Krishan Konna Rahila |
স্বাধীনতার পর হতেই অশুভ শক্তির সাথে লড়তে লড়তে একদিন বাংলাদেশ সচিবাল প্রবেশ করেছিলাম ৷ তারপর ধীরে ধীরে সত্যিকার বাসত্মবতাকে অনুধাবন করতে শিখলাম৷ সেহ সংগ্রামী জীবনে চলতে গিয়ে এক সময় ব্রেন টিউমারে আক্রানত্ম হলাম৷ ভারতের সিএমসি হাসপাতাল থেকে দুইবার অপারেশনের পর আবার নতুন জীবন ফিরে পেলাম৷ প্রয়োজনের তাগিদে একসময় প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য আমার নিজ জেলা নড়াইল গেলাম৷ আর সেদিন ৩রা ডিসেম্বর '১৮তম আনত্মর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০০৯ ' এ নড়াইলের প্রতিবন্ধী, দু:খী দরিদ্র মানুষের সাথে দিনটি উদযাপন করেছিলাম৷ সেদিন তারা আমার কাছে সাহায্য চেয়েছিল কিনত্ম আমি তাদের জন্য কিছুহ করতে পারিনি৷
দু:খ ভারাক্রানত্ম হৃদয়ে ঢাকা ফিরে এসে লিখলাম আমার গল্প ''আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০০৯ ও কিছু কথা' যাতে লেখা ছিল আমার সপ্নের কথাগুলি৷ আর তা সাবমিট করলাম সর্ব প্রথমে আমাদের সমাজ কল্যান উপদেষ্টা বরাবরে৷ তিনি আমাকে জানালেন-এসব কাজে অর্থের প্রয়োজন৷ আমি কষ্ট নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম আর ভাবতে শুরম্ন করলাম-কিভাবে আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারি ? আমি তাদের জন্য লিখতে শুরু করলাম৷ কিন্ত দু:খের বিষয় তা প্রকাশ করতে পারছিলাম না৷
তাই একসময় লেটেস্ট মিডিয়া হন্টারনেটে ফেসবুক ওপেন করে লিখতে শুরম্ন করলাম৷ কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছিলাম না৷ তাহত মনের কষ্টে আমি সেদিন বাংলাদেশ হতে বের হয়ে গেলাম আর ইংরেজীতে লিখতে চেষ্টা করলাম আমার মনের কথাগুলি৷ ঠিক সেহ মুহুর্তে ইনলাভ হিমানিটি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আগা তারিক এহচ খান আমাকে বুঝতে পারলেন আর তখন তিনি আমাকে তাদের গ্রম্নপের অগ্রানাইজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ করলেন৷ কিনত্ম দু:খের বিষয় আমি তাদের সাথে কাজ করতে পারছিলাম না৷ যদিও আমি আজ কোন দেশের ভিতর ওয়াল রাখিনি৷ তারপরও আমাদের বাসত্মবতার পেৰাপটে আমি সেদিন তাদেও কাছে কাছ করতে পারিনি৷ আমি তখন আমাদের পতাকার উপর কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম৷ তারপর তারা সেদিন আমাকে তাদের গ্রম্নপ হতে রিমুভ করলে সেদিন আমি ভিষণভাবে পাকিসত্মানের উপর রেগে গিয়েছিলাম যা বুঝতে পেরেছিলেন আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত স্বনামধন্য বস্নগার, ব্যবসায়ী, গণতন্ত্রকামী ব্যক্তিত্ব ক্রিস্টোফার মার্ক উহংগেট৷ তিনি সেদিন আমাকে অনেক উপদেশমুলক মেসেস পাঠালেন৷ আর আমার মিশনটি নিয়ে ভাবতে শুরম্ন করলেন৷ এক সময় তিনি জানালেন -তোমার মানুষের জন্য কি প্রয়োজন আমাকে বল আর কিছু ছবিসহ পাঠাও৷ আমি আগামী নভেম্বর/১০ বাংলাদেশে আসব আর সকল রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলব ৷ আমি তাকে বলেছিলাম আমি একা৷ আমার কোন লোক নেই৷ তাই তিনিও আর বাংলাদেশে আসেন নি৷
