Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Welcome to the Queen Krishan Konna of Bangladesh.

Saturday, November 12, 2011

জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমাদের করনীয় (Climate change and how to reduce it)'

UNFCCC (United Nations Framework convention on climate change) এর ধারা অনুযায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন বলতে বিশ্বব্যাপি বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনকে নষ্ট করে দেয় এমন সব পরিবর্তনকে বুঝায় যা মানুষের ক্রিয়াকলাপের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

বিগত ২০০ বছর ধরে শিল্প উন্নয়নের ফলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গত হচেছ। যার জন্য উন্নত বিশ্বই অধিকাংশই দায়ী। বর্তমানে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইড ও মিথেনের পরিমান সবচেয়ে বেশি আর এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য এই কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনই ৯০% দায়ী। বিগত কয়েক দশক ধরে পরিবর্তন হচ্ছে এই জলবায়ূ্। পানি, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি, মৎস্য, চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিবেশ সবই আজ এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হুমকির সম্মুখীন। কেবল তাহাই নয় নষ্ট হচ্ছে সকল জৈব বৈচিত্র।

আজ আমরা পৃথিবী নামক একটি গ্রহে সকলে বাস করছি একটি পরিবারের মত। সকলেই আমরা ভাই বোন। আমরা সকলেই এই পৃথিবীর আলো-বাতাস, খাবার, পানি, বায়ু গ্রহন করছি, একই আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছি আবার মৃতুর পর একই কবরে শায়িত হচ্ছি। এটাই পৃথিবীর মুলকথা।

ঠিক এই একটি তত্বের উপর আমাদের আজ ভাবতে হবে আমাদের পৃথিবীকে কিভাবে আমরা রক্ষা করব এই জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে। যার উপর আজ নির্ভর করছে আমাদের সামগ্রিক মানুষের জীবন।

পৃথিবী নামক গ্রহটির ভিতর আমরা আলাদা আলাদা দেশ হিসেবে বাস করছি যা আমাদের তৈরী, প্রকৃতির নয়। কোন ওয়াল/বেরিকেট নেই যে যার যার কার্যকলা তার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে ঠিক আজকের তথ্য প্রযুক্তি মত। পৃথিবীর অমোঘ নিয়মে এখানে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ রয়েছে।  আছে উন্নত বিশ্ব, আছে তৃতীয় বিশ্ব। আর উন্নত বিশ্বেই শিল্প উন্নয়ন বেশি ঘটছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব। কিন্ত বায়ুমন্ডলকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা কারো নেহ যা প্রকৃতির। কিন্ত ঘটনা মানুষের তৈরী। আর এইভাবে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছো্  তবে আজ এ কথা বড় সত্য যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন জলবায়ুর পরিবর্তনও ঘটতে থাকবে। আর ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাবে আজ যদি আমরা তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে না পারি।

জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে -ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বরফ গলা শুরু হয়েছে। ফলে গ্রীষ্মকালে বন্যার ঝুকি আর শীতকালে পানির স্বল্পতায় হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে বিপুল জনগোষ্টি। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দক্ষিন এশিয়া।সমুদ্র পৃষ্ট উচু হয়ে যাচ্ছে । ফলে বন্যা, খরা, ঘুর্নিঝড়, সাহক্লোন, সিডর, ভুমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে্ । খাদ্যোভাব, অপুষ্টি, রোগ জীবানুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এমনি হাজার সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

