Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Saturday, December 31, 2011

''দেশ গঠনে বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে আমাদের ভাবনা''

কৃষান কন্যা রাহিলা
বর্তমান আমাদের দেশে চলছে সংসদীয় গণতন্ত্র। আর সংসদীয় গণতন্ত্রের অর্থ হলো সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সমন্বয়ে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করা। কিন্ত আমাদের দুর্ভাগ্য ছোটবেলা হতেহ আমরা দেখে আসছি সংসদে সত্যিকার গণতন্ত্রের চর্চা হয়না, পরিবর্তে চলে অগণতান্ত্রিক সব কর্মকান্ড।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদই হচ্ছে জনগনের আশা ভরসার প্রানকেন্দ্র। আর গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কাস্টোডিয়ান হচ্ছে সংসদ। কিন্ত আজকাল আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় কাস্টোডিয়ান হল মালিক। রক্ষক মানে মালিক নয়। আর জাতীয় সংসদ বলতে কেবল আমাদের সুন্দর জাতিয় সংসদ বিল্ডিংটি নয়। সংসদ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, সিপকার, সংসদ উপনেতাসহ সকল সংসদ সদস্য। আর গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতিতে জনগণহ ক্ষমতার মালিক। তাহ জনগনের সকল অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব হল সংসদের।

কিন্ত আমাদের দুর্ভাগ্য তা হচ্ছে না। কিন্ত কেন ? এসবের মুলে আছে মানুষের অতিরিক্ত ক্ষমতার লোভ, শোষন, আগ্রাসন মনের পরিচায়ক। আর এহ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা আজ কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে তা আমি আজ এই পৃথিবী নামক গ্রহের ভিতর বসে অনুভব করছি আর ভাবছি-কিভাবে সত্যিকার গণতন্ত্র বাংলায় প্রতিষ্টা করা সম্ভব !!

বাংলাদেশ ১৯৭১ সনে যে চিন্তা চেতনায় স্বাধীন হয়েছিল সেই লক্ষ্যে আজও পৌছাতে পারেনি। তার কারন একই অগনতান্ত্রিক মনোভাব। যার কারনে সৃষ্টি হযেছিল ১৯৭৫ , সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৮২, সৃষ্টি হল ১৯৯১ এমনি করেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সঠিকভাবে, দীর্ঘ পরিকল্পনা মাফিক তাকে লালন করে কাজ করার সময় দেয়া হয়নি। কেবল আসা আর যাওয়ার মাঝেই সব শেষ হয়ে গেছে ফলে বার বার গণতন্ত্রের মৃতু হয়েছে। ৪০ বছর পরেও দেশ উন্নতির মুখ দেখতে পারেনি। তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত আজ। যা আমাদের কাম্য ছিলনা ।

আজ আমি এই লেটেস্ট মিডিয়া ওয়েব সাইটে এসে জেনেছি আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপট । স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শাসন করেছিল ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত মাত্র চার বছর। তারপর এসেছিল জাতীযতাবাদী দল। আর তারা বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করেছিল। তাইত আজ আমি এই নেটে বসে দেখতে পাই বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরীরা ছড়িয়ে আছে আর তাদের সংখ্যাই বেশি। আর গণতন্ত্রের চর্চা তাদের ভিতরই বেশি হচ্ছে তার কারন কি ? বড় কারন হল আওযামীলীগ সরকার ১৯৭২ সনে নামে মাত্র গণতান্ত্রিক ছিল কিন্ত তারা ছিল শাসকগোষ্টি সম্পন্ন। তাইত গণতন্ত্রের নামে বিএনপির সৃষ্টি আর সেটাই ছিল দীর্ঘস্থায়ী। ফলে তাদের রুট ছড়িয়ে গিয়েছিল বেশিমাত্রায়।

তারপর ১৯৮১ সনে শেখ হাসিনাকে বাংলায় এনে আবার আওযামীলীগ গণতন্ত্রের চর্চা করলেও সহজে ক্ষমতায় আসতে পারেনি।  ১৯৯৬ সনে যখনই এসেছে আর তখনই তারা গণতন্ত্রের নামে অগনতান্ত্রিক রীতি নীতি চালু করেছে, ফলে দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারেনি্। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সকলের প্রচেষ্টা। কিন্ত সেই প্রচেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর আবারও ২০০৯ বিপুল সংখ্যা গরিষ্ট ভোটে নির্বাচিত হয়েও তারা পারেনি জনগনের জন্য নিজ স্বার্থকে বিসজর্ন দিতে অথবা গণতন্ত্রের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে। বিরোধী দল প্রথম থেকেই সংসদে অনুপস্থিত। তার কারন কি ? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দল থাকবে বেশি স্ট্রং আর তারাই সরকারী দলের সকল কর্মকান্ড পর্যালোচনা করবে কিন্ত তা তারা করেননি আর সরকারী দলের উচিত ছিল তাদেরকে সংসদের নেবার সকল পরিকল্পনা গ্রহন করা।  সেখানেও তারা অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের স্বার্থে , জনগনের স্বার্থে অনেক সময় আত্মত্যাগ করা উচিত যা তাদের সম্মান বৃদ্ধি বই কমতনা। কিন্ত করেননি। ফলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধুতির বিলুপ্ত হয়ে  একনায়কতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে যা বাংলার জনগনের কাম্য ছিলনা তারপরও হয়েছে যা আমাদের নিয়তী।

প্রতিটি সরকার গঠনের সাথে সাথে তাদের ইশতেহার জারী করা হয়। ঠিক তেমনি করা হয়েছিল সরকার গঠনের পর। এমনি কিছু--দারিদ্র দুরীকরণ, দেশের অবকাঠামো নির্মান, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি। কিন্ত সরকারের ৫ বছরের তিন বছর যাবার পরও দেশে উন্নয়ন সম্ভব হয়নি্। আমি কৃষান কন্যা কেবল বাস্তব দেখে কথা বলি। আর আজ দেশের ভিতর সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে অগুরুত্বপুর্ন ইশতেহার যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে দেশের ভিতর যে নোংরা খেলা শুরু হয়েছে তাতে সরকারের সামগ্রিক কর্মকান্ড ম্লান হয়ে গেছে। আমাদের সাধারন জনগনের যেখানে হাজারও সমস্যা যেখানে এটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওযার কথা ছিলনা। তারপরও চলছে, তাতে দেশের ভিতর অস্থিতিশীলতার সৃস্টি হয়েছে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ১৫,১৭ ও ১৯ এ জনগনের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা দিতে সরকার দায়বদ্ধ হলেও তা থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য জনগণ বেশি মাত্রায় স্টেজ হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সত্যিকার গণতন্ত্রের চেতনায় নুতন প্রজন্ম আজ আবার জেগে উঠেছে। কারন পৃথিবী আজ অনেক দুরে এগিয়ে গিযেছে। সত্যিকার শিক্ষিত সমাজ আজ স্টেজ, শোষন, আগ্রাসন, ধনী-গরীবের ব্যবধান, পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা পছন্দ করেনা। তারা সত্যিকার গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চায়।

আজ সরকারের তিন বছর শেষ এখন দুই বছর উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। আর তার জন্য বড় প্রয়োজন বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়া। আর তার জন্য সরকারী দলকেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আগ্রাসীমুলক, হিংস্বাত্ত্বকমুলক কথাবার্তা পরিহার করে স্বাভাবিক গতিতে বিচারকার্য পরিচালনা করা উচিত হবে বলে মনে হয়। কারন ৪০ বছর পরে এই বিচার পরিচালনা করার সততা আজ নেই। তারপরও আত্মতৃপ্তি বলে একটি কথা আছে। ৪০ বছর যখন আমরা এ বিচার ছাড়া বেচেঁ থাকতে পেরেছি তখন হিংস্বাত্ত্বকভাবে ৪-৫ জনের বিচারের নামে দেশের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কোন যোক্তিকতা আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এটা সেই ১৯৭১ এর মানবতার দায়ে দায়বদ্ধ থাকার চেয়ে বেশি মাত্রায় অমানবতামুলক আচরনের দায়ে বর্তমান সরকার দায়বদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস। কারন তারা তাদের লক্ষ্য আজও অর্জন করতে পারেনি।

