কৃষান কন্যা রাহিলা |
জন্ম ১৯৬৫ সনে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের জালালসী গ্রামে৷ পিতা মরহুম ইউসুফ মোল্যা৷ দাদা : মরহুম আছিরউদ্দিন মোল্যা, দুই মাস বয়সে পিতৃহীন আব্বাকে মানুষ করেছেন ব্যক্ষণ সুরেস চন্দ্র মুখার্জী৷ মাতা মালেকা বেগম৷ পিতা: লাল মোহাম্মদ মোল্যা। ছোট ভাই-আবুল খায়ের,নড়াইল৷ (বাংলার মামা )৷
পাচঁ ভাই ও পাচঁ বোন৷
স্মামী মরহুম সাখাওয়াত হোসেন৷ পিতা : মরহুম আব্দুস সাত্তার মিনা, গ্রাম : চাপ্তা, কাশিয়ানী গোপালগঞ্জ৷
সন্তান দুই ছেলে : সোয়ান আহমেদ ও রাফসান আহমেদ, মেয়ে-নিগার সুলতানা টুম্পা৷
১৯৭৫ সনে নলদী প্রাইমারী স্কুলের প্রথম স্কলারসীপ পাওয়া ছাত্রী৷
১৯৭৫ সনে বড় ভাইয়ের মৃতুর পর ১৯৭৬ সনে নড়াইল আসা ও শিব শংকর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি (প্রধান শিক্ষক আ: হামিদ)৷ স: প্রধান শিক্ষিকা : আনিছা আপা (নড়াইল কলেজের রউফ স্যারের স্ত্রী)৷ ১৯৭৬ সনে ক্লাসে প্রথম হয়ে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত৷
১৯৭৬-৭৭ বর্তমানে সুইডেনের আওয়ামীলীগ নেতা কবির জাহাংগীর দ্বারা বিতকির্ত হয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া ও সেখান থেকে ১৯৮০ সনে এসএসসি পাস৷ অথচ জাহাংগীরকে কাছ থেকে দেখিনি কোনদিন৷
১৯৮০ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে ভর্তি৷ তারপর নড়াইলে থেকে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি ও ১৯৮৩ সনে কেসি কলেজ হতে এইচএসসি পাস৷
১৯৯৩ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএসসিতে ভর্তি৷
আগষ্ট/১৯৮৪ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের সফিউদ্দিন মিনার মেজে ছেলে মরহুম ছাত্তার মিনার সেজে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ঝন্টুর সাথে বিবাহ৷
১৯৮৫ সনে মেজে ভাই নুর আহমেদ এর নড়াইল, ভ-খালীর বাসায় বড় ছেলে সোয়ান আহমেদ এর জন্ম৷
১৯৮৬ সনে স্থায়ীভাবে স্বামী, সন্তানসহ উত্তর যাত্রাবাড়ী,ঢাকায় বসবাস৷
১৯৯০ সনে যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় খালেকুজ্জামান হাইস্কুলে(পরবর্তীতে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন) সহকারী শিৰিকা হিসেবে যোগদান৷
১৯৯১ ডিসেম্বরে সম্ভবত: ফার্মগেট খামারবাড়ীর (মরহুম আ:কা:মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী সাহেবের অধীনে) ড: বেলাল সিদ্দিকীর তত্বাবধানে ফলবিথি হর্টিকালচার সেন্টারে শিৰিত খামার শ্রমিক হিসেবে (ডেলি বেসিসে) যোগদান৷
জুলাই /১৯৯৪ সনে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্টেনো-টাইপিস্ট হিসেবে যোগদান৷ ১৯৯৫ হতে ২০০৪ পর্যনত্ম বাজেট ছাড়াও প্রশাসনের অনেক কাজই করতে হয়েছিল৷ উপ-সচিব মঞ্জুরুল আলম থেকে শুরু করে উপ-সচিব ধিরাজ মালাকার,মাহবুব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকেরই কাজ করতে হয়েছিল৷
এপ্রিল/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ের গুরম্নত্বপূর্ণ বাজেট শাখায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম৷ তারপর দ্রুত উক্ত মাসেই ভারতের ভেলর, সিএমসি হতে ব্রেন অপারেশন৷ তিনমাস পরে পুনরায় নাক দিয়ে ফ্লুইড নি:সরণ ও জুলাই/০৪ দ্বিতীয়বার ভারত গমন ও পুনরায় অপারেশন৷ সেপ্টেম্বর/২৪ হঠাত্ হার্ট এটাকে সাখাওয়াতের মৃতু৷
সম্ভবত: নভেম্বর/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পুনরায় যোগদান৷ আর সেদিন তারা ব্রেন টিউমার জেনেও ময়লা, নোংরা ডিসপাস শাখায় পোস্টিং৷ যেখান থেকে আমি কয়েকজনকে মারা যেতে দেখেছি৷
সেখান থেকে ২০০৬ সম্ভবত: যুগ্ম-সচিব (সম্প্রসারণ) নকিব মুসলিম স্যারের সাথে পদায়ন৷
কয়েক মাস পর উপ-সচিব (নিরীৰা) দপ্তরে বদলী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি৷ সেখানে ছিলেন যথাক্রমে-তত্কাণলীন উপ-সচিব আর বর্তমানের যুগ্ম-সচিব-ফারুক হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাহাদত্ হোসেন (অবসর), রোকসানা ফেরদৌসী, ইকবাল হোসেন ও সর্বশেষ উপ-সচিব মোফাজ্জল হোসেন৷
২০০৪ সনে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম হলে আমি বিছানায় শুয়ে দেখেছি মানুষের অবহেলা ও অনাদার৷ সাখাওয়াতের মৃতুর পর আরও কঠিন বাসত্মবতার সম্মুখীন আর সেদিন আপনজনদের নিষ্টুর আচরন লক্ষ করেছি তারপর ২০০৮ সনে বড় আকারে কষ্ট পেয়ে লেখালেখি শুরু কেবল কষ্টটাকে সেয়ার করার জন্য৷ ভেবেছিলাম হয়ত সরকার পরিবর্তনের পর আমি অনেক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে আমার সন্তানদের নিয়ে টিকে থাকতে পারব৷ কারন গোপালগঞ্জের সরকা্র৷
কিনত্ম ২০০৯ সরকার গঠনের পর আরও বেশিমাত্রায় চাপের মুখে পড়লাম৷ তখন বাচাঁর আর কোন উপায় পেলাম না কারন ছয়তলা হতে লাফ দেয়া ছাড়া কোন পথ ছিলনা আমার সামনে৷ তাই আমি সেদিন প্রশাসনের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা শুরু করলাম ও মুক্তির পথ খুজছিলাম৷
