Krishan Konna Rahila |
সেই যে ২০০৯ থেকে বাচাঁর সপ্ন দেখতে শুরম্ন করলাম, বন্দী জীবন থেকে মুক্তির জন্য চিত্কার করলাম৷ আমার চিত্কার বাংলাদেশ সচিবালয়ের চার দেওয়ালে মাঝে প্রতিধ্বনিত হয়ে আবার ফিরে এল নিজের কাছে৷ পারিনি অবশেষে আমাকে মুক্তি দেয়া হল৷ আবার বন্দী জীবন৷ কোথায় আমার মুক্তি ? পারছি না৷ অশুভ শক্তির সাথে প্রতিনিয়ত আমাকে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে৷ আমি চিত্কার করছি এবার কেবল ফেসবুকের ওযালে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসছে আবার নিজের কাছে৷ আমার ডান কান ১০০% লস্ট৷ তারপরও আমি শুনতে পাই৷ কিনত্ম আমার বোবা কান্না কেউ শুনতে পায়না৷ আমি সেদিন প্রথম আমার '' বোবা কান্না'' গল্প লিখেছিলাম আমাদের সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ইমেলে অনেক অনুরোধ করেছিলাম আমাকে সাহায্য করার জন্য কিনত্ম তারা পারেনি৷ তাইত আমি সেদিন ্এই ফেসবুককে জীবনের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম৷ তারপরও আমি মুক্তি পাইনি৷ আমি এখানে অনেক বন্ধু পেয়েছি যারা আমাকে পছন্দ করেছে কিনত্ম যখনই তাদের নীতি থেকে সরে গিয়েছি তখনই তারা সরে গেছে৷ আওয়ামীলীগের মোকতেল হোসেন মুক্তি যিনি আমার অনেক ছবি একেছিলেন আর বলেছিলেন-কৃষান কন্যা তুমি বাংলার মাদার তেরেসা৷ আজ তোমার মত একজন মায়ের প্রয়োজন৷ অথচ সেদিন সে বেগম খালেদার ছবি বিকৃত করেছিলেন সেদিন আমি চিত্কার করার সাথে সাথে চলে গেলেন৷
মনে পড়ে-ইসলামী ঐক্য জোটের আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনি আমাকে মা ডাকার পর তিনি আমার ওয়ালে লিখেছিলেন-চার দল ৰমতায় গেলে ইসলামী ঐক্য জোটের পক্ক হতে রাহিলাকে মন্ত্রী বানানো হবে আর আমি তাতে লাইক করেছিলাম বলে সেদিন আমার ফেসবুক বন্ধু চান মন্ডল আমাকে বলেছিলেন-'নবাব জাদী কৃষান কন্যা কেন তুমি তাকে লাইক করছ ?' তখন তিনি আমার ওয়াল থেকে রিমুভ হয়ে যান৷ ঠিক এইভাবে আসা আর যাওয়ার খেলা চলছে৷ সময়ের সাথে সাথে আমি বড়ই ক্লানত্ম৷ কেবল মুক্তির জন্য প্রতিনিয়ত সারা পৃথিবীতে সত্যকে খুজে ফিরি৷ কখনও তৈরী করেছি কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন, কখনও তৈরী করেছি কৃষান কন্যা থার্ড পার্টি অব বাংলাদেশ৷ সবই আমার আর সেখানে কেবল আমি একাকী৷ যা আমার সততা৷
তারপর মামুন বলেছিল-কৃষান কন্যা এই বাংলাদেশে থার্ড পার্টি হবেনা৷ আর এটা করলে তোমাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অথবা জেলে যেতে হবে৷ তারপর একদিন অসুস্থ্য হয়ে রাত দুটায় শক্তিকেন্দ্রে ফোন করে ফেসবুক বন্ধু আমরম্নল হককে পেলাম তিনি বললেন-আমরা কেবল কাজ শুরু করেছি৷ শক্তি সঞ্চয় করছি৷ আমাদের কোন শক্তি নেই৷ আর রাজনীতি করতে হলে আপনার গাড়ী বাড়ী অর্থের প্রযোজন৷ ঠিক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীও আমাকে তাই বলেছিলেন অর্থ না থাকলে মিশন হবেনা৷ যা আমাকে ভিষণভাবে কষ্ট দেয় আর ভাবতে থাকি কেন আমাকে আলস্নাহ তালা অর্থ, গাড়ী বাড়ী দেয়নি৷ তবে অর্থ গাড়ী বাড়ী সকলের হয়না৷
