কৃষান কন্যা রাহিলা |
আমি আমার দেখা ১৯৭১ হতে সর্বশেষ নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হতে ফিরে এসে উপসংহার টেনে দিযে লিখেছি-' মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১,মুক্তিযোদ্ধা ও কিছু কথা'' । সেখানে একটি জায়গায় স্মৃতিচারন করেছি লেখিনা দিলু আপার কথা যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যাংকার স্মামীর সাথে খুলনায় অবস্থান করেছিলেন আর যুদ্ধের শুরুতে তিনি তার বড় মেয়েকে (ফ্লোরা) নিয়ে স্কুলে যেতেন আর রাস্তায় পাক বাহিনী দেখতেন।
অথচ আমি সেদিন কি করেছিলাম ? হয়ত ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম বড় আপার শশুর বাড়ীতে । যখন আমার স্কুলে যাবার কথা তখন বাড়ী থেকে পালিয়ে গেলাম। অথচ সরকারী চাকুরীজীবিরা সেদিন পাক বাহিনীর ভিতর অফিসে কাজ করতে পেরেছিলেন। আরও জেনেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ লন্ডনে সেদিন কুটনৈতিক মিশনে চাকুরীরত ছিলেন। তারপর যুদ্ধের শুরুতে সকলেই কাজ বন্দ করে দেশের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছিলেন তাইত তিনি মুক্তিযোদ্ধা। কিন্ত তার সন্তানদের পালাতে হয়নি। এই হল চাকুরীজীবী ধনী শ্রেনী ও মধ্যবিত্ত কৃষক শ্রেণীর যুদ্ধকালীন সময়ের পার্থক্য।
তারপর দেখেছি-বাংলাদেশের অবস্থান ও পরিবেশ অনুযায়ী সেদিন মুক্তিযোদ্ধা, নকলাশ ও রাজাকারের সৃষ্টি হয়েছিল আর তা কেবল যার যার অবস্থানে থেকে নিজেদের পাক বাহিনীর হাত হতে জীবন রক্ষার জন্য। আমি দেখেছি সেদিন আমার চার চাচা জামাত এবং তাদের জন্য রাজাকার ও মিলিটারী কোন ভয়ের ছিলনা। কিন্ত আমার আব্বা ও বড় ভাই আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকায় সেদিন আমাদের বাড়ীতে সব রকম হামলা হয়েছিল। আমাদের নয়টি মাস ভিষণ বিপদ ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছিল যা আজ বর্ননাতীত।
আমি কযেকদিন আগে কবির চৌধুরীর একটি লেখা বাংলাদেশের রাজাকার পরিবার পড়ে জেনেছি-১৯৭১ সনে বেগম সাজেদা চৌধুরী নাকী পাকিস্তান সার্পোটার ছিলেন ও তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন। যা আমার জানা নেই। তবে একথা সত্য ১৯৭১ সনে ঢাকা শহরে যে সব স্বনামধন্য কলম সৈনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি ছিলেন তারা সেদিন অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করেনি। তা[sb]রা সেদিন ঢাকা বসেই পাক বাহিনীর সামনে কাজ করেছিলেন্। তবে এটা বড় সত্য তারা পাক বাহিনীর সামনে থেকেই সাহসের সাথে ভিতরে ভিতরে দেশের জন্য কাজ করছিলেন অথবা আমার জানা নেই অথবা আজকের বুদ্ধিজীবিদের মত তারাও ছিলনা কিনা,[/sb] তবে মনে পড়েছে-আমাদের নড়াইল কলেজের কেমিষ্ট্রির ইস্রাফিল স্যারের কাছে গল্প শুনেছিলাম। স্যারের কাজ ছিল সারাদিন পাক বাহিনীর সামনে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে সরবরাহ করা। ঠিক সেদিন এমননি করেই সকলে যার যার মত করে দেশের জন্য কাজ করেছিলেন।