একসময় আমাদের সময় পত্রিকায় দেখলাম সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানের কিছু লেখা-'গণতন্ত্রকে টিকিযে রাখার জন্য চাই সকলের প্রচেষ্টা''৷ সেখানে তিনি লিখেছেন- সত্যরে ভালবাসিলাম সে মোরে করেনা বঞ্চনা, আবার কখনও The News is sacred but views are personal, আবার কখনও সুনিতা পাল ও রামগোপানল ইত্যাদি নিয়ে৷ আমার ভিষণ ভাল লেগেছিল তখন আমি তার সাথে লেখালেখি শুরু করলাম৷ তিনি আমার লেখায় ভিষণ মুগ্ধ হলেন-আর আমার রিয়েল নেম, ব্রাকগ্রাউন্ড ও আইডেনটিটি জানতে চাইলেন৷ আমি নিজে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিয়েছিলাম৷ আমি তাকে অরজিনাল নাম বলতে পারিনি কারন তা জানলে তিনি আমার সাথে কথা বলবেন না্৷ আর তখনই আমি লিখতে শুরু করলাম আমি কে এবং কোথা থেকে এসেছি ? আর তখন তা লিখতে গিয়ে দেখলাম ততৰনে আমি অনেক সঙ্গায় সঙ্গায়িত হয়ে গেছি৷ কখনও অসাধারন মেয়ে, কখনও মানসী, কখনও বিদ্রোহী নারী, কখনও অসাধারন বাঙ্গালী ৷ সবশেষে আমি দেখলাম আমি অনেক দিন আগে নড়াইলের জালালসী গ্রামে এক কৃষক পরিবারে কাদা মাটিতে জন্ম নিয়েছিলাম, তাই নিজেকে কৃষান কন্যা ভাবতেই বেশি পছন্দ ৷ সেই থেকে হয়ে গেলাম কৃষান কন্যা আর ওয়ালিউর রহমান সারের কাছে আমার জীবনকাহিনী লিখে দিলাম৷ বিলিয়াতে সেদিন তিনি আমাকে বলেছিলেন-' আপনি খুবই ভাল লিখেন, বই লিখুন যা চিরদিন থাকবে৷'' আমি সেদিন চলে এলাম তারপর তিনি আমার সাথে আর কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন না কারন আমার জানা৷ আর আমাদের সময় ও প্রথম আলোকে অনুরোধ করলাম ইমেলে কিনত্ম কেহ আমাকে সাহায্য করলনা্৷ তাই সেদিন ওযেবসাইটে ফেসবুক ওপেন করলাম৷
তারপর শুরু হল আমার লেখালেখি-আমি প্রতিনিয়ত আমার 'কৃষান ভাবনা' লিখতে শুরু করলাম৷ এক সময় পাকিস্তানের ইনলাভ হিউমানিটি মিশনের প্রেসিডেন্ট আগা তারেক এইচ খান আমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে আমাকে তাদের অগ্রানাইজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ করলেন কিন্ত আমি আমাদের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তাদের সাথে কাজ করতে পারিনি তাইত তারা আমাকে একসময রিমুভ করলেন৷ তারপর আমি আমাদের পতাকার উপর কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম৷ যখন আমি আমার মিশনটি নিয়ে বড়ই কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ক্রিস্টোফার মার্ক উইংগেট,নিউজিল্যান্ড আমাকে অনেক উপদেশ দিলেন যা আমাকে ভিষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল৷ তারপর আমার লেখা সম্ভবত: ৫৭ পর্ব চলার পরে অফিস থেকে বাধার সম্মুখিন হলাম তখন অন্য পথ আবিস্কার করলাম আর সেটা হল ব্লগ-আর তা সবই ছিল ইংরেজীতে৷
তারপর তারিখটা এখন মনে করতে পারছি না হেরস নেভার ডাই গ্রুপের ফাউন্ডার মানব সায়ানা আমাকে তাদের হিরো হিসেবে চিহ্নিত করলেন৷ যা আমার দু:খের দিনে সুখের সামগ্রীর মধ্যে একটি৷
ঠিক তখন আমার অফিস আমাকে সহযোগিতা না করে অবহেলা করতে শুরু করল আর এমন একটি দিন এল সেদিন তারা আমাকে পাগল বানিয়ে বাসায় পাঠাবার ব্যবস্থা করছিল কিন্ত আমি সব বুঝতে পেরেই দ্রুত আমার ফেসবুকের মাধ্যমে আমার বিজয় ঘোষনা করে তাদের চ্যালেঞ্চ করে বেরিয়ে এলাম৷ আর আমার বিজয়ের সকল ডকুমেন্টস-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হক, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা স্বাস্থ্য, আইনমন্ত্রী, সচিব আবদুল আজিজ, মন্ত্রিপরিষদ, সংস্থাপন, সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, কৃষি মন্ত্রনালয় ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ৷ আমার লেখা প্রকাশের কথা থাকলেও তারা তা প্রকাশ করেনি৷
তারপর স্টোরী অব আওয়ামীলীগ গ্রুপে শেখ মুজিবকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পক্ষ হতে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ এর জরুরী নিদের্শ পেয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করে যা সারা পৃথিবীর সামনে আমার ইমেজকে নষ্ট করে দেয়৷ কারন আমি ১৬ ডিসেম্বর/২০১০ সোওরাওর্য়াদী উদ্যান হতে বাংলার গরীব, দু:খী ও অসহায় মানুষের মুক্তির শপথ নিয়েছিলাম৷ সাপোজ-একটি শিশুকে যদি বলা হয়-এটা করোন, সেটা করোনা৷ দেখা যাবে শিশুটি সেটাই বেশি করবে৷ যাহ হোক শাস্তি দিয়ে কলম বন্দ করা যায়না বরং সাহস যোগানো৷
যখন আমি ভিষণভাবে বদ্ধ ঘরে বসে কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তেমনি সময়ে বাংলাদেশ সরকার একটির পর একটি সংশোধনী পরিবর্তনই কেবল করছিলনা ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালু করে দেশকে তাদের তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিনত করছে দিনের পর দিন যা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না৷ আমার দুইবার ব্রেন অপারেশ হয়েছে৷যা ভিষনভাবে আমার ৰতির কারন হচ্ছিল৷ তাই আমার সব লেখা শেষ করার পর আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে ১৯৭১ সনে শেখ মুজিব রাজনৈতিক চালে ভুল করেছিলেন৷ ১৯৭১ সনে ২৫ মার্চের জেনোসাইড অথবা ৯ মাসের এত ধ্বংষ বা রক্তপাত ছাড়াই আমরা স্বাধীন হতে পারতাম৷ কারন এই স্বাধীনতার সপ্ন পাক-ভারত বিভক্তির পর হতেই বাঙ্গাল জনগণ দেখা শুরম্ন করেছিল৷ আর সেদিন মাওলানা ভাসানী,একেএম ফজলুল হক, অন্যান্য রাজনীতিবিদরা ছাড়াও দেশের সকল শিল্পি, কবি, সাহিত্যিক, বাউল, লেখক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক , ছাত্ররা তাদের মত প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেছিল৷এটাই বাস্তব৷
