KKR |
হে বাংলার জনগণ সাম্প্রতিক প্রকাশিত ভারতীয় ভিডিও চিত্রটি দেখুন ও জেগে উঠুন-আর একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সোনার বাংলার সপ্ন নিয়ে- তবে অস্ত্র নয় কেবল শান্তি, ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে৷সব দেশে শুনে ফেটে গিয়ে করি বাংলায় চিত্কার-আমি কৃষান কন্য কৃষকের অপমান সহ্য করতে পারিনা৷ আমি দেখেছি গতকাল একটি ভিডিও চিত্র যা কেবল ভিডিও করার জন্যই সম্ভবত: মানুষ নিয়ে নোংরা খেলার অবতারনা করা হয়েছে৷ যা আজকের সভ্য দুনিয়ায় কারো্ই কাম্য হতে পারেনা৷ তারপরও তা প্রচার করা হয়েছে তার বড় কারন কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতের ত্রিপুরা, আগরতলা ভ্রমন করে ভারতের উপহার গ্রহন করেছে আমাদের কাটাতারের বেড়ার উপর ফেলানীর লাসের উপর দিয়ে৷ যা আমাদের অসহায় জনগনের কাছে ছিল বড়ই বেদনাদায়ক ! আমাদের দরিদ্র , কৃষক সমাজ সকলেই আজ এসব দৃশ্য থেকে বহুদুরে, তারা বুঝতে পারেনা কেমন করে সবল দুর্বলের উপর আঘাত হানে৷ আর তার প্রমান ফারাক্কা বাধ, টিপাইমুখ বাধ,তিসত্মা চুক্তিতে গড়িমসি, তিতাস নদীতে বাধ, করিডোর, ট্রানজিট, ছিটমহলবাসীদের দু:খ বেদনার চিত্র !
আজ আমাদের অনেক সপ্নের সোনার বাংলাটিকে ধ্বংষ করে দিয়েছে৷ কেবল তাই নয় দেশের ভিতর তারা তাদের সেই ১৯৭১ সনের দুর্বলতার উপর আঘাত হেনে এভাবে দিনের পর দিন স্ট্রেজ করে আসছে৷ আর এটা শুরু হয়েছিল সেই ব্রিটিস আমল থেকে৷ আর সারাজীবন বাংলার মানুষ এই আগ্রাসন, শোষনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে৷ আজ সেই ব্রিটিস রুলস, বর্বরতা মানুষ মানতে চায়না৷ তারা আজ মাথা উচু করে বাচঁতে চায়৷ আজ স্যারের ও স্যার আছে অর্থাত্ পৃথিবীতে আজ আইন তৈরী হয়েছে যা সকলকে মানতেই হবে৷
ফেলানীর কষ্টটা না ভুলতেই তারা আবার এই কৃষকের প্রতি বর্বর যুগের অবতারনা আমাদের কেবল বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে ভারত কত বড় নিষ্টুর ও অমানবতাকারী হতে পারে৷ আর এর জন্য দায়ী আজ আমাদের স্বৈরাচারী জালিম সরকার যারা কৃষকের অন্নে প্রতিপালিত হয়ে তাদের উপর আঘাত হানার সকল প্রক্রিয়া তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে৷ তাদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে সারা বাংলার অসহায় গরীব কৃষক সমাজকে অপমান করছে৷ এরা গণ ভবনে বসে, ন্যাম সম্মেলনে বসে সমগ্র বাংলার জনগনের কষ্ট, দু;খ ব্যাথা কি করে বুঝবে ? তাই যদি বুঝত তবে বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হয়ে বাংলার জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতনা৷ আজ বাংলার জনগন তাদের কু-চক্রান্ত বুঝতে পেরেছে৷ তারা কেবল বাংলায় এসেছিল তাদের পুর্ব পুরুষদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাংলার জনগনের জন্য নয়৷ তাহলে আজ আমাদের সুন্দরবনের বাঘ বেরিয়ে আসতনা, সেনাবাহিনী বেরিকেড ভেঙ্গে বেরিয়ে আসত না, আর কৃষান কন্যাকে সচিবালয় ছেড়ে চলে আসত না৷
আজ দেশকে রৰা করতে হলে স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে জরুরী প্রয়োজন আর একটি মুক্তিযুদ্ধ তা কেবল অস্ত্রের দ্বারা নয়, কলমের দ্বারা্, শিক্ষিত, মানবতাবাদী, সদেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্মদের দ্বারা যারা সত্যিকারভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে সেই ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের আত্মত্যাগকে সার্থক করে তুলতে পারবে৷ আজ আমরা যুদ্ধ, দ্বন্ধ,সংঘাত চাইনা৷ যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানি কেবল দেশের অগ্রগতিকে ধ্বংষ করে৷ তাই জরম্নরীভাবে শান্তি, ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের দ্বারা দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রেখে দেশের ভিতর জরুরী শান্তি ও শৃঙ্গলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন৷