আর ঠিক সেই মুহুতে আমি দেখতে পেলাম আমার পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের অন্যায়, অবিচার, অমানবতা ও দুর্নীতির চিত্র৷ এই আগ্রাসী রম্নলে কোন মানবতার অপসান নেই৷ তাহ আমি সেদিন পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের সকল অন্যায়, অবিচার, অমানবতা ও দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে বাবার কাচিঁ অর্থে কলম হাতে তুলে নিলাম৷ আর তা আমাদের প্রশাসন মেনে নিতে পারেনি৷ তাহত তারা আমাকে আমার পরিবারের কাছে পাগল বলে আখ্যায়িত করে আমাকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল৷ আর আমি সেদিন দ্রুত আমার ফেসবুকে বিজয় ঘোষনা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে বাংলার দু:খী, দরিদ,অসহায় মানুষের মুক্তির ঘোষনার মাধ্যমে আমার বিজয় ঘোষনা করে বীর দর্পে বেরিয়ে এলাম বাংলাদেশ সচিবালয় হতে৷ আর আমার সকল ডকুমেন্টস সকল উচ্চতর স্থানে সাবমিট করলাম৷ তাতে আমি জানিয়েছিলাম-আমি বাংলাদেশ সচিবালয রম্নলস ভেঙ্গেছি-আজ আমাকে ফাসী দিন অথবা আমাকে মুক্তি দিন আমি ফিরে যেতে চাই বাংলার গরীব, দু:খী, অসহায়দের কাছে যাদের জন্য আমি সপ্ন দেখেছিলাম একদিন৷
যাদের কাছে আমার আবেদনগুলি জমা দিয়েছিলাম তারা হলেন-
এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলন , ঢাকা সদর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট৷
প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়৷
আহন মন্ত্রী, আহন মন্ত্রনালয়৷
জনাব আবদুল আজিজ, সচিব, মন্ত্রিপরিষদ
সচিব, স্বরাষ্ট্র/সংস্থাপন/সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়/কৃষি মন্ত্রণালয়৷
কিনত্ম কোথাও থেকে কোন সদুত্তোর আমি পাইনি৷ এমতাবস্থায়, প্রশাসনের অত্যাচার আরও বেশিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল যা আমি অনুভব করতে পারছিলাম৷ আমার মিশনের জন্য আমি প্রোসপেক্টাস তেরী করে কৃষি মন্ত্রণালয় ও পাচঁ কপি পাচঁটি ব্যাংকের কাছে সাবমিট করেছিলাম আমাকে কিছু আর্থিক সাহায্য করার জন্য৷ কিনত্ম সেই মুহুর্তে আমি দেখতে পেলাম নোবেল বিজয়ী ড. মো: ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে এর্টনী জেনারেল বলছে-'মাদার তেরেসা ও নেলসন মেন্ডেলা শানত্মি পুরস্কার পেয়েছিলেন কিনত্ম রাষ্ট্রপতি হবার খায়েস দেখাননি৷' যা আমাকে মর্মাহত করেছিল কারন তার অনেক আগেই আমি আমার নোবেল পুরস্কারের কথা আমার বস্নগে লিখেছিলাম৷ আর বাংলার দরিদ্র জনগনের জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলাম৷ ড: হউনুস বাংলার দরিদ্র মানুষের জন্য এতকিছু করার পরও তা আমাদের রাজনীতিবিদরা মুহুর্তের ভিতর ধ্বংষ তারঁ ইমেজ পৃথিবীর সামনে ধ্বংষ করে দিলেন, আর আমিত মানুষের জন্য কিছুই করতে পারিনি কেবল সপ্ন দেখছি মাত্র৷ ঠিক তেমনি সময়ে আমাকে বলা হল-আপনি মিশন দিয়ে কি করবেন ? ড: ইউনুস কি করেছে ? এসব ধান্ধা বাদ দিন৷ এগুলো হল টাকা কামাবার ধান্ধা ইত্যাদি যা আমাকে আরও আহত করেছিল৷ ঠিক সেহ মুহুর্তে আমি তার পৰে লিখেছিলাম৷