তবে সকল দেশেই স্বাধীনতার জন্য সকলের মতামত নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে একজন নেতা মনোনিত হয়৷ আর সেদিন মাওলানার হাতে গড়া আওয়ামীলীগের নেতা হলেন শেখ মুজিব৷ তার নেতৃত্বে জনগণ স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দেলিত হয়ে উঠেছিল৷ রাজনীতিবিদ দেশে থাকে অনেক তবে নেতা খুবই কম৷ মাওলানা ভাসানীর মানুষের রাজনীতি করতেন৷ তিনি ছিলেন দুর্বল স্বভাবের্ তাই তিনি পাকিস্তানী শাসকদের সাথে কথা বলার মত সাহস সঞ্চয় করতে পারেননি যা আমার বিশ্বাস৷ তাইত সাহসী মুজিব জনতার সামনে চলে এলেন ৷ তারপর সাত দফা, ছয় দফা কত দফা জেল জুলুম হবার পর এল ১৯৭১৷ এবার আপনারা রাজার চোখ থেকে কাজল রেখার কাটা তুলার গল্পটি ভাবুন৷ যখন ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর সাথে সম্ভবত: দাবী দাওয়া নিয়ে সভা হয়েছিল আর সেই সভায় তারা সমঝোতায় আসতে পারেননি৷ কারন জানা নেই৷ তবে ভুট্টোর চিন্তা থেকে বুঝেছি-তিনি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বসে ২৫ মার্চের রাতে জেনোসাইড শুরু হলে কেবলই হা হুতাস করছিলেন ও ভাবছিলেন- এই রক্তপাত ছাড়াত সমঝোতা হতে পারত ! সভায়ত এরকম কোন কথা ছিলনা৷ তিনি ভিষন কষ্ট পাচ্ছিলেন ঢাকার অবস্থা অনুধাবন করে৷ কিন্ত কাজ করছিল গর্ভনর টিক্কা খান যাকে ইয়াহিয়া খান নির্দেশ দিয়ে পাকিসত্মানে চলে যায়৷ 'মার বাঙ্গালী মেরে শেষ করে দাও৷' আর টিক্কা খানের মুলনীতি ছিল- 'আমাদের মাটি চাই, মানুষ চাইনা'' কারন মাটিটা তখনও পাকিসত্মান অধুষিত৷ আর ভয়াবহ যুদ্ধের মুল নায়ক কারা ছিল ? এটাই হল সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসন আর শোষন নীতি যা করে কেবল রাজনীতিবিদরা৷ তবে রাজনীতি দু রকম-মানুষের জন্য রাজনীতি আর সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনমুলক রাজনীতি৷
এখন আমার কথা হল-আমরা সেদিন পাকিসত্মান ভারতের দ্বারা শোষিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত, অসহায় একটি বাঙ্গালী জাতি৷ যারা ছিল ঠিক আদিবাসীর মত৷ আমাদের মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বাংলার উর্বর মাটিতে ধান,পাট, ফসল ফলিয়ে শোষকদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের সনত্মানদের লেখাপড়া শিখাতেন কেবল তাদের কষ্ট লাঘব হবে তারা একদিন এদেশ স্বাধীন করবে৷ কিনত্ম শিৰিত সমাজ অশিৰিত সমাজের মত বেশিমাত্রায় লাঠি পেটা করতে পারেনা৷ কিনত্ম তারা জ্ঞানী তাদের জ্ঞান চিনত্মা চেতনা দিয়ে দেশকে সম্মৃদ্ধি করতে পারে মাত্র৷
কিন্ত শেখ মুজিব কি চিন্তা করেছিলেন পাইপ টানার আড়ালে যে-ফরিদপুর সবচেয়ে দেশের নীচু এলাকা আর সে অঞ্চলে বেশি গরীব, দু:খী অশিক্ষিত মানুষ থাকলেও সেদিন সারা ঢাকা শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের শিৰিত সন্তানেরা অবস্থান করছিলেন যারা দেশের উচু এলাকার সন্তান ও আভিজাত্য পরিবারের এবং তারাই এ দেশের প্রকৃত সম্পদ ছিল সেদিন তাদের কি অবস্থা হতে পারে ? তারা শিক্ষিত পরিবারের, তারা আমার কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের লাঠিয়াল অথবা নড়াইল সর্দারবাড়ীর লাঠিয়াল নয়৷ তারা ছিল শিৰিত বাবা মায়ের সন্তান৷ তারা লাঠি ধরতে জানেনা৷ তারা তাদের জ্ঞান দ্বারা দু:খকে জয় করতে পারে, দেশের সম্মৃদ্ধি আনতে পারে, দেশের কল্যান আনতে পারে৷ অথচ শেখ মুজিব সেদিন আজকের মত এই নোংরা রাজনীতির খেলা খেলে ২৫ মার্চের রাতে সেই সকল শিৰিত সমাজকে ধ্বংষ করে দেয়৷ আর সেদিন লাঠি ধরল অথবা মাজায় গামছা বেধে দলবেধে ভারতে ছুটেছিল কারা ? বাংলার সকল গরীব, দু:খী, চাষীর ছেলেরা যারা সেদিন কেবল তাদের আপনজনদের ও দেশ রৰার জন্য ছুটে গিয়েছিল ভারতে আর যুদ্ধ করেছিল পাক বাহিনীর সাথে৷