তারজন্য ভারত সরকারের আগ্রাসন, বাংলদেশের ভিতর তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য, বাংলার মানুষদের ইসলামের জঙ্গী, সন্ত্রাসী, পাকিসত্মান পহ্নী বলে আখ্যায়িত করার সকল ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসতে হবে৷ তাদের মনে রাখতে হবে ৪০ বছর পরে আজ বাংলার মানুষ অনেক সচেতন তাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে৷ আর তাদের সার্বভৌমত্ব রৰায় তারা বদ্ধ পরিকর৷ যে কোন বহি: শক্তির ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তত৷
প্রধানমন্ত্রী আজ নতজানূ পররাষ্ট্র নীতি গ্রহন করছে৷ তাই ভারতকে আমাদের সামগ্রিক শক্তির কথা ভাবতে হবে৷ দেশ আজ বিভক্ত আর ঠিক আমাদের অনেক রক্তে অর্জিত বাংলার সার্বভৌম রক্ষার জন্য ১৯৭৫ সনে সেনাবাহিনী তাদের বেরিকেড ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছিল্৷ আজও যখন আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত আসবে তখন তারা নিশ্চয় আবার সেনাবাহিনীর বেরিকেড ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে৷ কারন সেখানেও জনদরদী, সদেশপ্রেমিক নিবেদিত সৈনিক থাকতে পারে৷ আর এই কারনেই আমাদের গণতন্ত্রকে টিকিযে রাখার জন্য আজ জরুরী দেশের ভিতর ও বাহিরে শান্তি, ভালবাসা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার দ্বারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রখে দাড়াতে হবে৷ আর সেদিনই আমাদের মুক্তি আসবে৷
সকল সময় মনে রাখবেন-ৰমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকেঁ কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়্৷ অহমিকায় সকল অপরাধের মুল৷ এই দেশটি কার একার নয়-এই দেশটি আমাদের ১৬ কোটি মানুষের৷ এই দেশটিতে আমরা সমান অধিকার নিযে বাস করতে চাই৷ আমরা আগেও যেমন প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে ছিলাম আজও তাই করতে হচ্ছে৷ কিন্ত এই নোংরা রাজনীতিই আজ আমাদের সকল জমি-জমা, ভিটেমাটি, সম্পদ দখল করে আজ আমাদের আরও অসহায় করে দিয়েছে৷
সকল সময় মনে রাখবেন-ৰমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকেঁ কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়্৷ অহমিকায় সকল অপরাধের মুল৷ এই দেশটি কার একার নয়-এই দেশটি আমাদের ১৬ কোটি মানুষের৷ এই দেশটিতে আমরা সমান অধিকার নিযে বাস করতে চাই৷ আমরা আগেও যেমন প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে ছিলাম আজও তাই করতে হচ্ছে৷ কিন্ত এই নোংরা রাজনীতিই আজ আমাদের সকল জমি-জমা, ভিটেমাটি, সম্পদ দখল করে আজ আমাদের আরও অসহায় করে দিয়েছে৷
তাই আজ সকল নোংরা খেলা বন্দ করে বাংলার সামগ্রিক মানুষের মুক্তির জন্য আবার সকলেই সেই সদেশপ্রেমিক সামরিক শাসক হিয়াহিয়া খানের মত, শেখ মুজিবের মত ভয়ার্ত কন্ঠ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মত সাহসী, সত্, গণতন্ত্রকামী দ্বেশ প্রেমিক নিবেদিত প্রেসিডেন্ট হয়ে দেশের স্বাধীনতা অৰুন্ন রাখার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি৷ জেগে উঠুন আলস্নাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে সোনার বাংলার সপ্ন নিয়ে যার সপ্ন দেখেছিলেন আমাদের আপজনেরা৷
জয় হোক বাংলার৷ জয় হোক বাংলার গণ মানুষের৷ জয় হোক মানব ও মানবতার।
জয় হোক বাংলার৷ জয় হোক বাংলার গণ মানুষের৷ জয় হোক মানব ও মানবতার।
শ্রদ্ধানত্মে-
কৃষান কন্যা রাহিলা
২০ জানুয়ারী,২০১২ খ্রি৷
কৃষান কন্যা রাহিলা
২০ জানুয়ারী,২০১২ খ্রি৷