Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Saturday, December 10, 2011

হে আমার স্বাধীনতা !!!!

কৃষান কন্যা রাহিলা
আজ কযেকদিন ধরে শরীরটা ভাল ছিলনা কারন তিন বছর ধরে রাত জেগে শরীরটা ভিষন ক্লান্ত। তাইত বার বার অসুস্থ হচ্ছিলাম। তারপর একজন মোজাহিদ কয়েকদিন ধরে আমাকে ফোন করছিল সে নাকী স্টুটেন্ড কিন্ত আমার স্বাধীনতা ও মুক্তি এনে দিবে বলে আমাকে ওয়াদা করেছিল৷ আমি ভিষণ খুশি হয়েছিলাম৷ তারপর আবার এক সময় ওয়াদা ভেঙ্গে ফেলেছিল৷ আমি তখন রেগে গিয়ে আমার ফেসবুকের ওয়ালে এড দিলাম যে আমার বন্য গাছটি আমি আমার সনত্মানদের জন্য বিক্রি করব৷ যদি কেহ ভাই, বন্ধু ও যে কোনভাবে কৃষান কন্যার পাশে থেকে কাজ করতে পারেন৷ কিন্ত কেহ আসেনি৷ তখন আমি আবার অসুস্থ্য হয়ে মোজাহিদকে ফোন করে অনুরোধ করলাম প্লিজ আমাকে বাচাঁও৷ আমি বাচঁতে চাই৷ সে এসেছিল কিন্ত অন্য বেশে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ তারপরও আমি নিয়েছিলাম কেবল আমার সন্তানদের মুক্তির জন্য৷ সে বলেছিল আমাকে সে অনেক অনেক ভালবাসে৷ তারপর একসময় সে অন্যবেসে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ করেছিল এমনকি আমার ছেলের সাথেও দীর্ঘ সময় নিয়ে কথা বলেছিল৷

আর এখন চারটি মিসকলের পর আমি কথা বলেছিলাম-সে আমাকে বলেছিল-আর ফেসবুক নয় খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে কিন্ত  কেমন করে আমি ঘুমিয়ে পড়ব ? সে আমার ছেলের মত বলছিল-যদি অফিসে না যান তবে কিভাবে চলবেন ? তাইত আমি তার ফোন কেটে দিয়েছি৷ কারন আমার গোপালগঞ্জের সন্তানরা আমাকে দাস বানাতে চায়৷ কিন্ত আমি কারো দাস নই৷ সারাজীবন আমি তাদের দাসত্ব করেছি আর নয়৷

আর এক বন্ধু বলেছিলেন-আপনি কিভাবে ব্যক্তিগত জীবন চালাবেন ? সরকারী বাসা ছাড়ার পরে কি করবেন? কিন্ত আমি তাকে কিছুই বলতে পারিনি৷ কেবল ভাবছি-এত বড় পৃথিবীতে কৃষান কন্যার জন্য এতটুকু জায়গা হবেনা? তাই যদি না হয় তবে গ্রামে বাবার কবরের পাশে চলে যাব৷ আমার বাবা ছিলেন অনেক ভূ-সম্পত্তির মালিক৷ সারাজীবন আমাদের খাবার খেয়ে গ্রামের অসহায় মানুষেরা বেচেঁ ছিল আর ১৯৭১ সনে তাঁর গোলার চাল গ্রামের গরীব দু:খীর মাঝে বিতরন করেছিলেন৷ অথচ আমি সারাজীবন এই ঢাকা শহরে কুকুর বিড়ালের মত মানুষ হয়েছিলাম৷ কৃষকের আমানত কেহই রক্ষা করতে পারেনি৷ আমি নিজে সারাজীবন নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে গিয়েছি৷ অবশেষে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একটি সুন্দর জীবনের সপ্ন দেখেছিলাম কিন্ত আমার পরিবার, সমাজ ও প্রশাসন আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছিল তাইত সেদিন আমি বাবার কাচিঁ অর্থে আমার কলম তুলে নিয়েছিলাম সেই অন্যায়, অত্যাচার ও অমানবতার বিরুদ্ধে৷

একদিন কেবল দুইটি সন্তানের জন্য আর আজ সপ্ন দেখি আমার সারা বাংলার অসহায় সন্তানদের জন্য যারা ঠিক আমার মত অসহায় এই বাংলায়৷ আমি শান্ত হবনা৷ এদেশ আমার পবিত্র জন্মভূমি৷ আমি এখানে জন্ম নিয়েছি ও বেড়ে উঠেছিলাম৷ এদেশ আমার রক্তের বন্ধন৷ প্রতিনিয়ত আমি এই বাংলার আলো-বাতাস, পানি গ্রহন করছি ৷ তাইত তার উপর আমাদের অনেক দায়িত্ব৷ আমি তখনই শান্ত হব যখন আমি আর এই পৃথিবীতে থাকবনা৷ --কৃষান কন্যা রাহিলা, ১১ ডিসেম্বর,২০১১, রাত ১১-১৪ মি:৷

No comments:

Post a Comment