কিন্ত সত্যিকার শিক্ষিত বা নবাব শ্রেণীর মানুষ তা করেনি যা আমি জীবন থেকে দেখেছি৷ আমাদের গ্রামটির সামনে নবগজ্ঞা নদী থাকায় পাক বাহিনী সহজে প্রবেশ করতে পারত না৷ ১৯৭১ সনে যখন যুদ্ধ শুরু হল তখন আমাদের এলাকায় নকশালের সৃষ্টি হল৷ তাদের কাজ হল দা হাতে করে ত্রাস সৃষ্টি করা আর দল বেধে আমাদের তিন বাড়ী ভাত খেত পালাক্রমে৷ আর তারা হল দরিদ্র শ্রেণীর৷ আমার বড় ভাই তখন কলেজের নেতা যারা ছিলেন তখন ১৯৫২ অথবা ১৯৭১ এর চেতনায় বিশ্বাসী টগবগে যুবক যাকে দুইজন মাস্টার সাথে দিয়ে মানুষ করেছিলেন হাতে গড়ে ৷ আর আমাদের খাবার খেয়ে বেচেঁ থাকত প্রায় গ্রামের অনেক লোক৷ সেই নকশালদের সাথে কেন তিনি থাকবেন ? তারপরও তারা তাকে রেহাই দিচ্ছিলনা তখন আব্বা তাকে চরবালিদিয়ার দুজন লোক সাথে দিয়ে ভারতে পাঠালেন দাদা সুরেস চন্দ্র মুর্খাজীর কলকাতা ২৭ নং স্ট্রিটের বাসায়৷ আজ মনে হয় 'সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী কওে মানুষ করনি৷' আজ মনে হচ্ছে আমার আব্বা চোখের জলে সিক্ত হয়ে শেখ মুজিবের পাগলীর জন্য তার জীবন বাচাঁবার জন্য কেবল ভারতে পাঠিয়েছিলেন৷ ট্রেনিং এর জন্য নয়৷ আমরা দশ ভাইবোন এমনভাবে মানুষ হয়েছিলাম যে ৰুধার যন্ত্রনা কাকে বলে আমরা কোনদিন জানিনা৷ আর ভাইত স্পেশাল৷ কলিকাতা দাদার পরিবার সব সময় গাড়ীতে বাজার করত৷ ভাই দাদার পরিবারের সাথে কিছুদিন থাকার পর বাড়ীর জন্য তার মন খারাপ হয়ে গেল৷ মাকে নাকী বলেছিল ওদের খাবার খেয়ে আমার ভাল লাগেনি৷ তারপর সে বাড়ী ছেড়ে চলে গেল আর যোগ দিল তার কলেজের সহপাঠিদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে৷ কিনত্ম আব্বা মা সারাৰণ টেনশনে ও কান্নাকাটি করতেন৷ আর আমাদেরও সেদিন বড় বোনের সাথে তার শশুরালয়ে তিনমাস থাকতে হয়েছিল বাড়ী ছাড়া৷ আব্বা মায়ের কি যে কষ্ট !
আমার বাবা লেখাপড়া জানতেন না, বাস্তব জ্ঞান থেকে মহা জ্ঞানী ছিলেন৷ আর সেদিন তিনি তার জমিতে কাজ করার জন্য যত লেবার ক্রয় করতেন তার সব লেবারই ছিল সেদিন গোপালগঞ্জের৷ আর সেই গোপালগঞ্জের নবাব শেখ মুজিবের নির্দেশে নুরম্নল ইসলাম মাজায় গামঝা বাধবেন সে রকম ছেলে সে ছিলনা৷ আমরা কারো নির্দেশ ফলো করিনা, নির্দেশ দিতে পছন্দ করি৷কেবল শেখ মুজিবের পাগলামীর জন্য সেদিন ১৯৭১ সংঘটিত হয়েছিল আর আমাদের উপর যত ঝড় বয়ে গিয়েছিল আর তা প্রটেকশন দেবার ৰমতা ইউসুফ মোল্যার ছিল৷ তাইত সেদিন তার সন্তানদের নখের আচড় দেবার ক্ষমতা কারো ছিলনা৷ অথচ শেখ মুজিব ভারতের সাথে আতাত করে দেশকে বিভক্ত করে সকল শিক্ষিত সমাজকে হত্যা করে যেদিন ক্ষমতার মসনদে আরোহন করেছিল সেদিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী যাদের হাতে শেখ মুজিব অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল তারা আমার বীর সাহসী ভাইকে রাতের আধারে পিছন দিক হতে গুলি করেছিল৷ তার কাছেও কাটা রাইফেল ছিল৷ কিন্ত কেন ? ১৯৭১ সনের আগেত তার কাছে কোন অস্ত্র ছিলনা৷ তাইত রাত এগারটায় পর পর গুলির শব্দে আমার আব্বা দরজা খুলেই কেদেঁ বললেন- 'আজ আমার সব শেষ হয়ে গেল৷' নুরুল ইসলামের বুলেটবিদ্ধ বেনয়েটে খচিত ভিত্স দেহ পড়ে আছে তার পূর্ব পাশের নিজ ঘরের বারান্দায় !এই হল সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত বীর সাহসী নেতা৷ এরকম হাজার সাহসী কৃষকের সনত্মান ২৫ মার্চের জেনোসাইডে নিরব, নিথর হয়ে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়৷ কিন্ত আমিত দেখিনি তাদের ভিত্স্যে দেহ ! কেবল অনুভবে৷
আরে শেখ মুজিব, তুমি ছিলে আমাদের চাকর৷ আর তুমি তোমার নোংরা রাজনীতি করে আমাদের বাংলার সকল শিক্ষিত সমাজটাকে হত্যা করেছিলে যারা কোনদিন ক্ষুধার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারেনি, যারা ভাত-কাপড়ের অভাব, লেখাপড়ার অভাব দেখেনি নবাবের মত বেড়ে উঠেছিলে তুমি তাদের হাতে তুলে দিলে ভারতীয় অস্ত্র আর ধ্বংষ করেছিলে সব যুব সমাজটাকে৷ আর সেই নবাবদের রক্ত পাড়িয়ে চাকর মসনদে বসেছিল৷ তাইত মানুষ সহ্য করলেও আল্লাহ তা সহ্য করেনি ৷ তাইত সেদিন সপরিবারে তোমাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল৷ চাকর কখনও নবাব হতে পারে না৷ আর তোমার সেই কন্যা আজ নবাবজাদী সেজে গণ ভবনে বসে বাংলার সমগ্র জনগনের ভাগ্য নিয়ে তামাসা করছে যা আল্লাহ সহ্য করবে না কোনদিন৷
আমরা মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ মাটি থেকে খাবার বের করে খেয়েছি,ৰুদার যন্ত্রনা কখনও দেখিনি আর সেদিন তোমরা ছিলে ক্ষুর্ধাত তাইত আমাদের জমি চাষ করে তাই দিয়ে খাবার কিনতে আমাদের কাছ থেকে৷ আর আজ আমাদের সেই খাবার তোমরা কেড়ে নিয়েছ আর আজ আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছি একটু খাবারের আশায়৷
তাইত আজ আমি তোমাকে কেটেছি শেখ মুজিব আমি তোমার লাস খাব, রক্ত পাব তারপরও আমার ক্ষুধা মিটবে না ৷ কারন আমি জীবনে ক্ষুদার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারিনি ৷ আজ বড়ই ক্ষুধার্ত৷ (সমাপ্ত) -কৃষান কন্যা রাহিলা, ১ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:
পাচঁ ভাই ও পাচঁ বোন৷
স্মামী মরহুম সাখাওয়াত হোসেন৷ পিতা : মরহুম আব্দুস সাত্তার মিনা, গ্রাম : চাপ্তা, কাশিয়ানী গোপালগঞ্জ৷
সন্তান দুই ছেলে : সোয়ান আহমেদ ও রাফসান আহমেদ, মেয়ে-নিগার সুলতানা টুম্পা৷
১৯৭৫ সনে নলদী প্রাইমারী স্কুলের প্রথম স্কলারসীপ পাওয়া ছাত্রী৷
১৯৭৫ সনে বড় ভাইয়ের মৃতুর পর ১৯৭৬ সনে নড়াইল আসা ও শিব শংকর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি (প্রধান শিক্ষক আ: হামিদ)৷ স: প্রধান শিক্ষিকা : আনিছা আপা (নড়াইল কলেজের রউফ স্যারের স্ত্রী)৷ ১৯৭৬ সনে ক্লাসে প্রথম হয়ে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত৷
