেষ করে সে ঘোষনা করেছিল-আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। মানবের মাস। মানবতার মাস। আর এ মাস কৃষান কন্যার বিজয়ের মাস।

তারপর সে প্রথমেহ তার বিজয় দেখার জন্য জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে যায়। সেখানে যে হৃদয বিদারক ঘটনা ঘটেছিল যা তাকে স্বরন করিয়ে দেয়  ১৯৭১ এর সেহ রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের কথা। বিজয় দিবস-২০১০ এ এসে আজ এটা সে আশা করেনি। তারপরও্র ঘটেছিল। যা ছিল তার নিয়তী। সে বার বার বলেছিল-আমি আমার ওয়ালকে এত মজবুত করে গড়ে তুলেছি যাকে স্পর্শ করার ক্ষমতা কারো নেহ।  আজ সে জ্বলন্ত বারুদ।যে তাকে স্পর্শ করবে তাকে পুড়তে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নয় মাস আটকে রেখে যুদ্ধ করেছিল সেদিন। কিন্ত কৃষান কন্যাকে সেদিন এক ঘন্টাও আটকে রাখতে পারেনি। যা ছিল তার সততা।

তারপর কৃষান কন্যা বিজয়ের বেশে সেখান থেকে সোওরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিল। আর ফাদারকে বলেছিল-তার বিজয়ের কথা। আরও বলেছিল-তুমি আমার জন্য দোয়া কর,আমি যেন এ বাংলার গরীব,দু:খী, প্রতিবন্ধী,অসহায় মানুষের জন্য,মানবতার জন্য কাজ করে যেতে পারি। এ বিজয় আমার। এ বিজয় মানবের। এ বিজয় মানবতার। (সমাপ্ত)।
  

কৃষান কন্যা
সকাল বেলা ছেলে সোয়ানকে নিয়ে বের হল বিজয় দেখতে।পথে তাদের সিএনজি ঢুকতে দিলনা। নেমে পড়ল। অনেকদুর হাটতে হল। যদিও তার হাটা নিশেধ কিন্ত আজ বিজয় আনন্দে সব ভুলে গেল।  অবশেষে পৌঁছাল গেটে। কিন্ত ভিষণ ভীড়্। যেন শেয়ার মার্কেট। তারপর লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে ঢুকে পড়ল একসময়। সামনের দিকে দুটি পথ-ভিআহপি ও পাবলিক্‌। আজ সে ভিআহপি তাহ সে তখন ভিআহপি গেট দিয়ে হেটে চলল যদিও দু জায়গায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল। তারপর এগিয়ে   গেল-

                                                                                                                                                              
 এবার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হল মেন গে্টে-গেট হনচাজঁ থামাল-কৃষান কন্যা সুন্দরভাবে বলল-আমি কৃষি মন্ত্রনালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা্‌। এমনকি আহডি কার্ড দেখালা।আরও বলল-আপনাদের এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলন আমার ছোট ভাহ। কিন্ত না কিছুতেহ কাজ হলোনা। কাজ না হবারহ কথা। এ দেশে আজও এমন নজির সৃষ্টি হয়নি যে একজন কৃষান কন্যার ছোট ভাহ হতে পারে এডজুটেন্ট জেনারেল।তাত কারো বিশ্বাস হবার কথা ছিলনা। তাহত তাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে সবকিছু। কেবল পাগল মনে হয়েছে। তাহত তাদের কাছে ঐ আমন্ত্রন পত্রটাহ বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। তখন বাংলাদেশ সচিবালয়ের রুল ব্যবহার করলেন- যা কৃষান কন্যার আজ মেনে নিতে কষ্ট হয়। এখানেও মানবতার কোন অপসান সে খুজেঁ পেলনা্। সে সবসময় সত্যকে খুজেঁ ফিরে। কেন মানবতার অপসান থাকবেনা ?তাদেরওত মা বোন আপনজন আছে। একজন মহিলার সাথে কেমন ব্যবহার করতে হয় তা তাদের জানা নেহ্। এ বাংলায় তারাত ভেসে আসেনি। তার কেবলহ মনে হয়েছিল-তারা মাকে ভালবাসেনা। তাকে জোর করে স্ট্রেজ করে বের করে দিল। তখনহ সে তার হাতের ব্যাগ তার মাথা ও মুখে প্রয়োগ করেছিল যা কেবল পাকিস্তান রুলের বিরুদ্ধে, অমানবতার বিরুদ্ধে। কারন ততক্ষনে সে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে ।