তারপর দেখলাম নারী নীতি-২০১১ নিয়ে ইসলামী ঐক্য জোটের আমির মুফতী ফজলুল হক আমিনী ও অন্যান্য জামাত ইসলামী বিরোধীতা করছে৷ আমিও সেদিন তাদের পৰে লিখেছিলাম৷ কিনত্ম কেন ? যখন আমি আমার পরিবার, সমাজ, প্রশাসনের কাছ থেকে কেবলই স্ট্রেজ হচ্ছিলাম৷ আমার অধিকার, দাবী-দাওয়াগুলি তাদেও পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে রক্তাক্ত হচ্ছিল৷ ঠিক তখন আমি নারী ও শিশু মন্ত্রনালয় গিয়ে চিত্কার করেছিলাম৷ আমি নারী নীতি-২০১১ জ্বালিযে পুড়িয়ে ধ্বংষ করে বাংলাদেশ সচিবালয় হতে গ্রামে ফিরে যাব৷ কিন্তু এহ অমানবতা, অত্যাচার, অবিচার , দুর্নীতি আমি সহ্য করবনা৷ কোথায় আমাদের অধিকার ? ঠিক সেহ মুহুর্তে ফেসবুকের সরকারী দলের কিছু লোক আমার বিরম্নদ্ধে লেখালেখি শুরম্ন করল৷ তারা আমার প্রোফাইল নকল করে আমার বিরম্নদ্ধে প্রচারনা চালাতে লাগল৷ তাই দেখে সেদিন আমিনি সাহেব আমার ওয়ালে এসে লিখলেন-মা জননী আমি মুফতী আমিনী ফতোয়া দিয়ে ঘোষনা করছি-আপনি এই কাফরী জামানার রাবেয়া বশরী৷ আলস্নাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করবেন৷ ''
সেদিন কিছু লোক তা মেনে নিতে পারেনি যা আমি সেই মুহুতে পর্যবেৰন করছিলাম৷ 'কৃষান কন্যাকে নিয়ে তোড়পাল'-কৃষান কন্যা থার্ড পাটি নিয়ে সাৰাতকার অনেক ধরনের লিংক আসছিল আমার ওয়ালে৷ এমনকি আমাকে জাতীর সামনে কাফির ঘোষনারও আয়োজন করেছিল৷ ঠিক এমনি একটি মুহুর্তে আমি হঠাত্ দেখতে পেলাম আমিনী সাহেব আমার ওয়াল, আমার মিশন, আমার গ্রম্নপে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আমার ইমেজকে সারা পৃথিবীর সামনে ধ্বংষ করে দিলেন৷ একদিকে আমিনী সাহেব অন্যদিকে কিছু দুষ্ট চক্র আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল৷ আমি সেদিন পৃথিবীর সামনে হতবাক হয়ে গেলাম আর কেবল কেদেঁছিলাম৷ আমিনী সাহেব এর কথা ছিল-আমি কৃষান কন্যাকে ৫ কোটি টাকা দিব বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম তারপর যেয়ে দেখলাম সে মোদাচ্ছের আলীর আত্মীয়৷ আওয়ামীলীগের এজেন্ট৷ সে দশমুখী সাপ হত্যাদি৷ ঠিক সেই মুহুর্তে আমি পবিত্র কুরআনকে বুকে তুলে নিয়ে তাদের সকল অভিযোগের জবাব দিলাম এবং আমিনী সাহেবকে আমার ওয়ালে আসার জন্য অনুরোধ করলাম৷ অবশেষে তিনি এলেন আর সরি লিখলেন৷ আমি সেদিন তাকে ৰমা করে দিয়েছিলাম৷ কোন অভিযোগ রাখিনি৷ যা ছিল আমার নিয়তী৷ আর আমি ততৰনে নিয়তীকে মেনে চলতে শিখেছি৷
ঠিক তখনই আমি অনুভব করলাম ড. হউনুসের গড়া এত বড় মানব কল্যানে নিবেদিত মাহক্রোক্রেডিট যখন ব্যার্থ হয়ে গেল তখন কৃষান কন্যা্র মিশন যা মুহুতের ভিতরই ধুলিত্সাত্ হয়ে যাবে, টুপা-পনার মত ভেসে যাবে৷ আমি সমাজে বিতকির্ত হয়ে যাব আমার মানবধর্মী সপ্নটা অমানবধর্মীতে পরিনত হয়ে যাবে৷ তাই তখনই আমি নুতন করে আবার মিশনটিকে কৃষান কন্যা্ থার্ড পার্টিতে রম্নপানত্মরিত করলাম৷ কারন তারা যাতে না মনে করে এটা চ্যারিটি মিশন৷ কেবল মানুষের জন্য সাময়িক কিছু সমস্যা দুর করা৷ কিনত্ম না আমার মিশনটি ছিল অত্যাধুনিক যা পৃথিবীর সর্ব প্রথম কোন শক্তিশালী মিশন৷ তারপরও আমি থার্ড পার্টির সপ্ন দেখলাম কারন এই পার্টি ছাড়া বাংলার অসহায় জনগনের মুক্তি আনা সম্ভব নয়৷ তাইত ঠিক সেই মুহুতে আমি বিদেশী অনেক ভাল বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছিলাম যা ছিল সেদিন আমার জন্য ভিষণ বেদনাদায়ক৷ তারপরও জীবন থেমে থাকেনা৷ আজ আমি আরও অনেক নুতন নুতন ভাল বন্ধু পেয়েছি৷