[sb]'' দল নিরপেক্ষ নয় কিন্ত বুদ্ধিজীবিরা হবেন সত্যের উপাসক'[/sb]' আমি জানিনা সেদিন এই বুদ্ধিজীবিরা কি করতেন। কি লিখতেন আর কেনই বা বিজয়ের শেষ মুহুত্যে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে পাক বাহিনীর ভিতর ঢাকায় বসে কাজ করেছিলেন যা পাকিস্তান বাহিনীর কাছে ছিল হয়ত বেঈমানীর শামিল, তাইত তাদের সেদিন হত্যা করা হয় বাসা থেকে ধরে নিয়ে। যা ছিল তাদের নিয়তী।
আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশের ভিতর যে তামাসা চলছে তার জন্য আজ আমার এ লেখা্ কারন জামাত ইসলাম ইসলামী পার্টি সাধারনত আল্লাহ কুরআনে বিশ্বাসী। তাদের দ্বারা অমানবতামুলক কাজ খুবই কম ঘটে যা আমার বিশ্বাস। [sb]ফেস ইজ হনডেক্স অব মাইন্ড[/sb]। তাদের দেখে আমার মনে হয়না তারা সেদিন লুন্ঠন, ধর্ষন ও জ্বালানো পোড়ানোর মত কাজে সংশ্লিষ্ট ছিল্ । হতে পারে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন আর সরকারকে সার্পোট করেছিলেন। তাই বলে এই নয় যে তারা নিজেরা এসব কাজে জড়িত হয়েছিলেন। তবে রাজাকারেরা যে লুটপাট করেছিল তা ঠিক। তারা কেবল হিন্দুদের বাড়ীতে আঘাত হেনেছিল আর তার বড় কারন তারা তখন পাক বাহিনীর সার্পোটেড দল আর পাক বাহিনীর বিদ্বেশ কেবল বাংলার হিন্দু শ্রেণীর উপর বেশি মাত্রায়। কারন সেদিন বাংলায় ভারতীয় হিন্দুরাই আওযামীলীগকে প্রেরণা দিযেছিল তাইত তাদের ভাষায় শেখ মুজিব ছিল বিশ্বাসঘাতক, কাফির , ভারতের দালাল।
তবে ১৪ আগষ্ট যারা ঢাকায় পাক বাহিনীর সামনে থেকে কাজ করেছিলেন তাদের স্বাধীনতার পরে (বিজয়ের পরে) কি নামে অভিহিত করা হত আমার জানা নেই। আজ মনে হয় তাদের মৃতুই তাদের আজ বুদ্ধিজীবি খেতাবে ভুষিত করা হয়েছে। যা ছিল যথার্থপূর্ণ্। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১২ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:. রাত ৫-৩৬ মি:।
অথচ আমি সেদিন কি করেছিলাম ? হয়ত ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম বড় আপার শশুর বাড়ীতে । যখন আমার স্কুলে যাবার কথা তখন বাড়ী থেকে পালিয়ে গেলাম। অথচ সরকারী চাকুরীজীবিরা সেদিন পাক বাহিনীর ভিতর অফিসে কাজ করতে পেরেছিলেন। আরও জেনেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ লন্ডনে সেদিন কুটনৈতিক মিশনে চাকুরীরত ছিলেন। তারপর যুদ্ধের শুরুতে সকলেই কাজ বন্দ করে দেশের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছিলেন তাইত তিনি মুক্তিযোদ্ধা। কিন্ত তার সন্তানদের পালাতে হয়নি। এই হল চাকুরীজীবী ধনী শ্রেনী ও মধ্যবিত্ত কৃষক শ্রেণীর যুদ্ধকালীন সময়ের পার্থক্য।
তারপর দেখেছি-বাংলাদেশের অবস্থান ও পরিবেশ অনুযায়ী সেদিন মুক্তিযোদ্ধা, নকলাশ ও রাজাকারের সৃষ্টি হয়েছিল আর তা কেবল যার যার অবস্থানে থেকে নিজেদের পাক বাহিনীর হাত হতে জীবন রক্ষার জন্য। আমি দেখেছি সেদিন আমার চার চাচা জামাত এবং তাদের জন্য রাজাকার ও মিলিটারী কোন ভয়ের ছিলনা। কিন্ত আমার আব্বা ও বড় ভাই আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকায় সেদিন আমাদের বাড়ীতে সব রকম হামলা হয়েছিল। আমাদের নয়টি মাস ভিষণ বিপদ ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছিল যা আজ বর্ননাতীত।