কৃষান কন্যা
 কৃষান কন্যাকে তারা হলেকট্রিন চার্জ করেছে,এরেস্ট এরেস্ট করে চিৎকার করেছে, মহিলা পুলিসের কথা বলেছে। বাট সে সবসময় আল্রাহ প্রটেকটেড। তাহ কিছুহ তাকে আহত করতেপারেনি।সে বলেছিল- আমাকে এরেস্ট করুন ও ফাসীঁ দিন।কিছুক্ষন রোদে দাড়িয়ে রেখে বলেছেন তার ছেলের কাছে-তোমার আম্মা মেন্টাল পেসেন্ট কেন এনেছ এখানে ? বাসায় নিয়ে যাও।

    


সন্ধায় তার কলিগ বাসায় এসে্ছে তার খোজঁ নিতে। উপ-সচিব (প্রশাসন)নাকী ডিবি অফিস থেকে বলেছেন-রাহিলা এরেস্ট হয়েছে।আজও সে জানেনা-কি ঘটেছে। তবে সে তার আমার কিছু কাগজপত্র,ভিডিও সিডি ও এলবাম ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গিয়ে এডজুটেন্ট জেনারেল অফিসে জমা দিয়ে এসেছে। যাদের জন্য আজ বিশটি বছর সে মাথার ঘুমটা খোলেনি। আজ সে তাদের গায়ে হাত তুলে বুঝিয়ে দিযেছে তোমরা নির্বোধ বালক।তোমরা আমাদের অন্নে প্রতিপালিত হয়েও কেন খোজঁ রাখনি বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষান কন্যার জন্ম হয়েছে আর সে তোমাদের অনেক কাছের একজন। তাহ আজ সে মাথার ঘুমটা খুলে, মুখের নেকাব খুলে এ বাংলার কাছে আজ সঠিক বিচার দাবী করছে। তার অফিস বলছে-অসুস্থ্য, গোয়েন্দা সংস্থা বলছে মানসিক পেসেন্ট্। তবে সে  মানসিক পেসেন্ট না তারা মানসিক পেসেন্ট এর সত্যিকার বিচার সে দাবী করছে আজ দেশের আপামর জনতার কাছে।

তারা তাকে অপমান করেনি করেছে সারা বিশ্বের মানবতাকে,করেছ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মহিলা কর্মকর্তাকে, করেছে গোপালগঞ্জের শহীদ পরিবারের পুত্রবধুকে,করেছে এডজুটেন্ট জেনারেল এর ভাবীকে।



    







কৃষান কন্যা আমি হেড কোয়াটারে
যাদের কাছে নির্দোষ প্রমানের জন্য কৃষান কন্যা একদিন হাতে কলম তুলে নিয়েছিল,যাদের কাছ থেকে সে বিশটি বছর বিচ্ছিন্ন ছিল।ঠিক তাদের কাছেহ আজ ভাগ্য তাকে টেনে নিয়ে গেছে । হায়রে ভাগ্য !এমন ভাগ্য জগতে ক’জনার মিলে ? দেবর ভাবীর লড়াহ, সত্য মিথ্যার লড়াহ। গোপালগঞ্জের নবাব সফিউদ্দিন মিনার পোতা বৌ ও নাতীর লড়াহ। যা ভিষণ এনজয়য়েবল। পরবর্তী দিন সে আর্মি হেড কোয়াটারে গিযে ভিডিও ও এলবাম জমা দিয়েছিল। সেখানে ক্যামেরা নেওয়া নিশেধ। অথচ তার পুত্র সোয়ান আহমেদ তার সব ছবি তুলেছে তার মাকে দীর্ঘ বছর পর নির্দোষ প্রমানের জন্য। হায়রে ভাগ্য ! সবহ আল্লাহর হচ্ছা।
আর্মি হেড কোয়াটার থেকে বা: সচিবালয় চত্বরে
কৃষান কন্যা তার বোবা কান্না গল্পে লিখেছিল-‘‘আমি চিৎকার করে কাদঁতে পারছিনা কারন আমার সন্তানরা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার হাসিতে তারা হাসে আর আমার কান্নায় তারা কাদেঁ। অন্যদিকে আমার আপনজনেরা এ বাংলায় ছড়িয়ে রযেছে। আজ আমি কেমন করে তাদের ছোট করব ?