আজ আমি কোন দলের সার্পোট করছিনা কেবল বর্তমানে ওয়েব সাইট দেখেই বলছি-আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে যারা কাজ করছেন তারাই বেশি মাত্রায় মানবতাবাদী আর দেশপ্রেমিক তার কারন তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরী আর সরকারী দলের যুব সমাজ বেশি মাত্রায় উগ্রবাদী তার বড় কারন সরকারী দলের নেতাদের উস্কানীমুলক কথাবাতা তাদেরও উগ্রবাদী ও অমানবতাবাদীতে পরিনত করছে। তাই আমি সকল যুব সমাজকে আহবান করছি-সকল হিংস্বা-দন্দ্ব ভুলে সকল আগ্রাসী মনোভাব ত্যাগ করে সত্যিকার গণতন্ত্রকে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন কেবল একটি শক্তিশালি, সম্মৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য। কারন শিক্ষিত যুব সমাজই পারে সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করে  দেশপ্রেমে উজ্জিবিত হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে।

আমি সব সময় ভেবেছি হয়ত তৃতীয় শক্তি দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে। কিন্ত আমি দেখেছি এদেশে ৪০ বছরেও কোন বুদ্ধিজীবী, ভাল সুশীল সমাজের সৃষ্টি হয়নি যারা ন্যয় ও সত্যের পথে কথা বলতে পারে। সকলেই আজ যার যার মত করে এক একটি মতে বিশ্বাসী হয়ে গেছে। যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়্ । তবে সকলের আদর্শই সঠিক ও কল্যানকর যদি তা অনুসরন করা হয়। তাইত আজ কোন ব্যক্তির পুজা নয় , নেতাদের আদর্শের পুজা করতে হবে আর  হতে হবে তাদের মত সদেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী আর সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত, আর তখনই আমরা আশা করব আমাদের সপ্নের সোনার বাংলাদেশ। আর সেই লক্ষ অর্জনে কাজ করবে আমাদের নতুন প্রজন্মরা ঐক্যবদ্ধ হযে। লক্ষ্য আমাদের একটিহ আর সেটা হল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র যেখানে বিদেশী শক্তির কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। (অব্যাহত)

Wednesday, December 14, 2011

Krishan Konna Rahila
আমি একদিন আমার ফেসবুকে আমার সকল বন্ধুদের কাছে আমার আগামী ১৬ ডিসেম্বর সোহওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার কথা বলতে চেয়েছিলাম। যা ছিল আমার সপ্ন। কিন্ত আমার নিয়তী বড়হ কঠিন। কয়েকদিন আগে হঠাৎ মোজাহিদ নাকে একজন ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল তারপর অনেক কথা যদিও আমি কোনদিন কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত কথা বলিনি কেবল মামুন নামে এক ফেসবুক বন্ধু ছাড়া। সেও দীর্ঘ দিন ধরে কেবল গুড মরনিং লিখে যাচ্ছিল তারপরএক সময় কথা হল। যাহহোক মোজাহিদ আমাকে আমার সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাছে সহযোগিতা করবে আমার বিজয়কে এনে দিবে তাহত আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম কিন্ত তাকে পৃথিবীর সামনে আসতে হবে আর আমাকে বহন করার মত যোগ্যতা তার থাকতে হবে যদিও সে হিডেন। কারন দুজন মোজাহিদের সাথে আমার কথা হয়েছিল । একজন স্ট্রং আর অন্যজন ভিষণ দুর্বল, মনে হয়েছিল ভালবাসার কাঙ্গাল। কৃষান কন্যার থেকেও বেশি।

যাহ হোক আজ আমি বড়হ ক্লান্ত। আমি জীবনে অনেক আত্মত্যাগ করেছি আমার সন্তানদের জন্য তারপরও তাদের জন্য আমি ব্যক্তিসত্ত্বাকে বিসর্জন দেয়নি। অথচ মোজাহিদ তার সাথে কথা বলার পর সে আরও কষ্ট পেয়েছে ও আমাকে ফেসবুক না করার জন্য অনুরোধ করেছে। যা মোজাহিদও আমাকে করেছিল। যা আজ আমাকে ভিষণভাবে আহত করেছে, যাদের জন্য জীবনে এত আত্মত্যাগ অবশেষে তাদের কাছে আমি পরিহাসের পাত্র ছাড়া কিছুহ নহ। যা আজ আমার নিয়তী।

তারপর হতে আমার ফেসবুক ওয়ালে খারাপ ভিডিও পোস্টিং করা শুরু হয়েছে যা আজ সারা পৃথিবীর বন্ধুদের কাছে আমার হমেজকে নষ্ট করা হয়েছে। একদিন বাংলায় স্থান না পেয়ে ফেসবুকের পাতায় স্থান করে নিযেছিলাম আর নিজের কষ্টের কথাগুলি সারা পৃথিবীর বন্ধুদের সাথে সেয়ার করে বেচেঁ ছিলাম আজ সেহ স্থানটুকুও রহল না। তাহত ভাবছি আজ আমি কোথায় যাব ? কেবল মাটিতে ছাড়া আর যাবার কোন জায়গা আমার জন্য নেহ। তবে যে এহ নোংরা কাজটি করছে সে পশু ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহ তাকে নিশ্চয় শাস্তি দিবেন যা আমার বিশ্বাস।

মোজাহিদ আজও দুহটি কল করেছিল আমি ধরিনি। কারন তার জন্য আজ আমার পরিবারের ভিতরও অবিশ্বাসেরও কষ্টের সৃষ্টি হয়েছে। যা আমি আশা করিনি । আজ কেবল একটাহ ভাবনা আমার সন্তানদের নিয়ে কারন ওদের জন্যহ আমি কলম হাতে তুলে নিয়েছিলাম । আমার মৃতুর পরে যাতে সমাজে ওদের মাথা নত না হয় , ওরা যাতে মাথা উচু করে বাচঁতে পারে কেবল এতটুকু সপ্ন নিয়ে আমি কলম হাতে তুলে নিয়েছিলাম।

তারপর যখন কৃষি মন্ত্রনালয় আমাকে পাগল বানিয়ে বাসায় পাঠিয়ে আমার সন্তানকে সম্ভভব: চাকুরীর দেবার জন্য ভেবেছিল। তখন আমি বুঝতে পেরে সচিবালয় হতে বের হয়ে এসেছিলাম। কারন যেখানে আমাকে তারা প্রতিবন্ধীর পর পঙ্গু বানিয়েছে সেখানে আমার সন্তানকে তারা আবার হত্যা করবে। তাহত আমি চাহনা আমার মৃতুর পর তারা সরকারী চাকুরী করুক।

আজ আমার যদি কোন কারনে মৃতু হয় তবে আমি আমার সকল বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রেখে গেলাম বিশেষ করে যারা আমার একসময় কাছের বন্ধু ছিলেন কিন্ত আজ আমার নিয়তীর জন্য তারা দুরে সরে গেছে। তবে যেখানেহ থাকুক না কেন আমার মৃতুর পর যেন আমার সন্তানরা এহ বাংলায় থাকুন যা আমি চাহনা আমার জন্য কিছু না পারলেও যেন এহ তিনটি এতিম ছেলেমেযের যেন পৃথিবীর কোথায় ঠাহ হয়। যা আমি আজ আমার বন্ধুদের কাছে বিশেষ করে ক্রিস্টোফার মার্ক উহংগেট,নিউজিল্যান্ড, দুজয় সানতানি, হন্দোনেশিয়া, জাবেদ নাসির পাকিস্তানকে অনুরোধ করে গেলাম।

পৃথিবীতে যারাহ সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করেছে তারাহ পৃথিবীতে কম সময় টিকে থাকতে পেরেছে। যা হতিহাস বলে তাহত আমার শেষ অনুরোধ সকলের কাছে রহল। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১১ খ্রি:, রাত ৪-১৪ মি:।

Tuesday, December 13, 2011

'' দল নিরপেক্ষ নয়, কিন্ত বুদ্ধিজীবিরা হবেন সত্যের উপাসক'' ও বুদ্ধিজীবি দিবসের তাৎপর্য :