তারপর সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে যখন আমি আবার আমার মিশন, থার্ড পাটি, গ্রুপ নিয়ে কাজ শুরম্ন করলাম৷ নতুনভাবে আবার সপ্ন দেখতে লাগলাম৷ ঠিক এই মুহুতে আমার অফিস থেকে কোন রকমই সহযোগিতা পাচ্ছিলাম না বরং আমার অধিকারগুলি কেড়ে নেয়া হচ্ছিল৷ আমাকে বেশি মাত্রায় স্ট্রেজ করা হচ্ছিল৷ আমার কম্পিউটারটি হল আমার কাচি অর্থে কলম৷ কিনত্ম যখন সেটা থেকে আমি বঞ্চিত হলাম ৷ ঠিক তখন মনে হল তারা আমার হাত থেকে আমার কাচি (কলম) কেড়ে নিয়েছে কেবলমাত্র মতিয়া চৌধুরীর ৰমতা ব্যবহার করে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ আর তখনই আমি অফিস ত্যাগ করেছি কারন আট ঘন্টা কম্পিউটার ছাড়া আমার বসে থাকা সম্ভব ছিলনা৷ হাজার কম্পিউপটার জনগনের কেনা টাকায় কিনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অথচ রাহিলার মানবতাবাদী কাজের জন্য কোন কম্পিউটার তৈরী হয়নি৷
তারপর যখন দেখলাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২০০৮ সনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েও সেই ৰমতা জনগনের কল্যানে না লাগিয়ে কেবল সংবিধান সংশোধনের খেলায় মত্ত্ব৷ আর যখন দেখলাম পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইন করা হয়েছে ভবিষ্যতে যাতে কেহ অবৈধভাবে ৰমতা দখল না করে৷ অথচ তার আগেই আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বাংলার অসহায় মানুষের মুক্তি ঘোষনা করেছিলাম তাই সরকারের এই সব সংশোধনী আমার ভাল লাগেনি তাইত আমি রাগে দু:খে আক্রোশে আমার কাচিঁ চালিয়েছি৷ আর সেই কাচিঁ যখন সকল দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, সচিব ভেদ করে বঙ্গবন্ধুর হিমালয়ের মত পর্বতে আঘাত হেনেছে৷ ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বা: আওয়াীলীগ এর পৰ হতে মোসত্মাফিজ রহমান জরম্নরী নোটিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী, সকল কেবিনেট সদস্য, সকল সচিব, সকল পার্লামেন্টারিয়ান, ডিজিএফ,এনএসআই ইত্যাদি বরবার আর সেই জরম্নরী নোটিশের প্রেৰিতে আমাকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করে সারা পৃথিবীর সামনে আমাকে অপমান করা হল যা ছিল একজন প্রতিবন্ধী তালিকায় অনর্ত্মভুক্ত রাহিলার জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ! আমি বার বার উচ্চারন করেছিলাম আমাকে বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীর মানুষও টাস করতে পারবে না৷ কিনত্ম তারা বঙ্গবন্ধুর হিমালয়ের মত শক্তি কৃষান কন্যার সততার শক্তিকে আঘাত করেছে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ তাইত আমি বেশিমাত্রায় মুক্ত হয়ে আমার কলম চালিয়েছি এই বাংলায় আর তার বড় কারন আমার সনত্মানেরা আজ বড়ই ৰুধার্ত৷ আমার ফসল কাটা শেষ এখন কেবল কৃষান কন্যা থার্ড পার্টির মাধ্যমে আমার সনত্মানদের জন্য নবান্নের উত্সব৷ আমি আমার অসহায় সনত্মানদের রেখে আরত সেই অন্যায়কারী, অমানবতাকারী, দুর্নীতি পরায়ন মানুষের মাঝে ফিরে যেতে পারিনা৷ আমি তাদের বেশি ভালবাসি যারা আমার মত আজ ভাগ্যের কাছে আজ অসহায়৷ যারা আমাকে ভালবাসে৷ তাইত আমি আর সেখানে ফিরে যাবনা কারন আজ আমার কোন স্যার নেহ৷ আমিই তাদের স্যার৷