আজ বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পৰ হতে মো: মোসত্মাফিজুর রহমান মোসত্মাফিজ কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনকে বহিস্কার করে পৃথিবীর সামনে বড়ই কল্যানজনক কাজ করেছেন৷ যা ভাবতে গেলেই আমি কষ্ট পাই৷ কেবলই মনে হয় সারা পৃথিবীর শেখ মুজিবের উত্তরসুরীরা আমার সততাকে চ্যালেঞ্চ করছে৷ তানাহলে আজ দীর্ঘ সমযের ভিতরও আমার বিষয়টি মিমাংশা হয়নি কেন ? তারই মাঝে আমি আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছি৷ আজ আমার যে ৰতি হল- স্বাস্থ্যের, অর্থের ও সম্মানের তার মুল্য কত ?
তারপরও আমার বাচঁতে ইচ্ছা হয়৷ আমার মা বলেছে-তুমি আমার কাছে চলে এস৷ আমি তোমাকে ডাক্তার দেখাব৷আমি বলেছি-আমি ভাল আছি, তুমি তোমার ছেলেদের ডাক্তার দেখাও৷ আমার জন্য দোয়া কর৷ আমি তোমাদের দশো পুত্র একি কন্যা মা৷ আমি মরে যাব তবুও স্যারেন্ডার করব না৷ তোমাদের দোয়ায় আমি ভাল থাকব৷ তবে আমি আসব৷ তুমি ৪০ বছর ধরে আওযামীলীগের ভাত রেধেছ আর রাধবে না আর চাচাদের বলবে আমি তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে গেছি৷
তারপর ভাবছি আমার থার্ড পার্টির কথা, আমার মিশনের কথা আমার ফেসবুক বন্ধুদের কথা৷ আবার দেখছি-যখন মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির এরশাদ বলেছেন সময় হলেই আ্যাটাক৷ তিনি লং মার্চ শুরম্ন করেছেন-তিসত্মা চুক্তি নিয়ে৷ যেখানে প্রধান প্রধান ইসু্যগুলি-তত্বাবধায়ক সরকার, শেয়ার বাজার টিপাইমুখ এসবের কাছে না এসে কেন তিসত্মা চুক্তি ? আর মহাজোটে থেকেই বা কেন ? সরকারী দলে থেকে সরকারী বিরোধী আন্দোলনের গুরম্নত্ব কতটুকু আমার জানা নাই৷ আর এসবই হল রাজনীতি৷ আমি চেয়েছিলাম বাংলায় তৃতীয় শক্তি হবে আর তার প্রধান কাজ হবে সকল দলের সসন্বয়ে একটি দল৷ একটি বাংলাদেশ৷ একটি জাতি৷ আর সকলের মিলিত শক্তিই কেবল পারে একটি শক্তিশালী দেশ গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে৷
কিনত্ম অবশেষে আমি দেখলাম-তা হবার নয় তাদের ইথিক্স সম্পুর্ণ আলাদা৷ একজন শাসক আর একজন মানুষ৷ সব দেখে শুনে আজ কেবলই ভাবছি-অনত্মত আমার মিশনটি করতে পারলে আমি নড়াইল ফিরে যাব আর তখনই আমার সপ্নের কিছুটা সার্থক হবে হয়ত আমি আবার সুস্থ্য জীবনে ফিরে যেতে পারব৷ আর এইভাবে থাকলে আমাকে অল্প দিনের ভিতরই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে৷ আর একটা জিনিস সবচেয়ে বড় সেটা হল আমার লেখা বাংলায় প্রকাশ হবেনা তার কারন আমার লেখা সরকারের সাথে মিল থাকতে হবে৷ কিনত্ম আমিত তা পারছি না৷ আরও দেখছি আমার আইডি নকল করা হচ্ছে, আমার ইমেজকে নষ্ট করা হ্েচছ, এমনকি দেখেছি-অনেক বস্নগে সেয়ার করতে পর্যনত্ম দেয়না৷