কৃষান কন্যা রাহিলা
আমি আমার দেখা ১৯৭১ হতে সর্বশেষ নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হতে ফিরে এসে উপসংহার টেনে দিযে লিখেছি-' মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১,মুক্তিযোদ্ধা ও কিছু কথা'' । সেখানে  একটি জায়গায় স্মৃতিচারন করেছি লেখিনা দিলু আপার কথা যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যাংকার স্মামীর সাথে খুলনায় অবস্থান করেছিলেন আর যুদ্ধের শুরুতে তিনি তার বড় মেয়েকে (ফ্লোরা) নিয়ে স্কুলে যেতেন আর রাস্তায় পাক বাহিনী দেখতেন।

অথচ আমি সেদিন কি করেছিলাম ? হয়ত ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম বড় আপার শশুর বাড়ীতে । যখন আমার স্কুলে যাবার কথা তখন বাড়ী থেকে পালিয়ে গেলাম। অথচ সরকারী চাকুরীজীবিরা সেদিন পাক বাহিনীর ভিতর অফিসে কাজ করতে পেরেছিলেন। আরও জেনেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ লন্ডনে সেদিন কুটনৈতিক মিশনে চাকুরীরত ছিলেন। তারপর যুদ্ধের শুরুতে সকলেই কাজ বন্দ করে দেশের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছিলেন তাইত তিনি মুক্তিযোদ্ধা।  কিন্ত তার সন্তানদের পালাতে হয়নি। এই হল চাকুরীজীবী ধনী শ্রেনী ও মধ্যবিত্ত কৃষক শ্রেণীর যুদ্ধকালীন সময়ের পার্থক্য।

তারপর দেখেছি-বাংলাদেশের অবস্থান ও  পরিবেশ অনুযায়ী সেদিন মুক্তিযোদ্ধা, নকলাশ ও রাজাকারের সৃষ্টি হয়েছিল আর তা কেবল যার যার অবস্থানে থেকে নিজেদের পাক বাহিনীর হাত হতে জীবন রক্ষার জন্য। আমি দেখেছি সেদিন আমার চার চাচা জামাত এবং তাদের জন্য রাজাকার ও মিলিটারী কোন ভয়ের ছিলনা। কিন্ত আমার আব্বা ও বড় ভাই আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকায় সেদিন আমাদের বাড়ীতে সব রকম হামলা হয়েছিল। আমাদের নয়টি মাস ভিষণ বিপদ ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছিল যা আজ বর্ননাতীত।

আমি কযেকদিন আগে কবির চৌধুরীর একটি লেখা বাংলাদেশের রাজাকার পরিবার পড়ে জেনেছি-১৯৭১ সনে বেগম সাজেদা চৌধুরী নাকী পাকিস্তান সার্পোটার ছিলেন ও তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন। যা আমার জানা নেই। তবে একথা সত্য ১৯৭১ সনে ঢাকা শহরে যে সব স্বনামধন্য কলম সৈনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি ছিলেন তারা সেদিন অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করেনি। তা[sb]রা সেদিন ঢাকা বসেই পাক বাহিনীর সামনে কাজ করেছিলেন্। তবে এটা বড় সত্য তারা পাক বাহিনীর সামনে থেকেই সাহসের সাথে ভিতরে ভিতরে দেশের জন্য কাজ করছিলেন অথবা আমার জানা নেই অথবা আজকের বুদ্ধিজীবিদের মত তারাও ছিলনা কিনা,[/sb]  তবে মনে পড়েছে-আমাদের নড়াইল কলেজের কেমিষ্ট্রির ইস্রাফিল স্যারের কাছে  গল্প শুনেছিলাম। স্যারের কাজ ছিল সারাদিন পাক বাহিনীর সামনে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে সরবরাহ করা। ঠিক সেদিন এমননি করেই সকলে যার যার মত করে দেশের জন্য কাজ করেছিলেন।

[sb]'' দল নিরপেক্ষ নয় কিন্ত বুদ্ধিজীবিরা হবেন সত্যের উপাসক'[/sb]' আমি জানিনা সেদিন এই বুদ্ধিজীবিরা কি করতেন। কি লিখতেন আর কেনই বা বিজয়ের শেষ মুহুত্যে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে পাক বাহিনীর ভিতর ঢাকায় বসে কাজ করেছিলেন যা পাকিস্তান বাহিনীর কাছে ছিল হয়ত বেঈমানীর শামিল, তাইত তাদের সেদিন হত্যা করা হয় বাসা থেকে ধরে নিয়ে। যা ছিল তাদের নিয়তী।

আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশের ভিতর যে তামাসা চলছে তার জন্য আজ আমার এ লেখা্ কারন জামাত ইসলাম ইসলামী পার্টি সাধারনত আল্লাহ কুরআনে বিশ্বাসী। তাদের দ্বারা অমানবতামুলক কাজ খুবই কম ঘটে যা আমার বিশ্বাস। [sb]ফেস ইজ হনডেক্স অব মাইন্ড[/sb]। তাদের দেখে আমার মনে হয়না তারা সেদিন লুন্ঠন, ধর্ষন ও জ্বালানো পোড়ানোর মত কাজে সংশ্লিষ্ট ছিল্ । হতে পারে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন আর সরকারকে সার্পোট করেছিলেন। তাই বলে এই নয় যে তারা নিজেরা এসব কাজে জড়িত হয়েছিলেন। তবে রাজাকারেরা যে লুটপাট করেছিল তা ঠিক। তারা কেবল হিন্দুদের বাড়ীতে আঘাত হেনেছিল আর তার বড় কারন তারা তখন পাক বাহিনীর সার্পোটেড দল আর পাক বাহিনীর বিদ্বেশ কেবল বাংলার হিন্দু শ্রেণীর উপর বেশি মাত্রায়। কারন সেদিন বাংলায় ভারতীয় হিন্দুরাই আওযামীলীগকে প্রেরণা দিযেছিল তাইত তাদের ভাষায় শেখ মুজিব ছিল বিশ্বাসঘাতক, কাফির , ভারতের দালাল।

তবে ১৪ আগষ্ট যারা ঢাকায় পাক বাহিনীর সামনে থেকে কাজ করেছিলেন তাদের স্বাধীনতার পরে (বিজয়ের পরে) কি নামে অভিহিত করা হত আমার জানা নেই। আজ মনে হয় তাদের মৃতুই  তাদের আজ বুদ্ধিজীবি খেতাবে ভুষিত করা হয়েছে। যা ছিল যথার্থপূর্ণ্। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১২ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:. রাত ৫-৩৬ মি:।



Sunday, December 11, 2011

''শেখ মুজিব ১৯৭১ সনে ভুল করেছিলেন, কিন্ত আমি ভুল করব না। ''

কৃষান কন্যা রাহিলা
তৎকালীন ব্রিট্শি শাসিত সমাজের মানুষেরা ছিল নিষ্পেষিত ও অসহায় পরাধীন একটি জাতি। তাদের ইথিক্সই ছিল আগ্রাসন, নিপীড়ন , শোষন, সাম্রাজ্যবাদ। তারা ধনী-গরীবের পার্থ্ক্য করে রে্খেছিল। নিজেরা সু্ট প্যান্ট পরলেও বাঙ্গালীরা পরত ধুতি পাঞ্চামী। যা দ্বারা সাহেব -গোলাম বুঝানো হত।

ঠিক ১৯৪৭ সনে পাক-ভারত বিভক্তির পরও মানুষের ভিতর সেই ব্রিট্রিশ রুলস চালু হয়। ফলে সমাজে ধনী শ্রেণীরা ধনী-গরীবের ব্যবধান সৃষ্টি করে। আর তার একটি বড় উদাহরন গোপালগঞ্জ, কাশিয়ানীর বিখ্যাত ব্যবসায়ী সফিউদ্দিন মিনার পরিবার। তৎকালীন সময়ে তাদের চেয়ারে কেহ বসতে পারেনি। আর তখন বাঙ্গালীদের হাতে অস্ত্র আসেনি। তারা ঢাল তালোয়ার দিয়ে লড়াই করেছেন। তাইত সফিউদ্দিন মিনার তৃতীয় নম্বর ছেলেটিকে এলাকার মানুষ ছোট আল্লাহ বলে ডাকতেন  তিনি যদি বলতেন কাউকে মারতে হবে তাই নাকী হয়ে যেত। যা ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই পাওয়া যাবে।