১৯৭৬-৭৭ বর্তমানে সুইডেনের আওয়ামীলীগ নেতা কবির জাহাংগীর দ্বারা বিতকির্ত হয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া ও সেখান থেকে ১৯৮০ সনে এসএসসি পাস৷ অথচ জাহাংগীরকে কাছ থেকে দেখিনি কোনদিন৷
১৯৮০ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে ভর্তি৷ তারপর নড়াইলে থেকে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি ও ১৯৮৩ সনে কেসি কলেজ হতে এইচএসসি পাস৷
১৯৯৩ সনে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএসসিতে ভর্তি৷
আগষ্ট/১৯৮৪ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের সফিউদ্দিন মিনার মেজে ছেলে মরহুম ছাত্তার মিনার সেজে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ঝন্টুর সাথে বিবাহ৷
১৯৮৫ সনে মেজে ভাই নুর আহমেদ এর নড়াইল, ভ-খালীর বাসায় বড় ছেলে সোয়ান আহমেদ এর জন্ম৷
১৯৮৬ সনে স্থায়ীভাবে স্বামী, সন্তানসহ উত্তর যাত্রাবাড়ী,ঢাকায় বসবাস৷
১৯৯০ সনে যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় খালেকুজ্জামান হাইস্কুলে(পরবর্তীতে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন) সহকারী শিৰিকা হিসেবে যোগদান৷
১৯৯১ ডিসেম্বরে সম্ভবত: ফার্মগেট খামারবাড়ীর (মরহুম আ:কা:মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী সাহেবের অধীনে) ড: বেলাল সিদ্দিকীর তত্বাবধানে ফলবিথি হর্টিকালচার সেন্টারে শিৰিত খামার শ্রমিক হিসেবে (ডেলি বেসিসে) যোগদান৷
জুলাই /১৯৯৪ সনে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্টেনো-টাইপিস্ট হিসেবে যোগদান৷ ১৯৯৫ হতে ২০০৪ পর্যনত্ম বাজেট ছাড়াও প্রশাসনের অনেক কাজই করতে হয়েছিল৷ উপ-সচিব মঞ্জুরুল আলম থেকে শুরু করে উপ-সচিব ধিরাজ মালাকার,মাহবুব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকেরই কাজ করতে হয়েছিল৷
এপ্রিল/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ের গুরম্নত্বপূর্ণ বাজেট শাখায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম৷ তারপর দ্রুত উক্ত মাসেই ভারতের ভেলর, সিএমসি হতে ব্রেন অপারেশন৷ তিনমাস পরে পুনরায় নাক দিয়ে ফ্লুইড নি:সরণ ও জুলাই/০৪ দ্বিতীয়বার ভারত গমন ও পুনরায় অপারেশন৷ সেপ্টেম্বর/২৪ হঠাত্ হার্ট এটাকে সাখাওয়াতের মৃতু৷
সম্ভবত: নভেম্বর/২০০৪ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পুনরায় যোগদান৷ আর সেদিন তারা ব্রেন টিউমার জেনেও ময়লা, নোংরা ডিসপাস শাখায় পোস্টিং৷ যেখান থেকে আমি কয়েকজনকে মারা যেতে দেখেছি৷
সেখান থেকে ২০০৬ সম্ভবত: যুগ্ম-সচিব (সম্প্রসারণ) নকিব মুসলিম স্যারের সাথে পদায়ন৷
কয়েক মাস পর উপ-সচিব (নিরীৰা) দপ্তরে বদলী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি৷ সেখানে ছিলেন যথাক্রমে-তত্কাণলীন উপ-সচিব আর বর্তমানের যুগ্ম-সচিব-ফারুক হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাহাদত্ হোসেন (অবসর), রোকসানা ফেরদৌসী, ইকবাল হোসেন ও সর্বশেষ উপ-সচিব মোফাজ্জল হোসেন৷
২০০৪ সনে ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম হলে আমি বিছানায় শুয়ে দেখেছি মানুষের অবহেলা ও অনাদার৷ সাখাওয়াতের মৃতুর পর আরও কঠিন বাসত্মবতার সম্মুখীন আর সেদিন আপনজনদের নিষ্টুর আচরন লক্ষ করেছি তারপর ২০০৮ সনে বড় আকারে কষ্ট পেয়ে লেখালেখি শুরু কেবল কষ্টটাকে সেয়ার করার জন্য৷ ভেবেছিলাম হয়ত সরকার পরিবর্তনের পর আমি অনেক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে আমার সন্তানদের নিয়ে টিকে থাকতে পারব৷ কারন গোপালগঞ্জের সরকা্র৷
কিনত্ম ২০০৯ সরকার গঠনের পর আরও বেশিমাত্রায় চাপের মুখে পড়লাম৷ তখন বাচাঁর আর কোন উপায় পেলাম না কারন ছয়তলা হতে লাফ দেয়া ছাড়া কোন পথ ছিলনা আমার সামনে৷ তাই আমি সেদিন প্রশাসনের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা শুরু করলাম ও মুক্তির পথ খুজছিলাম৷
একসময় আমাদের সময় পত্রিকায় দেখলাম সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানের কিছু লেখা-'গণতন্ত্রকে টিকিযে রাখার জন্য চাই সকলের প্রচেষ্টা''৷ সেখানে তিনি লিখেছেন- সত্যরে ভালবাসিলাম সে মোরে করেনা বঞ্চনা, আবার কখনও The News is sacred but views are personal, আবার কখনও সুনিতা পাল ও রামগোপানল ইত্যাদি নিয়ে৷ আমার ভিষণ ভাল লেগেছিল তখন আমি তার সাথে লেখালেখি শুরু করলাম৷ তিনি আমার লেখায় ভিষণ মুগ্ধ হলেন-আর আমার রিয়েল নেম, ব্রাকগ্রাউন্ড ও আইডেনটিটি জানতে চাইলেন৷ আমি নিজে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিয়েছিলাম৷ আমি তাকে অরজিনাল নাম বলতে পারিনি কারন তা জানলে তিনি আমার সাথে কথা বলবেন না্৷ আর তখনই আমি লিখতে শুরু করলাম আমি কে এবং কোথা থেকে এসেছি ? আর তখন তা লিখতে গিয়ে দেখলাম ততৰনে আমি অনেক সঙ্গায় সঙ্গায়িত হয়ে গেছি৷ কখনও অসাধারন মেয়ে, কখনও মানসী, কখনও বিদ্রোহী নারী, কখনও অসাধারন বাঙ্গালী ৷ সবশেষে আমি দেখলাম আমি অনেক দিন আগে নড়াইলের জালালসী গ্রামে এক কৃষক পরিবারে কাদা মাটিতে জন্ম নিয়েছিলাম, তাই নিজেকে কৃষান কন্যা ভাবতেই বেশি পছন্দ ৷ সেই থেকে হয়ে গেলাম কৃষান কন্যা আর ওয়ালিউর রহমান সারের কাছে আমার জীবনকাহিনী লিখে দিলাম৷ বিলিয়াতে সেদিন তিনি আমাকে বলেছিলেন-' আপনি খুবই ভাল লিখেন, বই লিখুন যা চিরদিন থাকবে৷'' আমি সেদিন চলে এলাম তারপর তিনি আমার সাথে আর কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন না কারন আমার জানা৷ আর আমাদের সময় ও প্রথম আলোকে অনুরোধ করলাম ইমেলে কিনত্ম কেহ আমাকে সাহায্য করলনা্৷ তাই সেদিন ওযেবসাইটে ফেসবুক ওপেন করলাম৷