এমতাবস্থায়, আজ আমি শেখ মুজিবের উত্তরসুরী ছাড়া এই বাংলার সকল মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক সকল মানুষের কাছে আহবান করছি আমার কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনটিকে বাসত্মবে রম্নপ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য যাতে আমি এই কঠিন বন্দী দশা হতে মুক্ত হতে পারি৷
কৃষান কন্যা রাহিলা
১৯ জানুয়ারী,২০১২ খ্রি৷
মনে পড়ে-ইসলামী ঐক্য জোটের আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনি আমাকে মা ডাকার পর তিনি আমার ওয়ালে লিখেছিলেন-চার দল ৰমতায় গেলে ইসলামী ঐক্য জোটের পক্ক হতে রাহিলাকে মন্ত্রী বানানো হবে আর আমি তাতে লাইক করেছিলাম বলে সেদিন আমার ফেসবুক বন্ধু চান মন্ডল আমাকে বলেছিলেন-'নবাব জাদী কৃষান কন্যা কেন তুমি তাকে লাইক করছ ?' তখন তিনি আমার ওয়াল থেকে রিমুভ হয়ে যান৷ ঠিক এইভাবে আসা আর যাওয়ার খেলা চলছে৷ সময়ের সাথে সাথে আমি বড়ই ক্লানত্ম৷ কেবল মুক্তির জন্য প্রতিনিয়ত সারা পৃথিবীতে সত্যকে খুজে ফিরি৷ কখনও তৈরী করেছি কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন, কখনও তৈরী করেছি কৃষান কন্যা থার্ড পার্টি অব বাংলাদেশ৷ সবই আমার আর সেখানে কেবল আমি একাকী৷ যা আমার সততা৷
তারপর মামুন বলেছিল-কৃষান কন্যা এই বাংলাদেশে থার্ড পার্টি হবেনা৷ আর এটা করলে তোমাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অথবা জেলে যেতে হবে৷ তারপর একদিন অসুস্থ্য হয়ে রাত দুটায় শক্তিকেন্দ্রে ফোন করে ফেসবুক বন্ধু আমরম্নল হককে পেলাম তিনি বললেন-আমরা কেবল কাজ শুরু করেছি৷ শক্তি সঞ্চয় করছি৷ আমাদের কোন শক্তি নেই৷ আর রাজনীতি করতে হলে আপনার গাড়ী বাড়ী অর্থের প্রযোজন৷ ঠিক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীও আমাকে তাই বলেছিলেন অর্থ না থাকলে মিশন হবেনা৷ যা আমাকে ভিষণভাবে কষ্ট দেয় আর ভাবতে থাকি কেন আমাকে আলস্নাহ তালা অর্থ, গাড়ী বাড়ী দেয়নি৷ তবে অর্থ গাড়ী বাড়ী সকলের হয়না৷
আজ বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পৰ হতে মো: মোসত্মাফিজুর রহমান মোসত্মাফিজ কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনকে বহিস্কার করে পৃথিবীর সামনে বড়ই কল্যানজনক কাজ করেছেন৷ যা ভাবতে গেলেই আমি কষ্ট পাই৷ কেবলই মনে হয় সারা পৃথিবীর শেখ মুজিবের উত্তরসুরীরা আমার সততাকে চ্যালেঞ্চ করছে৷ তানাহলে আজ দীর্ঘ সমযের ভিতরও আমার বিষয়টি মিমাংশা হয়নি কেন ? তারই মাঝে আমি আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছি৷ আজ আমার যে ৰতি হল- স্বাস্থ্যের, অর্থের ও সম্মানের তার মুল্য কত ?