আজ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় ১৯৭১ এর আগে মানুষের ভিতর এত দ্বন্ধ, সংঘাত, হানাহানি ছিলনা। কেবল গ্রাম্য সমাজে ঢাল তালওয়ারের প্রচলন ছিল। আর যারা প্রকৃত শিক্ষিত তাদের হাতে কোন অস্ত্রই ছিলনা। তাদের হাতে ছিল কেবল কলম।

ক্ষমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকে কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়। Ego and Ego is the root of evills ( অহমিকাই সকল অপরাধের মুল)। তখন এই ক্ষমতার লোভ ছিল কেবল ভারত ও পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের মানুষের ভিতর। তাদের ইথিক্স ছিল-আগ্রাসন, সাম্রাজ্যবাদ, নিপীড়ন, অত্যাচার ও শোষন যা ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই সেদিন পুর্ব বাঙলার বাঙ্গালীদের উপর প্রযোগ করেছিল। আর একেই বলে ব্রিটিশ রুলস। ধনী-গরীবের ব্যবধান।

সেদিন সারা বাংলার দরিদ্র কৃষক সমাজ ছিল অসহায়। তারা রাজনীতি জানত না কেবল প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকত। আর শিক্ষিত সমাজের হাতে ছিল কলম তারা রাজনীতি জানতেন, বুঝতেন, আর সমস্যার সমাধান দিতে চেষ্টা করতেন। আর সেদিন সেই ব্রিটিশ রুলসের বিরুদ্ধে বাংলার সকল বুদ্ধিজীবি, শিল্পি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক চিকিৎসক সকল পেশার লোকই সোচ্চার হয়েছিলেন।

অবশেষে ১৯৭১ এর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এল আমাদের সেই স্বাধীনতা। কিন্ত কিভাবে ? শেখ মুজিব অমুসলিম ভারতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান হতে পুর্ব বাংলাকে দিখন্ডিত করলেন। সেদিন সম্ভবত: বাংলার ৯৯% মানুষই ছিল কৃষিজীবি।  তারা অশিক্ষিত ও অসহায় আর ভারত ও পাকিস্তান দ্বারা শোষিত একটি ভূ-খন্ড। তারপরও তারা ভাগ্যকে মেনে নিয়েছিল। একদিন তারা্ও স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দেলিত হয়েছিল হয়ত এই ভেবে যে আমরা আরও সুখে শান্তিতে আমাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারব। আমরা আরও ধনী হব্। যা ছিল তাদের বিশ্বাস ও অনুভূতি। তাইত স্বাধীনতার পর আমার ভাইযেরা যখন বাবার জমি  বিক্রি করতেন তখন তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে দেখেছি। মাটির সাথে ছিল তার হৃদয়ের বন্ধন। জীবন থাকতেও জমি নষ্ট করতে চায়নি।  অথচ আজ রাজনীতিবিদরা তার সব জমিই নষ্ট করেছে। এই হল বাংলা্র মধ্যবিত্ত কৃষকের চিত্র ।

কিন্ত ১৯৭১ এর পরে নুতন সরকার গঠনের পর কারা লাভবান হয়েছিল বেশি ? ইতিহাস কখনও মুঝে যায়না। সেদিন সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল বাংলার কৃষক সমাজের কিন্ত লাভবান হয়েছিল সেদিন কেবল রাজনীতিবিদদের। আর কৃষকের হাতে গড়া সকল শিক্ষিত সন্তানেরা শহীদ হয়েছিলেন কেবল সেই নোংরা রাজনীতির খেলায়।

আরও লাভবান হয়েছিল ভারত কারন বাংলায় সেদিন আল্লাহ ও কুরআনকে মানুষ ভুলে গিয়েছিল যা আজ সব দেখে মনে হয়। কারন পাকিস্তান সরকার পহ্নী জামাত ইসলামকে সেদিন সম্ভবত বিলুপ্ত করা হয়েছিল। যাই হোক আমি সঠিক জানিনা। আবার শোষন, নিপীড়ন, আগ্রাসন শুর হল। ধনী-গরীবের পার্থক্য সৃষ্টি হল। কৃষক সমাজ অসহায় ও দরিদ্র হয়ে পড়ল। তাদের আর পরিবর্তন হলনা। কেবল পরিবর্তন হল এতটুকু ১৯৭১ সনে রাজনীতিবিদরা তাদের হাতে যে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল তারা অনেকেই তাকে রাজনৈতিক খেলনা হিসেবে রেখে দিল। আর তাদের তখন ব্যবহার করা হল স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হিসেবে। আর বাকশাল, রক্ষীবাহিনীও ছিল। আর ঠিক তখনই বাংলার সে্ই কৃষকের সন্তানেরা স্বাধীন বাংলাদেশে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল আর অকালে জীবন দিতে হল হাজার কৃষকের সন্তানদের।

আবারও ১৯৭৫ !! সেই ক্ষমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকে কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়।'' ইতিহাসের পরির্বতন হল। কিন্ত কিভাবে ? হাজার স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা, সেনাকর্মকর্তাসহ মানুষের মৃতুর ভিতর দিয়ে জাতি এগিযে চলল তার নিজস্ব গতিতে। কিন্ত আমাদের কৃষক সমাজের কি পরিবর্তন এল ? আমরা স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে গেলাম। আমাদের কৃষক সমাজের বাবা মাযেরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে লাগলেন আর এখানে রাজনীতিবিদরা তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার শুরু করল্। তারপর দিনের পর দিন কেবল আমাদের মধ্যব্তি কৃষক সমাজের সন্তানেরা লেখাপড়া শিখতে এসে লাস হয়ে ঘরে ফিরে গেছে। আর আজও তার ধারাবাহিকা চলছে। প্রতি বছর আমাদের কতজন ছাত্রের মৃতু হচ্ছে তার তথ্য আমার জানা নেই। তবে তার পরিসংখ্যান দেখলে হয়ত জানা যাবে ৪০ বছর পরে ধরে কত ছাত্র/অসহায় মানুষ জীবন দিয়েছে, কত মানবতার মৃতু হয়েছে  এহ স্বাধীন বা্ংলায়  তার হিসাবে কে রাখে ?

আজ ভারত আমাদের দেশের উপর যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে মনে হয় নিজ দেশের শাসকগোষ্টির আগ্রাসন সহ্য করা গেলেও অন্যের আগ্রাসন মেনে নেওযা যায়না। ১৯৭১ সনে শেখ মুজিবের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আজ ভারত আমাদের পবিত্রভুমিতে পা রাখার সাহস পেয়েছে। তারা আমাদের পবিত্র জন্মভূমির উপর দিয়ে চলছে। তারা আজ চারিদিক দিয়ে আমাদের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে যাকে বলে শোষন, নিপীড়ন, আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ মন মানসিকতা। যা আজ আমাদের জাতির জন্য  সবচেয়ে বড় কষ্টদায়ক ও যন্ত্রনাদায়ক !!

আমরা জন্ম নিয়েছিলাম পাকিস্তানের পবিত্র মাটিতে কিন্ত তা আজ অপবিত্র হয়ে গেছে । কিন্ত কেন ?

সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্ত তা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। আমরা হয়ে গেলাম দ্বিধাবিভক্ত একটি জাতি। যারা সামগ্রিক বাংলার জনগনের কল্যান, সম্মৃদ্ধি আনতে পারে না। এই জাতি গোষ্টির বিভিক্তি রাজনীতির পালাবদলের খেলায় আজ আমাদের সপ্নের সেই সোনার বাংলা আজ ইমিটেশন হয়ে গেছে। আর আমাদের কৃষক সমাজই বেশি মাত্রায় আজ ক্ষতিগ্রস্ত ও অবহেলিত। দেখলে মনে হয়-নবাব চাকর হল আর চাকর নবাব হয়ে গেল। যা আমি আজ মেনে নিতে পারছিনা কারন আমি একটি ভাত টিপে বাংলার সকল কৃষকের অবস্থা বুঝতে পারি।