নুতন নতুন সভ্যতা সৃষ্টিতে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটলেও আজ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকটা দায়ী মানুষের অতিরিক্ত লোভ লালসা, ক্ষমতা ও অস্রের লড়াই, যুদ্ধ, দ্বন্ধ, সংঘাত, যুদ্ধে পারমানবিক অস্ত্র, পারমানবিক বোমার ব্যবহার। এ সকল আগ্রেয় অস্ত্রের ব্যবহার বিশ্বের বায়মন্ডলকে নষ্ট করে দিচ্ছে ফলে পৃথিবীতে জলবায়ুর পরিবর্তন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
.
ঠিক পৃথিবীর মুল তত্বের উপর আমাদের আজ ভাবতে হবে আমাদের দেশটিকে কিভাবে  এই জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।  যার উপর আজ নির্ভর করছে বাংলার সামগ্রিক মানুষের জীবন।
ঠিক আমাদের দেশের ভিতরও আছে সেই ধনী গরীবের ব্যবধান। জলবায়ুর পরিবর্তন বায়ুমন্ডলের গঠনকে নষ্ট করে দেয় আর যা মানুষের ক্রিয়াকলাপের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, প্রকৃতির নয়।  সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন হতে জলবাযুর পরিবর্তন হচ্ছে আর হতে থাকবে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত যদি তাকে নিয়ন্ত্রন করা না হয়।

এবার একটি গৃহকে কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে নিরাপদ রাখা যায় , কিভাবে আমাদের পরিবেশকে সুন্দর রাখা যায়, আর জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে গেলে তা কিভাবে দ্রুত নিবারন করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের অবগত হতে হবে। আর সেদিনহ আমরা পারব জলবায়ুর পরিবর্তন আনতে।  তবে আমার কাছে বড় সত্য হল--' Prevention is better than cure.

এই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি সেক্টর। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুযোগপূর্র্ণ এলাকা। বন্যা, খরা, ঘুর্নিঝড়, সাইক্লোন, মঙ্গা, সিডর এসবই প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা সংঘটিত হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে। ঘুর্ণিঝড়ে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে আর বন্যায় ৬ ষ্ট স্থানে।

আমাদের কৃষি সেক্টরের বড় চ্যালেঞ্চ হল ক্রমহ্রাসমান প্রাকৃতিম সম্পদ আর জমির ক্ষয়রোধ করে বধির্ত জনগোষ্টির জন্য বেশিমাত্রায় খাদ্য উৎপাদন করা। আর আজ এই জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা করে আমাদের সেই লক্ষে কিভাবে পৌছানো সম্ভব আজ সেটাই ভাবনার বিষয়।  আজ বাংলার জনসংখ্যা ১৬ কোটি। সেহ ১৯৭১ সনে জমির পরিমান ছিল এক কোটি হেক্টর। আর এখন প্রায় ৬৫ হেক্টর। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য এক কোটি হেক্টর আর আজ ১৬ কোটি মানুষের জন্য ৬৫ হেক্টর  কি পরিমান উৎপাদন বৃদ্ধি করলে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূন্নতা অর্জন করতে পারব যা চিন্তা করলে অবাক হতে হয়। তারপরও্ জীবন থেমে থাকেনা। সব খরা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্নিঝড় উপেক্ষা করে আমাদের সামনের দিকে এগিযে যেতে হবে আর জয় করতে হবে ক্ষুদাকে। ক্ষুদার রাজ্যে দুনিয়া অন্ধকার।

আজ জলবায়ু পরিবর্তনকে হ্রাস করতে হলে প্রথমেই সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে হবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যে এই সুন্দর পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা সে কথাকে স্বিকার করে মানুষের এই অতিরিক্ত লোভ লালসা, যুদ্ধ, দ্বন্ধ, সংঘাত বন্ধ করতে হবে। আগামী সতা্ব্দির সেই বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আজ সকল নোংরা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজনীতি বন্ধ করে সকলে একত্রে কাধে কাধ মিলিয়ে কুদাল কাচি হাতে করে মাঠে নামতে হবে তারপরও হয়ত সেই বড় বিপযর্য় রোধ করা সম্ভব হবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে কেবল আমাদের আগামী সন্তানদের জন্য একটি সোনার বাংলাদেশ। (অব্যাহত)- কৃষান কন্যা রাহিলা, ১২ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, রাত ২-৫০ মি:।র




No comments:

Post a Comment