তারপরও আমার বাচঁতে ইচ্ছা হয়৷ আমার মা বলেছে-তুমি আমার কাছে চলে এস৷ আমি তোমাকে ডাক্তার দেখাব৷আমি বলেছি-আমি ভাল আছি, তুমি তোমার ছেলেদের ডাক্তার দেখাও৷ আমার জন্য দোয়া কর৷ আমি তোমাদের দশো পুত্র একি কন্যা মা৷ আমি মরে যাব তবুও স্যারেন্ডার করব না৷ তোমাদের দোয়ায় আমি ভাল থাকব৷ তবে আমি আসব৷ তুমি ৪০ বছর ধরে আওযামীলীগের ভাত রেধেছ আর রাধবে না আর চাচাদের বলবে আমি তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে গেছি৷
তারপর ভাবছি আমার থার্ড পার্টির কথা, আমার মিশনের কথা আমার ফেসবুক বন্ধুদের কথা৷ আবার দেখছি-যখন মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির এরশাদ বলেছেন সময় হলেই আ্যাটাক৷ তিনি লং মার্চ শুরম্ন করেছেন-তিসত্মা চুক্তি নিয়ে৷ যেখানে প্রধান প্রধান ইসু্যগুলি-তত্বাবধায়ক সরকার, শেয়ার বাজার টিপাইমুখ এসবের কাছে না এসে কেন তিসত্মা চুক্তি ? আর মহাজোটে থেকেই বা কেন ? সরকারী দলে থেকে সরকারী বিরোধী আন্দোলনের গুরম্নত্ব কতটুকু আমার জানা নাই৷ আর এসবই হল রাজনীতি৷ আমি চেয়েছিলাম বাংলায় তৃতীয় শক্তি হবে আর তার প্রধান কাজ হবে সকল দলের সসন্বয়ে একটি দল৷ একটি বাংলাদেশ৷ একটি জাতি৷ আর সকলের মিলিত শক্তিই কেবল পারে একটি শক্তিশালী দেশ গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে৷
কিনত্ম অবশেষে আমি দেখলাম-তা হবার নয় তাদের ইথিক্স সম্পুর্ণ আলাদা৷ একজন শাসক আর একজন মানুষ৷ সব দেখে শুনে আজ কেবলই ভাবছি-অনত্মত আমার মিশনটি করতে পারলে আমি নড়াইল ফিরে যাব আর তখনই আমার সপ্নের কিছুটা সার্থক হবে হয়ত আমি আবার সুস্থ্য জীবনে ফিরে যেতে পারব৷ আর এইভাবে থাকলে আমাকে অল্প দিনের ভিতরই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে৷ আর একটা জিনিস সবচেয়ে বড় সেটা হল আমার লেখা বাংলায় প্রকাশ হবেনা তার কারন আমার লেখা সরকারের সাথে মিল থাকতে হবে৷ কিনত্ম আমিত তা পারছি না৷ আরও দেখছি আমার আইডি নকল করা হচ্ছে, আমার ইমেজকে নষ্ট করা হ্েচছ, এমনকি দেখেছি-অনেক বস্নগে সেয়ার করতে পর্যনত্ম দেয়না৷
এমতাবস্থায়, আজ আমি শেখ মুজিবের উত্তরসুরী ছাড়া এই বাংলার সকল মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক সকল মানুষের কাছে আহবান করছি আমার কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনটিকে বাসত্মবে রম্নপ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য যাতে আমি এই কঠিন বন্দী দশা হতে মুক্ত হতে পারি৷
কৃষান কন্যা রাহিলা
১৯ জানুয়ারী,২০১২ খ্রি৷
No comments:
Post a Comment