দু:খ ভারাক্রানত্ম হৃদয়ে ঢাকা ফিরে এসে লিখলাম আমার গল্প ''আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০০৯ ও কিছু কথা' যাতে লেখা ছিল আমার সপ্নের কথাগুলি৷ আর তা সাবমিট করলাম সর্ব প্রথমে আমাদের সমাজ কল্যান উপদেষ্টা বরাবরে৷ তিনি আমাকে জানালেন-এসব কাজে অর্থের প্রয়োজন৷ আমি কষ্ট নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম আর ভাবতে শুরম্ন করলাম-কিভাবে আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারি ? আমি তাদের জন্য লিখতে শুরু করলাম৷ কিন্ত দু:খের বিষয় তা প্রকাশ করতে পারছিলাম না৷
তাই একসময় লেটেস্ট মিডিয়া হন্টারনেটে ফেসবুক ওপেন করে লিখতে শুরম্ন করলাম৷ কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছিলাম না৷ তাহত মনের কষ্টে আমি সেদিন বাংলাদেশ হতে বের হয়ে গেলাম আর ইংরেজীতে লিখতে চেষ্টা করলাম আমার মনের কথাগুলি৷ ঠিক সেহ মুহুর্তে ইনলাভ হিমানিটি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আগা তারিক এহচ খান আমাকে বুঝতে পারলেন আর তখন তিনি আমাকে তাদের গ্রম্নপের অগ্রানাইজার (বাংলাদেশ) নিয়োগ করলেন৷ কিনত্ম দু:খের বিষয় আমি তাদের সাথে কাজ করতে পারছিলাম না৷ যদিও আমি আজ কোন দেশের ভিতর ওয়াল রাখিনি৷ তারপরও আমাদের বাসত্মবতার পেৰাপটে আমি সেদিন তাদেও কাছে কাছ করতে পারিনি৷ আমি তখন আমাদের পতাকার উপর কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তৈরী করলাম৷ তারপর তারা সেদিন আমাকে তাদের গ্রম্নপ হতে রিমুভ করলে সেদিন আমি ভিষণভাবে পাকিসত্মানের উপর রেগে গিয়েছিলাম যা বুঝতে পেরেছিলেন আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত স্বনামধন্য বস্নগার, ব্যবসায়ী, গণতন্ত্রকামী ব্যক্তিত্ব ক্রিস্টোফার মার্ক উহংগেট৷ তিনি সেদিন আমাকে অনেক উপদেশমুলক মেসেস পাঠালেন৷ আর আমার মিশনটি নিয়ে ভাবতে শুরম্ন করলেন৷ এক সময় তিনি জানালেন -তোমার মানুষের জন্য কি প্রয়োজন আমাকে বল আর কিছু ছবিসহ পাঠাও৷ আমি আগামী নভেম্বর/১০ বাংলাদেশে আসব আর সকল রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলব ৷ আমি তাকে বলেছিলাম আমি একা৷ আমার কোন লোক নেই৷ তাই তিনিও আর বাংলাদেশে আসেন নি৷
আর ঠিক সেই মুহুতে আমি দেখতে পেলাম আমার পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের অন্যায়, অবিচার, অমানবতা ও দুর্নীতির চিত্র৷ এই আগ্রাসী রম্নলে কোন মানবতার অপসান নেই৷ তাহ আমি সেদিন পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের সকল অন্যায়, অবিচার, অমানবতা ও দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে বাবার কাচিঁ অর্থে কলম হাতে তুলে নিলাম৷ আর তা আমাদের প্রশাসন মেনে নিতে পারেনি৷ তাহত তারা আমাকে আমার পরিবারের কাছে পাগল বলে আখ্যায়িত করে আমাকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল৷ আর আমি সেদিন দ্রুত আমার ফেসবুকে বিজয় ঘোষনা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে বাংলার দু:খী, দরিদ,অসহায় মানুষের মুক্তির ঘোষনার মাধ্যমে আমার বিজয় ঘোষনা করে বীর দর্পে বেরিয়ে এলাম বাংলাদেশ সচিবালয় হতে৷ আর আমার সকল ডকুমেন্টস সকল উচ্চতর স্থানে সাবমিট করলাম৷ তাতে আমি জানিয়েছিলাম-আমি বাংলাদেশ সচিবালয রম্নলস ভেঙ্গেছি-আজ আমাকে ফাসী দিন অথবা আমাকে মুক্তি দিন আমি ফিরে যেতে চাই বাংলার গরীব, দু:খী, অসহায়দের কাছে যাদের জন্য আমি সপ্ন দেখেছিলাম একদিন৷