তারপর আজ যখন স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে দেখছি- বাংলায় স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষ শক্তি সৃষ্টি হয়ে দেশের ভিতর অস্থিতিশিলতা সৃষিট করছে। প্রতিনিয়ত দ্বন্ধ, সংঘাত, হিংস্বাত্বক কথাবার্তা বলে  দেশকে আরও সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা আমাদের কৃষক সমাজকে আরও ধ্বংষ করছে। কারন তারা প্রকৃতির সাথে লড়াই করেও তাদের সন্তানদের ঠিকমত মানুষ করতে পারছে না্ । নোংরা রাজনীতির কারনে তাদের জীবন ও জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট হল আমাদের সেই পবিত্র জন্মভূমি আজ খেলার মাঠে পরিনত হয়েছে যা আজ আমরা মেনে নিতে পারছিনা। সবসময় রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে-এই দেশটি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় অথবা কারো দয়ার দানও নয়্। এই বাংলাদেশটি আমাদের পবিত্রভূমি। এখানে আমরা সকলে জন্ম নিয়েছি আর বড় হযেছি। যার সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। প্রতিনিয়ত আমরা এই বাংলার আলো বাতাস, পানি, বায়ু গ্রহন করছি। তাইত তার প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য।

আজ ৪০ বছর পরে যখন সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশটিকে অঙ্গ জাতি হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে তখন আর এই মাটিতে নোংরা খেলা বন্দ করতে হবে। আর সকলকে আজ তাদের অতীতকে ভুলে গিয়ে  ক্ষমতার মোহে মদমত্ত না হয়ে সকলে মিলে আমাদের সেই সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়ো্গ করতে হবে হয়ত তখনই বাংলাদেশটি আবার সোনার বাংলায় পরিনত হবে।  একটি বাংলাদেশ। একটি জাতি। একটি বড় পরিবার। আর আমরা হলাম এই পরিবারের সদস্য।  (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১, রাত-১২-৩১ মি:।

Saturday, December 10, 2011

হে আমার স্বাধীনতা !!!!

কৃষান কন্যা রাহিলা
আজ কযেকদিন ধরে শরীরটা ভাল ছিলনা কারন তিন বছর ধরে রাত জেগে শরীরটা ভিষন ক্লান্ত। তাইত বার বার অসুস্থ হচ্ছিলাম। তারপর একজন মোজাহিদ কয়েকদিন ধরে আমাকে ফোন করছিল সে নাকী স্টুটেন্ড কিন্ত আমার স্বাধীনতা ও মুক্তি এনে দিবে বলে আমাকে ওয়াদা করেছিল৷ আমি ভিষণ খুশি হয়েছিলাম৷ তারপর আবার এক সময় ওয়াদা ভেঙ্গে ফেলেছিল৷ আমি তখন রেগে গিয়ে আমার ফেসবুকের ওয়ালে এড দিলাম যে আমার বন্য গাছটি আমি আমার সনত্মানদের জন্য বিক্রি করব৷ যদি কেহ ভাই, বন্ধু ও যে কোনভাবে কৃষান কন্যার পাশে থেকে কাজ করতে পারেন৷ কিন্ত কেহ আসেনি৷ তখন আমি আবার অসুস্থ্য হয়ে মোজাহিদকে ফোন করে অনুরোধ করলাম প্লিজ আমাকে বাচাঁও৷ আমি বাচঁতে চাই৷ সে এসেছিল কিন্ত অন্য বেশে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ তারপরও আমি নিয়েছিলাম কেবল আমার সন্তানদের মুক্তির জন্য৷ সে বলেছিল আমাকে সে অনেক অনেক ভালবাসে৷ তারপর একসময় সে অন্যবেসে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ করেছিল এমনকি আমার ছেলের সাথেও দীর্ঘ সময় নিয়ে কথা বলেছিল৷

আর এখন চারটি মিসকলের পর আমি কথা বলেছিলাম-সে আমাকে বলেছিল-আর ফেসবুক নয় খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে কিন্ত  কেমন করে আমি ঘুমিয়ে পড়ব ? সে আমার ছেলের মত বলছিল-যদি অফিসে না যান তবে কিভাবে চলবেন ? তাইত আমি তার ফোন কেটে দিয়েছি৷ কারন আমার গোপালগঞ্জের সন্তানরা আমাকে দাস বানাতে চায়৷ কিন্ত আমি কারো দাস নই৷ সারাজীবন আমি তাদের দাসত্ব করেছি আর নয়৷

আর এক বন্ধু বলেছিলেন-আপনি কিভাবে ব্যক্তিগত জীবন চালাবেন ? সরকারী বাসা ছাড়ার পরে কি করবেন? কিন্ত আমি তাকে কিছুই বলতে পারিনি৷ কেবল ভাবছি-এত বড় পৃথিবীতে কৃষান কন্যার জন্য এতটুকু জায়গা হবেনা? তাই যদি না হয় তবে গ্রামে বাবার কবরের পাশে চলে যাব৷ আমার বাবা ছিলেন অনেক ভূ-সম্পত্তির মালিক৷ সারাজীবন আমাদের খাবার খেয়ে গ্রামের অসহায় মানুষেরা বেচেঁ ছিল আর ১৯৭১ সনে তাঁর গোলার চাল গ্রামের গরীব দু:খীর মাঝে বিতরন করেছিলেন৷ অথচ আমি সারাজীবন এই ঢাকা শহরে কুকুর বিড়ালের মত মানুষ হয়েছিলাম৷ কৃষকের আমানত কেহই রক্ষা করতে পারেনি৷ আমি নিজে সারাজীবন নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে গিয়েছি৷ অবশেষে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একটি সুন্দর জীবনের সপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত আমার পরিবার, সমাজ ও প্রশাসন আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছিল তাইত সেদিন আমি বাবার কাচিঁ অর্থে আমার কলম তুলে নিয়েছিলাম সেই অন্যায়, অত্যাচার ও অমানবতার বিরুদ্ধে৷

একদিন কেবল দুইটি সন্তানের জন্য আর আজ সপ্ন দেখি আমার সারা বাংলার অসহায় সন্তানদের জন্য যারা ঠিক আমার মত অসহায় এই বাংলায়৷ আমি শান্ত হবনা৷ এদেশ আমার পবিত্র জন্মভূমি৷ আমি এখানে জন্ম নিয়েছি ও বেড়ে উঠেছিলাম৷ এদেশ আমার রক্তের বন্ধন৷ প্রতিনিয়ত আমি এই বাংলার আলো-বাতাস, পানি গ্রহন করছি ৷ তাইত তার উপর আমাদের অনেক দায়িত্ব৷ আমি তখনই শান্ত হব যখন আমি আর এই পৃথিবীতে থাকবনা৷ --কৃষান কন্যা রাহিলা, ১১ ডিসেম্বর,২০১১, রাত ১১-১৪ মি:৷

Thursday, December 1, 2011

‘কৃষান কন্যার জীবনের শেষ ভাবনা (১৯৬৫-২০১১)’

কৃষান কন্যা রাহিলা
জন্ম ১৯৬৫ সনে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের জালালসী গ্রামে৷ পিতা মরহুম ইউসুফ মোল্যা৷ দাদা : মরহুম আছিরউদ্দিন মোল্যা, দুই মাস বয়সে পিতৃহীন আব্বাকে মানুষ করেছেন ব্যক্ষণ সুরেস চন্দ্র মুখার্জী৷ মাতা মালেকা বেগম৷ পিতা: লাল মোহাম্মদ মোল্যা। ছোট ভাই-আবুল খায়ের,নড়াইল৷ (বাংলার মামা )৷

পাচঁ ভাই ও পাচঁ বোন৷
স্মামী মরহুম সাখাওয়াত হোসেন৷ পিতা : মরহুম আব্দুস সাত্তার মিনা, গ্রাম : চাপ্তা, কাশিয়ানী গোপালগঞ্জ৷
সন্তান দুই ছেলে : সোয়ান আহমেদ ও রাফসান আহমেদ, মেয়ে-নিগার সুলতানা টুম্পা৷

১৯৭৫ সনে নলদী প্রাইমারী স্কুলের প্রথম স্কলারসীপ পাওয়া ছাত্রী৷
১৯৭৫ সনে বড় ভাইয়ের মৃতুর পর ১৯৭৬ সনে নড়াইল আসা ও শিব শংকর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি (প্রধান শিক্ষক আ: হামিদ)৷ স: প্রধান শিক্ষিকা : আনিছা আপা (নড়াইল কলেজের রউফ স্যারের স্ত্রী)৷ ১৯৭৬ সনে ক্লাসে প্রথম হয়ে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত৷