আমি কযেকদিন আগে কবির চৌধুরীর একটি লেখা বাংলাদেশের রাজাকার পরিবার পড়ে জেনেছি-১৯৭১ সনে বেগম সাজেদা চৌধুরী নাকী পাকিস্তান সার্পোটার ছিলেন ও তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন। যা আমার জানা নেই। তবে একথা সত্য ১৯৭১ সনে ঢাকা শহরে যে সব স্বনামধন্য কলম সৈনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি ছিলেন তারা সেদিন অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করেনি। তা[sb]রা সেদিন ঢাকা বসেই পাক বাহিনীর সামনে কাজ করেছিলেন্। তবে এটা বড় সত্য তারা পাক বাহিনীর সামনে থেকেই সাহসের সাথে ভিতরে ভিতরে দেশের জন্য কাজ করছিলেন অথবা আমার জানা নেই অথবা আজকের বুদ্ধিজীবিদের মত তারাও ছিলনা কিনা,[/sb] তবে মনে পড়েছে-আমাদের নড়াইল কলেজের কেমিষ্ট্রির ইস্রাফিল স্যারের কাছে গল্প শুনেছিলাম। স্যারের কাজ ছিল সারাদিন পাক বাহিনীর সামনে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে সরবরাহ করা। ঠিক সেদিন এমননি করেই সকলে যার যার মত করে দেশের জন্য কাজ করেছিলেন।
[sb]'' দল নিরপেক্ষ নয় কিন্ত বুদ্ধিজীবিরা হবেন সত্যের উপাসক'[/sb]' আমি জানিনা সেদিন এই বুদ্ধিজীবিরা কি করতেন। কি লিখতেন আর কেনই বা বিজয়ের শেষ মুহুত্যে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে পাক বাহিনীর ভিতর ঢাকায় বসে কাজ করেছিলেন যা পাকিস্তান বাহিনীর কাছে ছিল হয়ত বেঈমানীর শামিল, তাইত তাদের সেদিন হত্যা করা হয় বাসা থেকে ধরে নিয়ে। যা ছিল তাদের নিয়তী।
আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশের ভিতর যে তামাসা চলছে তার জন্য আজ আমার এ লেখা্ কারন জামাত ইসলাম ইসলামী পার্টি সাধারনত আল্লাহ কুরআনে বিশ্বাসী। তাদের দ্বারা অমানবতামুলক কাজ খুবই কম ঘটে যা আমার বিশ্বাস। [sb]ফেস ইজ হনডেক্স অব মাইন্ড[/sb]। তাদের দেখে আমার মনে হয়না তারা সেদিন লুন্ঠন, ধর্ষন ও জ্বালানো পোড়ানোর মত কাজে সংশ্লিষ্ট ছিল্ । হতে পারে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন আর সরকারকে সার্পোট করেছিলেন। তাই বলে এই নয় যে তারা নিজেরা এসব কাজে জড়িত হয়েছিলেন। তবে রাজাকারেরা যে লুটপাট করেছিল তা ঠিক। তারা কেবল হিন্দুদের বাড়ীতে আঘাত হেনেছিল আর তার বড় কারন তারা তখন পাক বাহিনীর সার্পোটেড দল আর পাক বাহিনীর বিদ্বেশ কেবল বাংলার হিন্দু শ্রেণীর উপর বেশি মাত্রায়। কারন সেদিন বাংলায় ভারতীয় হিন্দুরাই আওযামীলীগকে প্রেরণা দিযেছিল তাইত তাদের ভাষায় শেখ মুজিব ছিল বিশ্বাসঘাতক, কাফির , ভারতের দালাল।
তবে ১৪ আগষ্ট যারা ঢাকায় পাক বাহিনীর সামনে থেকে কাজ করেছিলেন তাদের স্বাধীনতার পরে (বিজয়ের পরে) কি নামে অভিহিত করা হত আমার জানা নেই। আজ মনে হয় তাদের মৃতুই তাদের আজ বুদ্ধিজীবি খেতাবে ভুষিত করা হয়েছে। যা ছিল যথার্থপূর্ণ্। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১২ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:. রাত ৫-৩৬ মি:।
আমি গত ১২ ডিসেম্বর কবির চৌধুরীর রাজাকারের পরিবার গল্পটি পড়ে লিখেছিলাম। আজ তিনি চলে গেছেন । এখন জানতে পারছি তিনি ছিলেন নাস্তিক আল্লাহ কুরআনকে বিশ্বাস করতেন না। তা্হত ভাবছি-সেদিন ঢাকা শহরে পাকিস্তানের সামনে বসে যারা কাজ করেছিলেন তারাও ঠিক এদের দলে। আজ সত্যিহ তারা বুদ্ধিজীবী আর কবির চৌধুরীও আজ তাদের দলভূক্ত হয়েছে। ‘ দল নিরপেক্ষ নয়, বুদ্ধিজীবিরা হবেন সত্যের উপাসক।’’
ReplyDelete