যাদের কাছে আমার আবেদনগুলি জমা দিয়েছিলাম তারা হলেন-
এডজুটেন্ট জেনারেল মোজাহেদ উদ্দিন মিলন , ঢাকা সদর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট৷
প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রম্নল হক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়৷
আহন মন্ত্রী, আহন মন্ত্রনালয়৷
জনাব আবদুল আজিজ, সচিব, মন্ত্রিপরিষদ
সচিব, স্বরাষ্ট্র/সংস্থাপন/সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়/কৃষি মন্ত্রণালয়৷
কিনত্ম কোথাও থেকে কোন সদুত্তোর আমি পাইনি৷ এমতাবস্থায়, প্রশাসনের অত্যাচার আরও বেশিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল যা আমি অনুভব করতে পারছিলাম৷ আমার মিশনের জন্য আমি প্রোসপেক্টাস তেরী করে কৃষি মন্ত্রণালয় ও পাচঁ কপি পাচঁটি ব্যাংকের কাছে সাবমিট করেছিলাম আমাকে কিছু আর্থিক সাহায্য করার জন্য৷ কিনত্ম সেই মুহুর্তে আমি দেখতে পেলাম নোবেল বিজয়ী ড. মো: ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে এর্টনী জেনারেল বলছে-'মাদার তেরেসা ও নেলসন মেন্ডেলা শানত্মি পুরস্কার পেয়েছিলেন কিনত্ম রাষ্ট্রপতি হবার খায়েস দেখাননি৷' যা আমাকে মর্মাহত করেছিল কারন তার অনেক আগেই আমি আমার নোবেল পুরস্কারের কথা আমার বস্নগে লিখেছিলাম৷ আর বাংলার দরিদ্র জনগনের জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলাম৷ ড: হউনুস বাংলার দরিদ্র মানুষের জন্য এতকিছু করার পরও তা আমাদের রাজনীতিবিদরা মুহুর্তের ভিতর ধ্বংষ তারঁ ইমেজ পৃথিবীর সামনে ধ্বংষ করে দিলেন, আর আমিত মানুষের জন্য কিছুই করতে পারিনি কেবল সপ্ন দেখছি মাত্র৷ ঠিক তেমনি সময়ে আমাকে বলা হল-আপনি মিশন দিয়ে কি করবেন ? ড: ইউনুস কি করেছে ? এসব ধান্ধা বাদ দিন৷ এগুলো হল টাকা কামাবার ধান্ধা ইত্যাদি যা আমাকে আরও আহত করেছিল৷ ঠিক সেহ মুহুর্তে আমি তার পৰে লিখেছিলাম৷
তারপর দেখলাম নারী নীতি-২০১১ নিয়ে ইসলামী ঐক্য জোটের আমির মুফতী ফজলুল হক আমিনী ও অন্যান্য জামাত ইসলামী বিরোধীতা করছে৷ আমিও সেদিন তাদের পৰে লিখেছিলাম৷ কিনত্ম কেন ? যখন আমি আমার পরিবার, সমাজ, প্রশাসনের কাছ থেকে কেবলই স্ট্রেজ হচ্ছিলাম৷ আমার অধিকার, দাবী-দাওয়াগুলি তাদেও পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে রক্তাক্ত হচ্ছিল৷ ঠিক তখন আমি নারী ও শিশু মন্ত্রনালয় গিয়ে চিত্কার করেছিলাম৷ আমি নারী নীতি-২০১১ জ্বালিযে পুড়িয়ে ধ্বংষ করে বাংলাদেশ সচিবালয় হতে গ্রামে ফিরে যাব৷ কিন্তু এহ অমানবতা, অত্যাচার, অবিচার , দুর্নীতি আমি সহ্য করবনা৷ কোথায় আমাদের অধিকার ? ঠিক সেহ মুহুর্তে ফেসবুকের সরকারী দলের কিছু লোক আমার বিরম্নদ্ধে লেখালেখি শুরম্ন করল৷ তারা আমার প্রোফাইল নকল করে আমার বিরম্নদ্ধে প্রচারনা চালাতে লাগল৷ তাই দেখে সেদিন আমিনি সাহেব আমার ওয়ালে এসে লিখলেন-মা জননী আমি মুফতী আমিনী ফতোয়া দিয়ে ঘোষনা করছি-আপনি এই কাফরী জামানার রাবেয়া বশরী৷ আলস্নাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করবেন৷ ''