তারপর শুরু হল আমার লেখালেখি-আমি প্রতিনিয়ত আমার 'কৃষান ভাবনা' লিখতে শুরু করলাম৷ এক সময় পাকিস্তানের ইনলাভ হিউমানিটি মিশনের প্রেসিডেন্ট আগা তারেক এইচ খান আমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে আমাকে তাদের অগ্রানাইজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ করলেন কিন্ত আমি আমাদের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তাদের সাথে কাজ করতে পারিনি তাইত তারা আমাকে একসময রিমুভ করলেন৷ তারপর আমি আমাদের পতাকার উপর কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম৷ যখন আমি আমার মিশনটি নিয়ে বড়ই কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ক্রিস্টোফার মার্ক উইংগেট,নিউজিল্যান্ড আমাকে অনেক উপদেশ দিলেন যা আমাকে ভিষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল৷ তারপর আমার লেখা সম্ভবত: ৫৭ পর্ব চলার পরে অফিস থেকে বাধার সম্মুখিন হলাম তখন অন্য পথ আবিস্কার করলাম আর সেটা হল ব্লগ-আর তা সবই ছিল ইংরেজীতে৷
তারপর তারিখটা এখন মনে করতে পারছি না হেরস নেভার ডাই গ্রুপের ফাউন্ডার মানব সায়ানা আমাকে তাদের হিরো হিসেবে চিহ্নিত করলেন৷ যা আমার দু:খের দিনে সুখের সামগ্রীর মধ্যে একটি৷
ঠিক তখন আমার অফিস আমাকে সহযোগিতা না করে অবহেলা করতে শুরু করল আর এমন একটি দিন এল সেদিন তারা আমাকে পাগল বানিয়ে বাসায় পাঠাবার ব্যবস্থা করছিল কিন্ত আমি সব বুঝতে পেরেই দ্রুত আমার ফেসবুকের মাধ্যমে আমার বিজয় ঘোষনা করে তাদের চ্যালেঞ্চ করে বেরিয়ে এলাম৷ আর আমার বিজয়ের সকল ডকুমেন্টস-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হক, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা স্বাস্থ্য, আইনমন্ত্রী, সচিব আবদুল আজিজ, মন্ত্রিপরিষদ, সংস্থাপন, সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, কৃষি মন্ত্রনালয় ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ৷ আমার লেখা প্রকাশের কথা থাকলেও তারা তা প্রকাশ করেনি৷
তারপর স্টোরী অব আওয়ামীলীগ গ্রুপে শেখ মুজিবকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পক্ষ হতে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ এর জরুরী নিদের্শ পেয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করে যা সারা পৃথিবীর সামনে আমার ইমেজকে নষ্ট করে দেয়৷ কারন আমি ১৬ ডিসেম্বর/২০১০ সোওরাওর্য়াদী উদ্যান হতে বাংলার গরীব, দু:খী ও অসহায় মানুষের মুক্তির শপথ নিয়েছিলাম৷ সাপোজ-একটি শিশুকে যদি বলা হয়-এটা করোন, সেটা করোনা৷ দেখা যাবে শিশুটি সেটাই বেশি করবে৷ যাহ হোক শাস্তি দিয়ে কলম বন্দ করা যায়না বরং সাহস যোগানো৷
যখন আমি ভিষণভাবে বদ্ধ ঘরে বসে কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক তেমনি সময়ে বাংলাদেশ সরকার একটির পর একটি সংশোধনী পরিবর্তনই কেবল করছিলনা ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালু করে দেশকে তাদের তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিনত করছে দিনের পর দিন যা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না৷ আমার দুইবার ব্রেন অপারেশ হয়েছে৷যা ভিষনভাবে আমার ৰতির কারন হচ্ছিল৷ তাই আমার সব লেখা শেষ করার পর আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে ১৯৭১ সনে শেখ মুজিব রাজনৈতিক চালে ভুল করেছিলেন৷ ১৯৭১ সনে ২৫ মার্চের জেনোসাইড অথবা ৯ মাসের এত ধ্বংষ বা রক্তপাত ছাড়াই আমরা স্বাধীন হতে পারতাম৷ কারন এই স্বাধীনতার সপ্ন পাক-ভারত বিভক্তির পর হতেই বাঙ্গাল জনগণ দেখা শুরম্ন করেছিল৷ আর সেদিন মাওলানা ভাসানী,একেএম ফজলুল হক, অন্যান্য রাজনীতিবিদরা ছাড়াও দেশের সকল শিল্পি, কবি, সাহিত্যিক, বাউল, লেখক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক , ছাত্ররা তাদের মত প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেছিল৷এটাই বাস্তব৷