১৯৭৬-৭৭ বর্তমানে সুইডেনের আওয়ামীলীগ নেতা কবির জাহাংগীর দ্বারা বিতকির্ত হয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া ও সেখান থেকে ১৯৮০ সনে এসএসসি পাস৷ অথচ জাহাংগীরকে কাছ থেকে দেখিনি কোনদিন৷
১৯৮০ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে ভর্তি৷ তারপর নড়াইলে থেকে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি ও ১৯৮৩ সনে কেসি কলেজ হতে এইচএসসি পাস৷

১৯৯৩ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএসসিতে ভর্তি৷
আগষ্ট/১৯৮৪ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের সফিউদ্দিন মিনার মেজে ছেলে মরহুম ছাত্তার মিনার সেজে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ঝন্টুর সাথে বিবাহ৷

১৯৮৫ সনে মেজে ভাই নুর আহমেদ এর নড়াইল, ভ-খালীর বাসায় বড় ছেলে সোয়ান আহমেদ এর জন্ম৷

১৯৮৬ সনে স্থায়ীভাবে স্বামী, সন্তানসহ উত্তর যাত্রাবাড়ী,ঢাকায় বসবাস৷

১৯৯০ সনে যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় খালেকুজ্জামান হাইস্কুলে(পরবর্তীতে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন) সহকারী শিৰিকা হিসেবে যোগদান৷
১৯৯১ ডিসেম্বরে সম্ভবত: ফার্মগেট খামারবাড়ীর (মরহুম আ:কা:মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী সাহেবের অধীনে) ড: বেলাল সিদ্দিকীর তত্বাবধানে ফলবিথি হর্টিকালচার সেন্টারে শিৰিত খামার শ্রমিক হিসেবে (ডেলি বেসিসে) যোগদান৷

জুলাই /১৯৯৪ সনে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্টেনো-টাইপিস্ট হিসেবে যোগদান৷ ১৯৯৫ হতে ২০০৪ পর্যনত্ম বাজেট ছাড়াও প্রশাসনের অনেক কাজই করতে হয়েছিল৷ উপ-সচিব মঞ্জুরুল আলম থেকে শুরু করে উপ-সচিব ধিরাজ মালাকার,মাহবুব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকেরই কাজ করতে হয়েছিল৷

এপ্রিল/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ের গুরম্নত্বপূর্ণ বাজেট শাখায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম৷ তারপর দ্রুত উক্ত মাসেই ভারতের ভেলর, সিএমসি হতে ব্রেন অপারেশন৷ তিনমাস পরে পুনরায় নাক দিয়ে ফ্লুইড নি:সরণ ও জুলাই/০৪ দ্বিতীয়বার ভারত গমন ও পুনরায় অপারেশন৷ সেপ্টেম্বর/২৪ হঠাত্ হার্ট এটাকে সাখাওয়াতের মৃতু৷
সম্ভবত: নভেম্বর/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পুনরায় যোগদান৷ আর সেদিন তারা ব্রেন টিউমার জেনেও ময়লা, নোংরা ডিসপাস শাখায় পোস্টিং৷ যেখান থেকে আমি কয়েকজনকে মারা যেতে দেখেছি৷

সেখান থেকে ২০০৬ সম্ভবত: যুগ্ম-সচিব (সম্প্রসারণ) নকিব মুসলিম স্যারের সাথে পদায়ন৷

কয়েক মাস পর উপ-সচিব (নিরীৰা) দপ্তরে বদলী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি৷ সেখানে ছিলেন যথাক্রমে-তত্কাণলীন উপ-সচিব আর বর্তমানের যুগ্ম-সচিব-ফারুক হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাহাদত্ হোসেন (অবসর), রোকসানা ফেরদৌসী, ইকবাল হোসেন ও সর্বশেষ উপ-সচিব মোফাজ্জল হোসেন৷

২০০৪ সনে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম হলে আমি বিছানায় শুয়ে দেখেছি মানুষের অবহেলা ও অনাদার৷ সাখাওয়াতের মৃতুর পর আরও কঠিন বাসত্মবতার সম্মুখীন আর সেদিন আপনজনদের নিষ্টুর আচরন লক্ষ করেছি তারপর ২০০৮ সনে বড় আকারে কষ্ট পেয়ে লেখালেখি শুরু কেবল কষ্টটাকে সেয়ার করার জন্য৷ ভেবেছিলাম হয়ত সরকার পরিবর্তনের পর আমি অনেক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে আমার সন্তানদের নিয়ে টিকে থাকতে পারব৷ কারন গোপালগঞ্জের সরকা্র৷

কিনত্ম ২০০৯ সরকার গঠনের পর আরও বেশিমাত্রায় চাপের মুখে পড়লাম৷ তখন বাচাঁর আর কোন উপায় পেলাম না কারন ছয়তলা হতে লাফ দেয়া ছাড়া কোন পথ ছিলনা আমার সামনে৷ তাই আমি সেদিন প্রশাসনের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা শুরু করলাম ও মুক্তির পথ খুজছিলাম৷

একসময় আমাদের সময় পত্রিকায় দেখলাম সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানের কিছু লেখা-'গণতন্ত্রকে টিকিযে রাখার জন্য চাই সকলের প্রচেষ্টা''৷ সেখানে তিনি লিখেছেন- সত্যরে ভালবাসিলাম সে মোরে করেনা বঞ্চনা, আবার কখনও The News is sacred but views are personal, আবার কখনও সুনিতা পাল ও রামগোপানল ইত্যাদি নিয়ে৷ আমার ভিষণ ভাল লেগেছিল তখন আমি তার সাথে লেখালেখি শুরু করলাম৷ তিনি আমার লেখায়  ভিষণ মুগ্ধ হলেন-আর আমার রিয়েল নেম, ব্রাকগ্রাউন্ড ও আইডেনটিটি জানতে চাইলেন৷ আমি নিজে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিয়েছিলাম৷ আমি তাকে অরজিনাল নাম বলতে পারিনি কারন তা জানলে তিনি আমার সাথে কথা বলবেন না্৷ আর তখনই আমি লিখতে শুরু করলাম আমি কে এবং কোথা থেকে এসেছি ? আর তখন তা লিখতে গিয়ে দেখলাম ততৰনে আমি অনেক সঙ্গায় সঙ্গায়িত হয়ে গেছি৷ কখনও অসাধারন মেয়ে, কখনও মানসী, কখনও বিদ্রোহী নারী, কখনও অসাধারন বাঙ্গালী ৷ সবশেষে আমি দেখলাম আমি অনেক দিন আগে নড়াইলের জালালসী গ্রামে এক কৃষক পরিবারে কাদা মাটিতে জন্ম নিয়েছিলাম, তাই নিজেকে কৃষান কন্যা ভাবতেই বেশি পছন্দ ৷ সেই থেকে হয়ে গেলাম কৃষান কন্যা আর ওয়ালিউর রহমান সারের কাছে আমার জীবনকাহিনী লিখে দিলাম৷ বিলিয়াতে সেদিন তিনি আমাকে বলেছিলেন-' আপনি খুবই ভাল লিখেন, বই লিখুন যা চিরদিন থাকবে৷'' আমি সেদিন চলে এলাম তারপর তিনি আমার সাথে আর কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন না কারন আমার জানা৷ আর আমাদের সময় ও প্রথম আলোকে অনুরোধ করলাম ইমেলে কিনত্ম কেহ আমাকে সাহায্য করলনা্৷ তাই সেদিন ওযেবসাইটে ফেসবুক ওপেন করলাম৷

 তারপর শুরু হল আমার লেখালেখি-আমি প্রতিনিয়ত আমার 'কৃষান ভাবনা' লিখতে শুরু করলাম৷ এক সময় পাকিস্তানের ইনলাভ হিউমানিটি মিশনের প্রেসিডেন্ট আগা তারেক এইচ খান আমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে আমাকে তাদের অগ্রানাইজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ করলেন কিন্ত আমি আমাদের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তাদের সাথে কাজ করতে পারিনি তাইত তারা আমাকে একসময রিমুভ করলেন৷ তারপর আমি আমাদের পতাকার উপর কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম৷ যখন আমি আমার মিশনটি নিয়ে বড়ই কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ক্রিস্টোফার মার্ক উইংগেট,নিউজিল্যান্ড আমাকে অনেক উপদেশ দিলেন যা আমাকে ভিষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল৷ তারপর আমার লেখা সম্ভবত: ৫৭ পর্ব চলার পরে অফিস থেকে বাধার সম্মুখিন হলাম তখন অন্য পথ আবিস্কার করলাম আর সেটা হল ব্লগ-আর তা সবই ছিল ইংরেজীতে৷