সেদিন কিছু লোক তা মেনে নিতে পারেনি যা আমি সেই মুহুতে পর্যবেৰন করছিলাম৷ 'কৃষান কন্যাকে নিয়ে তোড়পাল'-কৃষান কন্যা থার্ড পাটি নিয়ে সাৰাতকার অনেক ধরনের লিংক আসছিল আমার ওয়ালে৷ এমনকি আমাকে জাতীর সামনে কাফির ঘোষনারও আয়োজন করেছিল৷ ঠিক এমনি একটি মুহুর্তে আমি হঠাত্ দেখতে পেলাম আমিনী সাহেব আমার ওয়াল, আমার মিশন, আমার গ্রম্নপে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আমার ইমেজকে সারা পৃথিবীর সামনে ধ্বংষ করে দিলেন৷ একদিকে আমিনী সাহেব অন্যদিকে কিছু দুষ্ট চক্র আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল৷ আমি সেদিন পৃথিবীর সামনে হতবাক হয়ে গেলাম আর কেবল কেদেঁছিলাম৷ আমিনী সাহেব এর কথা ছিল-আমি কৃষান কন্যাকে ৫ কোটি টাকা দিব বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম তারপর যেয়ে দেখলাম সে মোদাচ্ছের আলীর আত্মীয়৷ আওয়ামীলীগের এজেন্ট৷ সে দশমুখী সাপ হত্যাদি৷ ঠিক সেই মুহুর্তে আমি পবিত্র কুরআনকে বুকে তুলে নিয়ে তাদের সকল অভিযোগের জবাব দিলাম এবং আমিনী সাহেবকে আমার ওয়ালে আসার জন্য অনুরোধ করলাম৷ অবশেষে তিনি এলেন আর সরি লিখলেন৷ আমি সেদিন তাকে ৰমা করে দিয়েছিলাম৷ কোন অভিযোগ রাখিনি৷ যা ছিল আমার নিয়তী৷ আর আমি ততৰনে নিয়তীকে মেনে চলতে শিখেছি৷
ঠিক তখনই আমি অনুভব করলাম ড. হউনুসের গড়া এত বড় মানব কল্যানে নিবেদিত মাহক্রোক্রেডিট যখন ব্যার্থ হয়ে গেল তখন কৃষান কন্যা্র মিশন যা মুহুতের ভিতরই ধুলিত্সাত্ হয়ে যাবে, টুপা-পনার মত ভেসে যাবে৷ আমি সমাজে বিতকির্ত হয়ে যাব আমার মানবধর্মী সপ্নটা অমানবধর্মীতে পরিনত হয়ে যাবে৷ তাই তখনই আমি নুতন করে আবার মিশনটিকে কৃষান কন্যা্ থার্ড পার্টিতে রম্নপানত্মরিত করলাম৷ কারন তারা যাতে না মনে করে এটা চ্যারিটি মিশন৷ কেবল মানুষের জন্য সাময়িক কিছু সমস্যা দুর করা৷ কিনত্ম না আমার মিশনটি ছিল অত্যাধুনিক যা পৃথিবীর সর্ব প্রথম কোন শক্তিশালী মিশন৷ তারপরও আমি থার্ড পার্টির সপ্ন দেখলাম কারন এই পার্টি ছাড়া বাংলার অসহায় জনগনের মুক্তি আনা সম্ভব নয়৷ তাইত ঠিক সেই মুহুতে আমি বিদেশী অনেক ভাল বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছিলাম যা ছিল সেদিন আমার জন্য ভিষণ বেদনাদায়ক৷ তারপরও জীবন থেমে থাকেনা৷ আজ আমি আরও অনেক নুতন নুতন ভাল বন্ধু পেয়েছি৷
তারপর সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে যখন আমি আবার আমার মিশন, থার্ড পাটি, গ্রুপ নিয়ে কাজ শুরম্ন করলাম৷ নতুনভাবে আবার সপ্ন দেখতে লাগলাম৷ ঠিক এই মুহুতে আমার অফিস থেকে কোন রকমই সহযোগিতা পাচ্ছিলাম না বরং আমার অধিকারগুলি কেড়ে নেয়া হচ্ছিল৷ আমাকে বেশি মাত্রায় স্ট্রেজ করা হচ্ছিল৷ আমার কম্পিউটারটি হল আমার কাচি অর্থে কলম৷ কিনত্ম যখন সেটা থেকে আমি বঞ্চিত হলাম ৷ ঠিক তখন মনে হল তারা আমার হাত থেকে আমার কাচি (কলম) কেড়ে নিয়েছে কেবলমাত্র মতিয়া চৌধুরীর ৰমতা ব্যবহার করে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ আর তখনই আমি অফিস ত্যাগ করেছি কারন আট ঘন্টা কম্পিউটার ছাড়া আমার বসে থাকা সম্ভব ছিলনা৷ হাজার কম্পিউপটার জনগনের কেনা টাকায় কিনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অথচ রাহিলার মানবতাবাদী কাজের জন্য কোন কম্পিউটার তৈরী হয়নি৷