তবে সকল দেশেই স্বাধীনতার জন্য সকলের মতামত নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে একজন নেতা মনোনিত হয়৷ আর সেদিন মাওলানার হাতে গড়া আওয়ামীলীগের নেতা হলেন শেখ মুজিব৷ তার নেতৃত্বে জনগণ স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দেলিত হয়ে উঠেছিল৷ রাজনীতিবিদ দেশে থাকে অনেক তবে নেতা খুবই কম৷ মাওলানা ভাসানীর মানুষের রাজনীতি করতেন৷ তিনি ছিলেন দুর্বল স্বভাবের্ তাই তিনি পাকিস্তানী শাসকদের সাথে কথা বলার মত সাহস সঞ্চয় করতে পারেননি যা আমার বিশ্বাস৷ তাইত সাহসী মুজিব জনতার সামনে চলে এলেন ৷ তারপর সাত দফা, ছয় দফা কত দফা জেল জুলুম হবার পর এল ১৯৭১৷ এবার আপনারা রাজার চোখ থেকে কাজল রেখার কাটা তুলার গল্পটি ভাবুন৷ যখন ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর সাথে সম্ভবত: দাবী দাওয়া নিয়ে সভা হয়েছিল আর সেই সভায় তারা সমঝোতায় আসতে পারেননি৷ কারন জানা নেই৷ তবে ভুট্টোর চিন্তা থেকে বুঝেছি-তিনি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বসে ২৫ মার্চের রাতে জেনোসাইড শুরু হলে কেবলই হা হুতাস করছিলেন ও ভাবছিলেন- এই রক্তপাত ছাড়াত সমঝোতা হতে পারত ! সভায়ত এরকম কোন কথা ছিলনা৷ তিনি ভিষন কষ্ট পাচ্ছিলেন ঢাকার অবস্থা অনুধাবন করে৷ কিন্ত কাজ করছিল গর্ভনর টিক্কা খান যাকে ইয়াহিয়া খান নির্দেশ দিয়ে পাকিসত্মানে চলে যায়৷ 'মার বাঙ্গালী মেরে শেষ করে দাও৷' আর টিক্কা খানের মুলনীতি ছিল- 'আমাদের মাটি চাই, মানুষ চাইনা'' কারন মাটিটা তখনও পাকিসত্মান অধুষিত৷ আর ভয়াবহ যুদ্ধের মুল নায়ক কারা ছিল ? এটাই হল সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসন আর শোষন নীতি যা করে কেবল রাজনীতিবিদরা৷ তবে রাজনীতি দু রকম-মানুষের জন্য রাজনীতি আর সাম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনমুলক রাজনীতি৷
এখন আমার কথা হল-আমরা সেদিন পাকিসত্মান ভারতের দ্বারা শোষিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত, অসহায় একটি বাঙ্গালী জাতি৷ যারা ছিল ঠিক আদিবাসীর মত৷ আমাদের মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বাংলার উর্বর মাটিতে ধান,পাট, ফসল ফলিয়ে শোষকদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের সনত্মানদের লেখাপড়া শিখাতেন কেবল তাদের কষ্ট লাঘব হবে তারা একদিন এদেশ স্বাধীন করবে৷ কিনত্ম শিৰিত সমাজ অশিৰিত সমাজের মত বেশিমাত্রায় লাঠি পেটা করতে পারেনা৷ কিনত্ম তারা জ্ঞানী তাদের জ্ঞান চিনত্মা চেতনা দিয়ে দেশকে সম্মৃদ্ধি করতে পারে মাত্র৷
কিন্ত শেখ মুজিব কি চিন্তা করেছিলেন পাইপ টানার আড়ালে যে-ফরিদপুর সবচেয়ে দেশের নীচু এলাকা আর সে অঞ্চলে বেশি গরীব, দু:খী অশিক্ষিত মানুষ থাকলেও সেদিন সারা ঢাকা শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের শিৰিত সন্তানেরা অবস্থান করছিলেন যারা দেশের উচু এলাকার সন্তান ও আভিজাত্য পরিবারের এবং তারাই এ দেশের প্রকৃত সম্পদ ছিল সেদিন তাদের কি অবস্থা হতে পারে ? তারা শিক্ষিত পরিবারের, তারা আমার কাশিয়ানী চাপ্তা গ্রামের লাঠিয়াল অথবা নড়াইল সর্দারবাড়ীর লাঠিয়াল নয়৷ তারা ছিল শিৰিত বাবা মায়ের সন্তান৷ তারা লাঠি ধরতে জানেনা৷ তারা তাদের জ্ঞান দ্বারা দু:খকে জয় করতে পারে, দেশের সম্মৃদ্ধি আনতে পারে, দেশের কল্যান আনতে পারে৷ অথচ শেখ মুজিব সেদিন আজকের মত এই নোংরা রাজনীতির খেলা খেলে ২৫ মার্চের রাতে সেই সকল শিৰিত সমাজকে ধ্বংষ করে দেয়৷ আর সেদিন লাঠি ধরল অথবা মাজায় গামছা বেধে দলবেধে ভারতে ছুটেছিল কারা ? বাংলার সকল গরীব, দু:খী, চাষীর ছেলেরা যারা সেদিন কেবল তাদের আপনজনদের ও দেশ রৰার জন্য ছুটে গিয়েছিল ভারতে আর যুদ্ধ করেছিল পাক বাহিনীর সাথে৷
কিন্ত সত্যিকার শিক্ষিত বা নবাব শ্রেণীর মানুষ তা করেনি যা আমি জীবন থেকে দেখেছি৷ আমাদের গ্রামটির সামনে নবগজ্ঞা নদী থাকায় পাক বাহিনী সহজে প্রবেশ করতে পারত না৷ ১৯৭১ সনে যখন যুদ্ধ শুরু হল তখন আমাদের এলাকায় নকশালের সৃষ্টি হল৷ তাদের কাজ হল দা হাতে করে ত্রাস সৃষ্টি করা আর দল বেধে আমাদের তিন বাড়ী ভাত খেত পালাক্রমে৷ আর তারা হল দরিদ্র শ্রেণীর৷ আমার বড় ভাই তখন কলেজের নেতা যারা ছিলেন তখন ১৯৫২ অথবা ১৯৭১ এর চেতনায় বিশ্বাসী টগবগে যুবক যাকে দুইজন মাস্টার সাথে দিয়ে মানুষ করেছিলেন হাতে গড়ে ৷ আর আমাদের খাবার খেয়ে বেচেঁ থাকত প্রায় গ্রামের অনেক লোক৷ সেই নকশালদের সাথে কেন তিনি থাকবেন ? তারপরও তারা তাকে রেহাই দিচ্ছিলনা তখন আব্বা তাকে চরবালিদিয়ার দুজন লোক সাথে দিয়ে ভারতে পাঠালেন দাদা সুরেস চন্দ্র মুর্খাজীর কলকাতা ২৭ নং স্ট্রিটের বাসায়৷ আজ মনে হয় 'সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী কওে মানুষ করনি৷' আজ মনে হচ্ছে আমার আব্বা চোখের জলে সিক্ত হয়ে শেখ মুজিবের পাগলীর জন্য তার জীবন বাচাঁবার জন্য কেবল ভারতে পাঠিয়েছিলেন৷ ট্রেনিং এর জন্য নয়৷ আমরা দশ ভাইবোন এমনভাবে মানুষ হয়েছিলাম যে ৰুধার যন্ত্রনা কাকে বলে আমরা কোনদিন জানিনা৷ আর ভাইত স্পেশাল৷ কলিকাতা দাদার পরিবার সব সময় গাড়ীতে বাজার করত৷ ভাই দাদার পরিবারের সাথে কিছুদিন থাকার পর বাড়ীর জন্য তার মন খারাপ হয়ে গেল৷ মাকে নাকী বলেছিল ওদের খাবার খেয়ে আমার ভাল লাগেনি৷ তারপর সে বাড়ী ছেড়ে চলে গেল আর যোগ দিল তার কলেজের সহপাঠিদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে৷ কিনত্ম আব্বা মা সারাৰণ টেনশনে ও কান্নাকাটি করতেন৷ আর আমাদেরও সেদিন বড় বোনের সাথে তার শশুরালয়ে তিনমাস থাকতে হয়েছিল বাড়ী ছাড়া৷ আব্বা মায়ের কি যে কষ্ট !