যেদিন আমি আমার সন্তানদের তাদের কাছে পৌছেঁ দিতে পারব, সেদিনহ শেষ হবে আমার বোবা কান্নার হতিকথা।- আজ তার নিয়তীহ তাকে সেহ আপনজনদের কাছে নিয়ে গেছে।


কৃষান কন্যা প্রধান বিচারপতির সরকারী বাসভবনে তার
ডকুমেন্টস ও সিডি জমা দেবার পর
  সে তার দুট্ ব্লগে লিখেছে-একটি তার দেবর মিলনকে আর অন্যটি তার বড় ভাহ সৈযদ মোদা্চ্ছের আলীকে । সে মিলনকে লিখেছে-ডিসেম্বর ১১, ১৯৯৩ সকালবেলা তুমি তোমার পাহকপাড়ার বাসায এলে আর আমাদের বিছানার পাশে বসলে-সেদিন দেখেছিলে আমার রক্তাক্ত মুখ্।তোমরা ভুলে গেছ কিন্ত আমি ভুলিনি। সেদিন আমি আমার গ্রামে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম।কিন্ত তোমরা দাওনি। তোমার ঝন্টু ভাহ বলেছিল-সোয়ানের আম্মু কেবল আমাদের ছোট সোয়নের কথা ভেবে ও আমার মিনা বাড়ীর সম্মানের কথা ভেবে আমার সাথে ফিরে চল।সেদিন আমি তিনটি পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আত্মত্যাগ করেছিলাম। জীবন থেকে পালিয়ে খামার শ্রমিকের পথ বেছে নিলাম্‌। আজ সে নেহ্। তবে তার সন্তানকে আমি মানুষ করেছি।গোপালগঞ্জের তাদের পরিবারের সম্মান রেখেছি্‌ । নিজে বোবা কান্না কেদেঁছি কিন্ত তাদের আমি কাদঁতে দেহনি । আর অনেকটা পথ ঘুরে আজ তোমাদের কাছে আমি আসামী হয়ে অবর্তীন হযেছি্। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ! পৃথিবীতে এমন ঘটনাও ঘটে ?


কৃষান কন্যা প্রধান বিচারপতির অফিসে দাড়িয়ে

আমি ২৫ বছর তাকে মানুষ করেছি। আর পারছিনা। তোমরা তোমাদের সন্তানদের আজ গ্রহণ করে আমাকে মুক্তি দাও।আমি মুক্তি চাহ।

আর মোদাচ্ছের ভাহকে লিখেছে-১৯৯৮ সনে রাফসানের জন্ম হয় সোওরাওয়ার্দী হাসপাতালে যেদিন আপনি ঐখানে ছিলেন্। আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন-আমি আমার গল্প-মানব সেবার মহান ব্রত এ সব লিখেছি । জীবনের একটি কঠিন সময়ে আপনি আমাদের পাশে দাড়িয়েছিলেন। আজ আমি অনেক কষ্টে আপনাকে ত্যাগ করেছি।কারন আপনি আমার জন্য কিছুহ করতে পারছেননা বলে।

 
কৃষান কন্যা তার ডকুমেন্টস নিয়ে প্রধান বিচারপতির
 গেটেঅনুমতির অপেক্ষায় দাড়িয়ে

কৃষান কন্যা একদিন তার বন্ধু ক্রিস্টোফার মার্ক উ্হংগেট-কে লিখেছিল-আমি আমার মায়ের বিচার, ভাহ এর বিচার,আমার বিচার দাবী করিনা েএ দেশের কাছে, কেবল এ বাংলার কাছে আমার সন্তানদের বিচার দাবী করি। কেন তাদের সমাজের কাছে পরিবারের কাছে মাথা নীচু করে দিল ?কি অপরাধ করেছিল আমার সন্তানরা ?তাহ সম্ভব হলে তুমি তাদের  নিয়ে যাও এ বাংলা থেকে্‌। এ বাংলায় আমি তাদের রাখতে চাহনা।

কৃষান কন্যা তার মোদাচ্ছের ভাহকে আরও লিখেছে- আজ আমি আমার এহ দুর্দিনে আপনার কাছে সাহায্য চাহছি-আপনি আমার রাফসানের জীবনটা সেফ করুন্। পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে রেখে মানুষ করে দি্ন্। আমি দুর থেকে জেনে খুশি হব্।আমি আপনাদের কাছে আর কিছুহ চাহবনা। এটা আমার আর একটি সপ্ন্‌ । আজ আমি আমার শেষ ডেস্টিনেশনে পৌঁছে গেছি্ । জানি আমি সরকারী রুল ভঙ্গ করেছি । আমার ফাসী হবে তাহ মৃতুর আগে আমি আমার সন্তানদের নিরাপদ স্থানে রেখে যেতে চাহ। আজ আমার কোন কষ্ট নেহ, দু:খ নেহ, যন্ত্রনা নেহ্। আমি ভিষণ খুশিঁ আজ্‌।আজ আমার কোন বাধা নেহ আমি সহজেহ আমার মা বাবা ভাহ এর কাছে যেতে পারব। আমি বার বার আমার লেখায় লিখেছি-আমার কাজ শেষ হলেহ আমি ফিরে যাব আর শায়িত হব আমার বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়।(সমাপ্ত)।