তারপর যখন দেখলাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২০০৮ সনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েও সেই ৰমতা জনগনের কল্যানে না লাগিয়ে কেবল সংবিধান সংশোধনের খেলায় মত্ত্ব৷ আর যখন দেখলাম পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইন করা হয়েছে ভবিষ্যতে যাতে কেহ অবৈধভাবে ৰমতা দখল না করে৷ অথচ তার আগেই আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বাংলার অসহায় মানুষের মুক্তি ঘোষনা করেছিলাম তাই সরকারের এই সব সংশোধনী আমার ভাল লাগেনি তাইত আমি রাগে দু:খে আক্রোশে আমার কাচিঁ চালিয়েছি৷ আর সেই কাচিঁ যখন সকল দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, সচিব ভেদ করে বঙ্গবন্ধুর হিমালয়ের মত পর্বতে আঘাত হেনেছে৷ ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বা: আওয়াীলীগ এর পৰ হতে মোসত্মাফিজ রহমান জরম্নরী নোটিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী, সকল কেবিনেট সদস্য, সকল সচিব, সকল পার্লামেন্টারিয়ান, ডিজিএফ,এনএসআই ইত্যাদি বরবার আর সেই জরম্নরী নোটিশের প্রেৰিতে আমাকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করে সারা পৃথিবীর সামনে আমাকে অপমান করা হল যা ছিল একজন প্রতিবন্ধী তালিকায় অনর্ত্মভুক্ত রাহিলার জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ! আমি বার বার উচ্চারন করেছিলাম আমাকে বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীর মানুষও টাস করতে পারবে না৷ কিনত্ম তারা বঙ্গবন্ধুর হিমালয়ের মত শক্তি কৃষান কন্যার সততার শক্তিকে আঘাত করেছে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ তাইত আমি বেশিমাত্রায় মুক্ত হয়ে আমার কলম চালিয়েছি এই বাংলায় আর তার বড় কারন আমার সনত্মানেরা আজ বড়ই ৰুধার্ত৷ আমার ফসল কাটা শেষ এখন কেবল কৃষান কন্যা থার্ড পার্টির মাধ্যমে আমার সনত্মানদের জন্য নবান্নের উত্সব৷ আমি আমার অসহায় সনত্মানদের রেখে আরত সেই অন্যায়কারী, অমানবতাকারী, দুর্নীতি পরায়ন মানুষের মাঝে ফিরে যেতে পারিনা৷ আমি তাদের বেশি ভালবাসি যারা আমার মত আজ ভাগ্যের কাছে আজ অসহায়৷ যারা আমাকে ভালবাসে৷ তাইত আমি আর সেখানে ফিরে যাবনা কারন আজ আমার কোন স্যার নেহ৷ আমিই তাদের স্যার৷
ঠিক তখন মনে হল তারা আমার হাত থেকে আমার কাচি (কলম) কেড়ে নিয়েছে কেবলমাত্র মতিয়া চৌধুরীর ৰমতা ব্যবহার করে যা আমি মেনে নিতে পারিনি৷ আর তখনই আমি অফিস ত্যাগ করেছি কারন আট ঘন্টা কম্পিউটার ছাড়া আমার বসে থাকা সম্ভব ছিলনা৷ হাজার কম্পিউপটার জনগনের কেনা টাকায় কিনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অথচ রাহিলার মানবতাবাদী কাজের জন্য কোন কম্পিউটার তৈরী হয়নি৷
ReplyDelete