আমার বাবা লেখাপড়া জানতেন না, বাস্তব জ্ঞান থেকে মহা জ্ঞানী ছিলেন৷ আর সেদিন তিনি তার জমিতে কাজ করার জন্য যত লেবার ক্রয় করতেন তার সব লেবারই ছিল সেদিন গোপালগঞ্জের৷ আর সেই গোপালগঞ্জের নবাব শেখ মুজিবের নির্দেশে নুরম্নল ইসলাম মাজায় গামঝা বাধবেন সে রকম ছেলে সে ছিলনা৷ আমরা কারো নির্দেশ ফলো করিনা, নির্দেশ দিতে পছন্দ করি৷কেবল শেখ মুজিবের পাগলামীর জন্য সেদিন ১৯৭১ সংঘটিত হয়েছিল আর আমাদের উপর যত ঝড় বয়ে গিয়েছিল আর তা প্রটেকশন দেবার ৰমতা ইউসুফ মোল্যার ছিল৷ তাইত সেদিন তার সন্তানদের নখের আচড় দেবার ক্ষমতা কারো ছিলনা৷ অথচ শেখ মুজিব ভারতের সাথে আতাত করে দেশকে বিভক্ত করে সকল শিক্ষিত সমাজকে হত্যা করে যেদিন ক্ষমতার মসনদে আরোহন করেছিল সেদিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী যাদের হাতে শেখ মুজিব অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল তারা আমার বীর সাহসী ভাইকে রাতের আধারে পিছন দিক হতে গুলি করেছিল৷ তার কাছেও কাটা রাইফেল ছিল৷ কিন্ত কেন ? ১৯৭১ সনের আগেত তার কাছে কোন অস্ত্র ছিলনা৷ তাইত রাত এগারটায় পর পর গুলির শব্দে আমার আব্বা দরজা খুলেই কেদেঁ বললেন- 'আজ আমার সব শেষ হয়ে গেল৷' নুরুল ইসলামের বুলেটবিদ্ধ বেনয়েটে খচিত ভিত্স দেহ পড়ে আছে তার পূর্ব পাশের নিজ ঘরের বারান্দায় !এই হল সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত বীর সাহসী নেতা৷ এরকম হাজার সাহসী কৃষকের সনত্মান ২৫ মার্চের জেনোসাইডে নিরব, নিথর হয়ে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়৷ কিন্ত আমিত দেখিনি তাদের ভিত্স্যে দেহ ! কেবল অনুভবে৷
আরে শেখ মুজিব, তুমি ছিলে আমাদের চাকর৷ আর তুমি তোমার নোংরা রাজনীতি করে আমাদের বাংলার সকল শিক্ষিত সমাজটাকে হত্যা করেছিলে যারা কোনদিন ক্ষুধার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারেনি, যারা ভাত-কাপড়ের অভাব, লেখাপড়ার অভাব দেখেনি নবাবের মত বেড়ে উঠেছিলে তুমি তাদের হাতে তুলে দিলে ভারতীয় অস্ত্র আর ধ্বংষ করেছিলে সব যুব সমাজটাকে৷ আর সেই নবাবদের রক্ত পাড়িয়ে চাকর মসনদে বসেছিল৷ তাইত মানুষ সহ্য করলেও আল্লাহ তা সহ্য করেনি ৷ তাইত সেদিন সপরিবারে তোমাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল৷ চাকর কখনও নবাব হতে পারে না৷ আর তোমার সেই কন্যা আজ নবাবজাদী সেজে গণ ভবনে বসে বাংলার সমগ্র জনগনের ভাগ্য নিয়ে তামাসা করছে যা আল্লাহ সহ্য করবে না কোনদিন৷
আমরা মধ্যবিত্ত কৃষক সমাজ মাটি থেকে খাবার বের করে খেয়েছি,ৰুদার যন্ত্রনা কখনও দেখিনি আর সেদিন তোমরা ছিলে ক্ষুর্ধাত তাইত আমাদের জমি চাষ করে তাই দিয়ে খাবার কিনতে আমাদের কাছ থেকে৷ আর আজ আমাদের সেই খাবার তোমরা কেড়ে নিয়েছ আর আজ আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছি একটু খাবারের আশায়৷
তাইত আজ আমি তোমাকে কেটেছি শেখ মুজিব আমি তোমার লাস খাব, রক্ত পাব তারপরও আমার ক্ষুধা মিটবে না ৷ কারন আমি জীবনে ক্ষুদার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারিনি ৷ আজ বড়ই ক্ষুধার্ত৷ (সমাপ্ত) -কৃষান কন্যা রাহিলা, ১ ডিসেম্বর,২০১১ খ্রি:
No comments:
Post a Comment