তারপর তারিখটা এখন মনে করতে পারছি না হেরস নেভার ডাই গ্রুপের ফাউন্ডার মানব সায়ানা আমাকে তাদের হিরো হিসেবে চিহ্নিত করলেন৷ যা আমার দু:খের দিনে সুখের সামগ্রীর মধ্যে একটি৷

ঠিক তখন আমার অফিস আমাকে সহযোগিতা না করে অবহেলা করতে শুরু করল আর এমন একটি দিন এল সেদিন তারা আমাকে পাগল বানিয়ে বাসায় পাঠাবার ব্যবস্থা করছিল কিন্ত আমি সব বুঝতে পেরেই দ্রুত আমার ফেসবুকের মাধ্যমে আমার বিজয় ঘোষনা করে তাদের চ্যালেঞ্চ করে বেরিয়ে এলাম৷ আর আমার বিজয়ের সকল ডকুমেন্টস-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হক, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা স্বাস্থ্য, আইনমন্ত্রী, সচিব আবদুল আজিজ, মন্ত্রিপরিষদ, সংস্থাপন, সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, কৃষি মন্ত্রনালয় ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ৷ আমার লেখা প্রকাশের কথা থাকলেও তারা তা প্রকাশ করেনি৷

তারপর স্টোরী অব আওয়ামীলীগ গ্রুপে শেখ মুজিবকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পক্ষ হতে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ এর জরুরী নিদের্শ পেয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করে যা সারা পৃথিবীর সামনে আমার ইমেজকে নষ্ট করে দেয়৷ কারন আমি ১৬ ডিসেম্বর/২০১০ সোওরাওর্য়াদী উদ্যান হতে বাংলার গরীব, দু:খী ও অসহায় মানুষের মুক্তির শপথ নিয়েছিলাম৷ সাপোজ-একটি শিশুকে যদি বলা হয়-এটা করোন, সেটা করোনা৷ দেখা যাবে শিশুটি সেটাই বেশি করবে৷ যাহ হোক শাস্তি দিয়ে কলম বন্দ করা যায়না বরং সাহস যোগানো৷

যখন আমি ভিষণভাবে বদ্ধ ঘরে বসে  কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তেমনি সময়ে বাংলাদেশ সরকার একটির পর একটি সংশোধনী পরিবর্তনই কেবল করছিলনা ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালু করে দেশকে তাদের তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিনত করছে দিনের পর দিন যা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না৷ আমার দুইবার ব্রেন অপারেশ হয়েছে৷যা ভিষনভাবে আমার ৰতির কারন হচ্ছিল৷ তাই আমার সব লেখা শেষ করার পর আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে ১৯৭১ সনে শেখ মুজিব রাজনৈতিক চালে ভুল করেছিলেন৷ ১৯৭১ সনে ২৫ মার্চের জেনোসাইড অথবা ৯ মাসের এত ধ্বংষ বা রক্তপাত ছাড়াই আমরা স্বাধীন হতে পারতাম৷ কারন এই স্বাধীনতার সপ্ন পাক-ভারত বিভক্তির পর হতেই বাঙ্গাল জনগণ দেখা শুরম্ন করেছিল৷ আর সেদিন মাওলানা ভাসানী,একেএম ফজলুল হক, অন্যান্য রাজনীতিবিদরা ছাড়াও দেশের সকল শিল্পি, কবি, সাহিত্যিক, বাউল, লেখক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক , ছাত্ররা তাদের মত প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেছিল৷এটাই বাস্তব৷

তবে সকল দেশেই স্বাধীনতার জন্য সকলের মতামত নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে একজন নেতা মনোনিত হয়৷ আর সেদিন মাওলানার হাতে গড়া আওয়ামীলীগের নেতা হলেন শেখ মুজিব৷ তার নেতৃত্বে জনগণ স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দেলিত হয়ে উঠেছিল৷ রাজনীতিবিদ দেশে থাকে অনেক তবে নেতা খুবই কম৷ মাওলানা ভাসানীর মানুষের রাজনীতি করতেন৷ তিনি ছিলেন দুর্বল স্বভাবের্ তাই তিনি পাকিস্তানী শাসকদের সাথে কথা বলার মত সাহস সঞ্চয় করতে পারেননি যা আমার বিশ্বাস৷ তাইত সাহসী মুজিব জনতার সামনে চলে এলেন ৷ তারপর সাত দফা, ছয় দফা কত দফা জেল জুলুম হবার পর এল ১৯৭১৷ এবার আপনারা রাজার চোখ থেকে কাজল রেখার কাটা তুলার গল্পটি ভাবুন৷ যখন ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর সাথে সম্ভবত: দাবী দাওয়া নিয়ে সভা হয়েছিল আর সেই সভায় তারা সমঝোতায় আসতে পারেননি৷ কারন জানা নেই৷ তবে ভুট্টোর চিন্তা থেকে বুঝেছি-তিনি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বসে ২৫ মার্চের রাতে জেনোসাইড শুরু হলে কেবলই হা হুতাস করছিলেন ও ভাবছিলেন- এই রক্তপাত ছাড়াত সমঝোতা হতে পারত ! সভায়ত এরকম কোন কথা ছিলনা৷ তিনি ভিষন কষ্ট পাচ্ছিলেন ঢাকার অবস্থা অনুধাবন করে৷ কিন্ত কাজ করছিল গর্ভনর টিক্কা খান যাকে ইয়াহিয়া খান নির্দেশ দিয়ে পাকিসত্মানে চলে যায়৷ 'মার বাঙ্গালী মেরে শেষ করে দাও৷' আর টিক্কা খানের মুলনীতি ছিল- 'আমাদের মাটি চাই, মানুষ চাইনা'' কারন মাটিটা তখনও পাকিসত্মান অধুষিত৷ আর ভয়াবহ যুদ্ধের মুল নায়ক কারা ছিল ? এটাই হল সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসন আর শোষন নীতি যা করে কেবল রাজনীতিবিদরা৷ তবে রাজনীতি দু রকম-মানুষের জন্য রাজনীতি আর সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনমুলক রাজনীতি৷

এখন আমার কথা হল-আমরা সেদিন পাকিসত্মান ভারতের দ্বারা শোষিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত, অসহায় একটি বাঙ্গালী জাতি৷ যারা ছিল ঠিক আদিবাসীর মত৷ আমাদের মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বাংলার উর্বর মাটিতে ধান,পাট, ফসল ফলিয়ে শোষকদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের সনত্মানদের লেখাপড়া শিখাতেন কেবল তাদের কষ্ট লাঘব হবে তারা একদিন এদেশ স্বাধীন করবে৷ কিনত্ম শিৰিত সমাজ অশিৰিত সমাজের মত বেশিমাত্রায় লাঠি পেটা করতে পারেনা৷ কিনত্ম তারা জ্ঞানী তাদের জ্ঞান চিনত্মা চেতনা দিয়ে দেশকে সম্মৃদ্ধি করতে পারে মাত্র৷

কিন্ত শেখ মুজিব কি চিন্তা করেছিলেন পাইপ টানার আড়ালে যে-ফরিদপুর সবচেয়ে দেশের নীচু এলাকা আর সে অঞ্চলে বেশি গরীব, দু:খী অশিক্ষিত মানুষ থাকলেও সেদিন সারা ঢাকা শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের শিৰিত সন্তানেরা অবস্থান করছিলেন যারা দেশের উচু এলাকার সন্তান ও আভিজাত্য পরিবারের এবং তারাই এ দেশের প্রকৃত সম্পদ ছিল সেদিন তাদের কি অবস্থা হতে পারে ? তারা শিক্ষিত পরিবারের, তারা আমার কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের লাঠিয়াল অথবা নড়াইল সর্দারবাড়ীর লাঠিয়াল নয়৷ তারা ছিল শিৰিত বাবা মায়ের সন্তান৷ তারা লাঠি ধরতে জানেনা৷ তারা তাদের জ্ঞান দ্বারা দু:খকে জয় করতে পারে, দেশের সম্মৃদ্ধি আনতে পারে, দেশের কল্যান আনতে পারে৷ অথচ শেখ মুজিব সেদিন আজকের মত এই নোংরা রাজনীতির খেলা খেলে ২৫ মার্চের রাতে সেই সকল শিৰিত সমাজকে ধ্বংষ করে দেয়৷ আর সেদিন লাঠি ধরল অথবা মাজায় গামছা বেধে দলবেধে ভারতে ছুটেছিল কারা ? বাংলার সকল গরীব, দু:খী, চাষীর ছেলেরা যারা সেদিন কেবল তাদের আপনজনদের ও দেশ রৰার জন্য ছুটে গিয়েছিল ভারতে আর যুদ্ধ করেছিল পাক বাহিনীর সাথে৷

কিন্ত সত্যিকার শিক্ষিত বা নবাব শ্রেণীর মানুষ তা করেনি যা আমি জীবন থেকে দেখেছি৷ আমাদের গ্রামটির সামনে নবগজ্ঞা নদী থাকায় পাক বাহিনী সহজে প্রবেশ করতে পারত না৷ ১৯৭১ সনে যখন যুদ্ধ শুরু হল তখন আমাদের এলাকায় নকশালের সৃষ্টি হল৷ তাদের কাজ হল দা হাতে করে ত্রাস সৃষ্টি করা আর দল বেধে আমাদের তিন বাড়ী ভাত খেত পালাক্রমে৷ আর তারা হল দরিদ্র শ্রেণীর৷ আমার বড় ভাই তখন কলেজের নেতা যারা ছিলেন তখন ১৯৫২ অথবা ১৯৭১ এর চেতনায় বিশ্বাসী টগবগে যুবক যাকে দুইজন মাস্টার সাথে দিয়ে মানুষ করেছিলেন হাতে গড়ে ৷ আর আমাদের খাবার খেয়ে বেচেঁ থাকত প্রায় গ্রামের অনেক লোক৷ সেই নকশালদের সাথে কেন তিনি থাকবেন ? তারপরও তারা তাকে রেহাই দিচ্ছিলনা তখন আব্বা তাকে চরবালিদিয়ার দুজন লোক সাথে দিয়ে ভারতে পাঠালেন দাদা সুরেস চন্দ্র মুর্খাজীর কলকাতা ২৭ নং স্ট্রিটের বাসায়৷ আজ মনে হয় 'সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী কওে মানুষ করনি৷' আজ মনে হচ্ছে আমার আব্বা চোখের জলে সিক্ত হয়ে শেখ মুজিবের পাগলীর জন্য তার জীবন বাচাঁবার জন্য কেবল ভারতে পাঠিয়েছিলেন৷ ট্রেনিং এর জন্য নয়৷ আমরা দশ ভাইবোন এমনভাবে মানুষ হয়েছিলাম যে ৰুধার যন্ত্রনা কাকে বলে আমরা কোনদিন জানিনা৷ আর ভাইত স্পেশাল৷ কলিকাতা দাদার পরিবার সব সময় গাড়ীতে বাজার করত৷ ভাই দাদার পরিবারের সাথে কিছুদিন থাকার পর বাড়ীর জন্য তার মন খারাপ হয়ে গেল৷ মাকে নাকী বলেছিল ওদের খাবার খেয়ে আমার ভাল লাগেনি৷ তারপর সে বাড়ী ছেড়ে চলে গেল আর যোগ দিল তার কলেজের সহপাঠিদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে৷ কিনত্ম আব্বা মা সারাৰণ টেনশনে ও কান্নাকাটি করতেন৷ আর আমাদেরও সেদিন বড় বোনের সাথে তার শশুরালয়ে তিনমাস থাকতে হয়েছিল বাড়ী ছাড়া৷ আব্বা মায়ের কি যে কষ্ট !

আমার বাবা লেখাপড়া জানতেন না, বাস্তব জ্ঞান থেকে মহা জ্ঞানী ছিলেন৷ আর সেদিন তিনি তার জমিতে কাজ করার জন্য যত লেবার ক্রয় করতেন তার সব লেবারই ছিল সেদিন গোপালগঞ্জের৷ আর সেই গোপালগঞ্জের নবাব শেখ মুজিবের নির্দেশে নুরম্নল ইসলাম মাজায় গামঝা বাধবেন সে রকম ছেলে সে ছিলনা৷ আমরা কারো নির্দেশ ফলো করিনা, নির্দেশ দিতে পছন্দ করি৷কেবল শেখ মুজিবের পাগলামীর জন্য সেদিন ১৯৭১ সংঘটিত হয়েছিল আর আমাদের উপর যত ঝড় বয়ে গিয়েছিল আর তা প্রটেকশন দেবার ৰমতা ইউসুফ মোল্যার ছিল৷ তাইত সেদিন তার সন্তানদের নখের আচড় দেবার ক্ষমতা কারো ছিলনা৷ অথচ শেখ মুজিব ভারতের সাথে আতাত করে দেশকে বিভক্ত করে সকল শিক্ষিত সমাজকে হত্যা করে যেদিন ক্ষমতার মসনদে আরোহন করেছিল সেদিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী যাদের হাতে শেখ মুজিব অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল তারা আমার বীর সাহসী ভাইকে রাতের আধারে পিছন দিক হতে গুলি করেছিল৷ তার কাছেও কাটা রাইফেল ছিল৷ কিন্ত কেন ? ১৯৭১ সনের আগেত তার কাছে কোন অস্ত্র ছিলনা৷ তাইত রাত এগারটায় পর পর গুলির শব্দে আমার আব্বা দরজা খুলেই কেদেঁ বললেন- 'আজ আমার সব শেষ হয়ে গেল৷' নুরুল ইসলামের বুলেটবিদ্ধ বেনয়েটে খচিত ভিত্স দেহ পড়ে আছে তার পূর্ব পাশের নিজ ঘরের বারান্দায় !এই হল সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত বীর সাহসী নেতা৷ এরকম হাজার সাহসী কৃষকের সনত্মান ২৫ মার্চের জেনোসাইডে নিরব, নিথর হয়ে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়৷ কিন্ত আমিত দেখিনি তাদের ভিত্স্যে দেহ ! কেবল অনুভবে৷

আরে শেখ মুজিব, তুমি ছিলে আমাদের চাকর৷ আর তুমি তোমার নোংরা রাজনীতি করে আমাদের বাংলার সকল শিক্ষিত সমাজটাকে হত্যা করেছিলে যারা কোনদিন ক্ষুধার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারেনি, যারা ভাত-কাপড়ের অভাব, লেখাপড়ার অভাব দেখেনি নবাবের মত বেড়ে উঠেছিলে তুমি তাদের হাতে তুলে দিলে ভারতীয় অস্ত্র আর ধ্বংষ করেছিলে সব যুব সমাজটাকে৷ আর সেই নবাবদের রক্ত পাড়িয়ে চাকর মসনদে বসেছিল৷ তাইত মানুষ সহ্য করলেও আল্লাহ তা সহ্য করেনি ৷ তাইত সেদিন সপরিবারে তোমাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল৷ চাকর কখনও নবাব হতে পারে না৷ আর তোমার সেই কন্যা আজ নবাবজাদী সেজে গণ ভবনে বসে বাংলার সমগ্র জনগনের ভাগ্য নিয়ে তামাসা করছে যা আল্লাহ সহ্য করবে না কোনদিন৷

আমরা মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ মাটি থেকে খাবার বের করে খেয়েছি,ৰুদার যন্ত্রনা কখনও দেখিনি আর সেদিন তোমরা ছিলে ক্ষুর্ধাত তাইত আমাদের জমি চাষ করে তাই দিয়ে খাবার কিনতে আমাদের কাছ থেকে৷ আর আজ আমাদের সেই খাবার তোমরা কেড়ে নিয়েছ আর আজ আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছি একটু খাবারের আশায়৷

তাইত আজ আমি তোমাকে কেটেছি শেখ মুজিব আমি তোমার লাস খাব, রক্ত পাব তারপরও আমার ক্ষুধা মিটবে না ৷ কারন আমি জীবনে ক্ষুদার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারিনি ৷ আজ বড়ই ক্ষুধার্ত৷ (সমাপ্ত) -কৃষান কন্যা রাহিলা, ১ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি: